ভারতে কারাভোগ শেষে দেশে ফিরলেন জঙ্গি ছিনতাই মামলার আসামিসহ ১২ বাংলাদেশি
Published: 11th, January 2025 GMT
ভারত থেকে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন ১২ বাংলাদেশি। বিভিন্ন মেয়াদে কারাভোগ শেষে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাঁরা দেশে ফিরেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ভারতের পেট্রাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাঁদের হস্তান্তর করে।
ফেরত আসাদের ব্যক্তিদের মধ্যে তিনজন বিভিন্ন মামলার আসামি আছেন। এর মধ্যে একজন ২০২২ সালে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) আদালতের সামনে হামলা চালিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জঙ্গিকে ছিনিয়ে নেওয়া মামলার আসামি।
দেশে ফেরত আসা ব্যক্তিরা হলেন, গাজীপুরের সুমন সরকার (৩০), নরসিংদীর ওমর ফারুক (২৫), চাঁপাইনবাবগঞ্জের মিজান শেখ (২৮), খুলনার রিয়াজুল ইসলাম (২৫), মাদারীপুরের বেলাল মোল্যা (২৮), নড়াইলের রেজিনা খাতুন (২৫) ও সাগারি ফকির (২৮), বাগেরহাটের রবিউল হাওলাদার (২৫) ও মোকসেদ হাওলাদার (৩০), সাতক্ষীরার রুবেল গাজী (২৫), আশিকুর রহমান (২৫) ও খালিদ হোসেন (২৫)।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশ এবং বেনাপোল বন্দর থানা-পুলিশ জানায়, এসব নারী–পুরুষ ভালো রোজগারের আশায় দালালের মাধ্যমে সীমান্ত পথে ভারতে যান। আর তিনজন দেশে অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত হয়ে অবৈধ পথে ভারতে যান। পরে সেখানে কাজ করার সময় সে দেশে অবৈধভাবে বসবাস করায় পুলিশ তাঁদের আটক করে কারাগারে পাঠায়। সেখান থেকে একটি প্রতিষ্ঠান তাঁদের ছাড়িয়ে এনে নিজস্ব আশ্রয়ে রাখে। গতকাল বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। আনুষ্ঠানিকতা শেষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে তাঁদের বেনাপোল বন্দর থানায় হস্তান্তর করা হয়।
বেনাপোল স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
বেনাপোল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাসেল মিয়া বলেন, ফেরত আসা তিন আসামিকে গতকাল রাতে সংশ্লিষ্ট থানা থেকে পুলিশ এসে নিয়ে গেছেন। অন্যদের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি তাঁদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করবে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
তেজগাঁও কলেজে শিক্ষার্থী হত্যার প্রতিবাদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ মিছিল
রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানার হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে এ বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বাহাদুর শাহ পার্ক, শাঁখারীবাজার, জজকোর্ট পার হয়ে রায়সাহেব মোড় প্রদক্ষিণ করে বিশ্বজিৎ চত্বরে এসে শেষ হয়। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রদলের খুনিরা আমার ভাইকে খুন করেছে। আশা করেছিলাম, ৫ আগস্টের পর এ বাংলাদেশে আর খুনের রাজনীতি চলবে না। কিন্তু আবার সেই খুন চাঁদাবাজির রাজনীতি চালু করেছে।’
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইয়ামিন সাদাত বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এ খুনের সুষ্ঠু বিচার করার আহ্বান জানাই।’
একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত বলেন, ‘আমরা এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। আজ তেজগাঁও কলেজে হয়েছে, কাল অন্য ক্যাম্পাসে হবে কিংবা আমাদের ক্যাম্পাসে হবে। আমরা চাই না ৫ আগস্ট–পরবর্তী বাংলাদেশে এ রকমের হত্যার রাজনীতি আর ফিরে আসুক।’
তেজগাঁও কলেজ ছাত্রাবাসে ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হয়ে উচ্চমাধ্যমিক ২০২৪–২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাকিবুল হাসান রানা চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
৬ ডিসেম্বর রাতে তেজগাঁও কলেজের ছাত্রাবাসে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত হওয়ার চার দিন পর বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাকিবুল হাসান রানা (১৮)। তিনি কলেজের উচ্চমাধ্যমিক বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।