বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জকে নতুন রূপে সাজাতে হবে। সাত ও পাঁচ হত্যা কারে ঘটনা ঘটিয়ে যে নারায়ণগঞ্জকে কলঙ্কিত ও অভিশপ্ত করা হয়েছে। সে নারায়ণগঞ্জকে কলঙ্কমুক্ত করে কোন গডফাদার তৈরি হতে দেওয়া হবে না। সে সুযোগ আর হবে না।  

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাটামো মেরামতের ৩১ দফার জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টিতে বুধবার(১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে আয়জিত আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মামুন মাহমুদ বলেন, ৭১ সালের স্বাধীনতার সূর্য যারা কব্জা করে রেখেছিল, সেই স্বাধীনতার সূর্য নতুন করে ৫ আগস্ট উদিত হয়েছে।

অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়ে জেল জুলুম মামলা হামলা সহ্য করে বহু আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ১৫ বছর অপেক্ষার পর আকাশের সেই মুক্ত সুর্য আমাদেরকে আলো দিচ্ছে। খেলা হবে খেলা হবে বলে যারা ভয় দেখাত তারা না খেলেই পালিয়ে গেছে। 

তিনি বলেন, সরকার নারায়ণগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায়। অথচ সে হারে উন্নয়ন হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে নারায়ণগঞ্জে যত এমপি মন্ত্রী হয়েছে সবাই ব্যর্থ হয়েছেন। জনগণকে স্বস্থি দেওয়াই

একজন জনপ্রতিনিধির মূল দায়ীত্ব। অথচ জনপ্রতিনিধিদের ভয়েই জনগণ ভয় আতঙ্কে দিন কাঠাতে হয়েছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই ব্যর্থতা ও ভয়কে দূর করতে হবে। এমন ব্যক্তিকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে হবে, যিনি সৎ নিষ্ঠাবান ও জনগণের বন্ধু হয়ে সুখে-দু:খে পাশে থেকে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলবে।

চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও মানুষের উপর জুলুম অত্যাচার করবে না। মানুষ আতঙ্কে থাকবে এমন জনপ্রতিনিধি আমরা আর দেখতে চাইনা। 

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো.

শামসুদ্দিন শেখের সভাপতিত্বে ও ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাসুম প্রধানের সঞ্চালনায় এ সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক দপ্তর সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবুল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক যুগ্ন আহ্বায়ক রিয়াজুল ইসলাম রিয়াজ, অকিল উদ্দিন ভূঁইয়া, মাসুদুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি মোসলেহা কামাল, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের যুগ্নআহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি সিফাতুর রহমান রাজু, যুগ্নসম্পাদক মেহেদী হাসান ফারহান, নারায়নঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোল্লা মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, ১০ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি লেয়াকত হোসেন লেকু, ১ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি গাজী মনির, ৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আফজাল হোসেন, সম্পাদক কাজী মারুফ, ৯ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল দেওয়ান,  ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আওলাদ হোসেন প্রধান, সহসভাপতি আফাজ উদ্দিন, রুবেল মাদবর, সহ-সধারণ সম্পাদক কামাল ভূঁইয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতী দলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পূজা পরিষদের দুলাল চন্দ্র, যুবদল নেতা দুলাল প্রধান, সোহেল রহমান, কাজী নূর আলম, ফারহান আহমেদ রুবেল, মাঈনুল হাসান, ফজলুল হক কণ্ট্রাকটর ও নোমান প্রমুখ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ রহম ন

এছাড়াও পড়ুন:

ওসমান পরিবারের খপ্পড়ে পড়ে বিএনপির অনেক নেতা হারিয়ে গেছে : মামুন মাহমুদ

এড. তৈমুর আলম খন্দকার, এটিএম কামালসহ অনেকের নাম উল্লেখ করে অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেন, সামন্য লোভ লালসার মোহে কিংবা ভয়ে ওসমান পরিবারের খপ্পড়ে পড়ে নারায়ণগঞ্জ থেকে বিএনপির অনেক নেতা হারিয়ে গেছে। ধ্বংস হয়ে গেছে তাদের অনেক নেতৃত্ব। অথচ দলের জন্য তাদের বহু ত্যাগ ও অবদান ছিল। তাই তাদের মত ভুল করা যাবে না।

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের নয়াআটি মুক্তিনগর এলাকায় গ্রিন গার্ডেন পার্টি সেণ্টারে, জেলা বিএনপির সকল অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সাথে মত বিনিময় সভায়, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ এসব কথা বলেন।

এ সময় মামুন মাহমুদ আরও বলেন, ফ্যাসিষ্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্র্বতী সরকার গঠন হলো। বহু বড় বড় সন্ত্রাসী জেল থেকে বের হয়ে গেলে। অথচ এখনো আমাদের নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরে আসতে পারেননি। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত তারেক রহমান দেশে ফিরে না আসবে ততদিন আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবনা।

আমাদের প্রয়োজন সুশৃঙ্খল হওয়া। সুশৃঙ্খলভাবে দলীয় শৃঙ্খলা টিক রেখে দলকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে। আমরা দেশকে ভালোবেসেছি দেশে রয়েছি। যারা দেশকে ভালোবাসেননি সম্পদকে ভালোবেসেছেন তারা সম্পদ ফেলে দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। 

তিনি বলেন, আমাদের দাবি এখনো পুরন হয়নি। অন্তর্র্বতী সরকারের ৬ মাস গত হয়েছে। এখনো নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করা হয়নি। অথচ এ সরকারের কাজ হলো অবাদ সুষ্টু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের আয়োজন করা। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজিব, শরীফ আহমদ টুটুল, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরীফ মায়া, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক, সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি, জেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মণ্টু মিয়া, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন, জেলা তাঁতীদলের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান শুক্কুর,বাংলাদেশ জাতীয়য়তাবাদী আইন ছাত্র ফোরামের আহ্বায়ক খন্দকার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, জেলা ওলামাদলের আহ্বায়ক হাফেজ মোহাম্মদ জাকারিয়া ও সদস্য সচিব মাওলানা হাবিব এহসানী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান দোলনসহ জেলার সকল অঙ্গসংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকবৃন্দ।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বায়তুল আমান ভবন ভাঙার পেছনে শামীম ওসমান
  • ওসমান পরিবারের খপ্পড়ে পড়ে বিএনপির অনেক নেতা হারিয়ে গেছে : মামুন মাহমুদ
  • বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি, থানায় জিডি
  • ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির ২ পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১
  • বন কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি বিএনপি নেতার, জিডি
  • আড়াইহাজারে  জমিয়তে উলামায়ের সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময় 
  • ঋণের ভারে রুগ্ন তিন–চতুর্থাংশ হিমাগার 
  • শাহজাদপুরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে প্রবেশ করা নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ২০
  • চুয়েটের হল থেকে ছাত্রলীগের ১৮ নেতা বহিষ্কার
  • দুদিনব্যাপী জাতীয় গণিত উৎসব শুরু