নারায়ণগঞ্জে কোন গডফাদার তৈরি হতে দেওয়া হবে না : মামুন মাহমুদ
Published: 15th, January 2025 GMT
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক মামুন মাহমুদ বলেছেন, নারায়ণগঞ্জকে নতুন রূপে সাজাতে হবে। সাত ও পাঁচ হত্যা কারে ঘটনা ঘটিয়ে যে নারায়ণগঞ্জকে কলঙ্কিত ও অভিশপ্ত করা হয়েছে। সে নারায়ণগঞ্জকে কলঙ্কমুক্ত করে কোন গডফাদার তৈরি হতে দেওয়া হবে না। সে সুযোগ আর হবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত রাষ্ট্রকাটামো মেরামতের ৩১ দফার জনসম্পৃক্ততা সৃষ্টিতে বুধবার(১৫ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইলে আয়জিত আলোচনা সভা ও শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মামুন মাহমুদ বলেন, ৭১ সালের স্বাধীনতার সূর্য যারা কব্জা করে রেখেছিল, সেই স্বাধীনতার সূর্য নতুন করে ৫ আগস্ট উদিত হয়েছে।
অনেক নির্ঘুম রাত কাটিয়ে জেল জুলুম মামলা হামলা সহ্য করে বহু আত্মত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে ১৫ বছর অপেক্ষার পর আকাশের সেই মুক্ত সুর্য আমাদেরকে আলো দিচ্ছে। খেলা হবে খেলা হবে বলে যারা ভয় দেখাত তারা না খেলেই পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, সরকার নারায়ণগঞ্জ থেকে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব পায়। অথচ সে হারে উন্নয়ন হয়নি। স্বাধীনতার পর থেকে নারায়ণগঞ্জে যত এমপি মন্ত্রী হয়েছে সবাই ব্যর্থ হয়েছেন। জনগণকে স্বস্থি দেওয়াই
একজন জনপ্রতিনিধির মূল দায়ীত্ব। অথচ জনপ্রতিনিধিদের ভয়েই জনগণ ভয় আতঙ্কে দিন কাঠাতে হয়েছে। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সেই ব্যর্থতা ও ভয়কে দূর করতে হবে। এমন ব্যক্তিকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করতে হবে, যিনি সৎ নিষ্ঠাবান ও জনগণের বন্ধু হয়ে সুখে-দু:খে পাশে থেকে আধুনিক নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলবে।
চাঁদাবাজি, ভূমিদস্যুতা ও মানুষের উপর জুলুম অত্যাচার করবে না। মানুষ আতঙ্কে থাকবে এমন জনপ্রতিনিধি আমরা আর দেখতে চাইনা।
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য মো.
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে শামীম ওসমানসহ ৮০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টা মামলা (তালিকা)
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ের ঘটনায় সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, ছেলে ও ভাতিজার বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। গত বুধবার (৫ নভেম্বর) রাতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলাটি রেকর্ড হয় আদালতের নির্দেশে।
জানা যায়, গত বছর ১৮ জুলাই দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের জালকুড়ি বাসস্ট্যান্ডে পূর্ব পাশের এলাকায় ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে গুলি ও দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে আহত নাফসিন আহমেদ জিসান (১৯) বাদী হয়ে ১৯ সেপ্টেম্বর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি গ্রহণ করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশকে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন। পুলিশ জানায়, মামলায় নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৮০ জনের। পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০ থেকে ৬০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন :-
১। এ কে এম শামীম ওসমান, (সাবেক সংসদ সদস্য, নারায়ণগঞ্জ-৪)
২। শাহ নিজাম (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, মহানগর আওয়ামীলীগ),
৩। আজমেরী ওসমান (শামীম ওসমানের ভাতিজা),
৪। অয়ন ওসমান (শামীম ওসমানের ছেলে),
৫। স্বপন সরদার (যুবলীগ নেতা),
৬। মো: জালাল উদ্দিন ( আওয়ামী লীগ নেতা ৩নং ওয়ার্ড সিদ্ধিরগঞ্জ)
৭। নূর আলম সিদ্দিকী (যুবলীগ সভাপতি ৩নং ওয়ার্ড)
৮। অলিউল্লাহ খোকন কন্ট্রাক্টর ( আওয়ামী লীগ নেতা ৩নং ওয়ার্ড)
৯। মো: আতাউর রহমান খোকন (শ্রমিকলীগ)
১০। শরিফ (নিমাইকাশারী ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা)
১১। মো: জুলহাস (যুবলীগ নেতা ৬নং ওয়ার্ড)
১২। জিসান (সানারপাড় ৩নং ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক)
১৩।মো: টিটু (মুরাদপুর)
১৪। মিঠু (জমজ ভাই)
১৫। মো: ফারুক (মুরাদপুর বন্দর)
১৬। শায়লা বেগম ( যুব মহিলা লীগ নেত্রী ৬নং ওয়ার্ড)
১৭।আব্দুল আল নোমান (সদস্য, নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবলীগ ৩নং ওয়ার্ড)
১৮। মো: জব্বর (যুবলীগ নেতা,
১৯। স্বপন ( কাউন্সিলর বাদলের সহযোগী)
২০। জিতু (ছাত্রলীগ নেতা ধামগড় ইউনিয়ন)
২১। আক্তার হোসেন (বাগমারা ৩নং ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা)
২২। দুলাল ওরফে লালন (যুবলীগ আর্মস ক্যাডার নাসিক ৬নং ওয়ার্ড)
২৩। মো: সেলিম (যুবলীগ ক্যাডার নাসিক ৬নং ওয়ার্ড)
২৪। শাহাদাৎ শাহারিয়ার (সভাপতি, ৫নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগ)
২৫। মনিরুল জামান উজ্জ্বল
২৬। মাহাবুব রহমান
২৭। মো: হানিফ (যুবলীগ নেতা নাসিক ৭নং ওয়ার্ড)
২৮। রিপন চন্দ্র দে (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ নারায়ণগঞ্জ)
২৯। আব্দুল্লাহ আল সাইফ (যুবলীগ নেতা)
৩০। মো: বাবুল (যুবলীগ আর্মস ক্যাডার নাসিক ৬নং ওয়ার্ড)
৩১। অনিক (ছাত্রলীগ ক্যাডার নাসিক ৬নং ওয়ার্ড)
৩২। শহিদুল্লাহ রাব্বি (ছাত্রলীগ আর্মস ক্যাডার নাসিক ৬নং ওয়ার্ড)
৩৩। মো: হারুন (দেওভোগ)
৩৪। আলী হোসেন ( বারপারা আওয়ামী লীগ নেতা)
৩৫। মনজুর আলম (হাড়ীবাড়ি আওয়ামী লীগ নেতা)
৩৬। সাইফুল ইসলাম (মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ)
৩৭। জাহাঙ্গীর (বারপাড়া যুবলীগ নেতা)
৩৮। শাহ আলম (বারপাড়া সভাপতি ৪নং ওয়ার্ড মুছাপুর ইউনিয়ন)
৩৯। আনোয়ার হোসেন (কাজুরবাগ)
৪০। মোছলে উদ্দিন (তাজপুর উপজেলা)
৪১। শাহ আলম (বাজুরবাঘ উপজেলা)
৪২। আনার মেম্বার (মিনার বাড়ি উপজেলা)
৪৩। আ: রশিদ মোড়ল (কামারপাড়া)
৪৪। আলিম মোড়ল (কামারপাড়া)
৪৫। মো: জনি (কামারপাড়া)
৪৬। মোহাম্মদ আবুল (সাওঘাট)
৪৭।মাজহারুল ইসলাম ইমন (মর্তুজাবাদ)
৪৮। মোহাম্মদ সোলাইমান
৪৯। পিরু চিশতী ( যুবলীগ নেতা)
৫০। সৈয়দ মাহতাবুর রহমান রাজীব (আদমজীনগর)
৫১। আকরাম হোসেন (মুছাপুর)
৫২। রাসেল (মুছাপুর)
৫৩।হাজী মোশারফ (মুসা) (মুছাপুর)
৫৪। আবু সাইদ মেম্বার (জাঙ্গাল উপজেলা)
৫৫।মো: জামিল হোসেন (জালকুড়ি)
৫৬। বিকাশ কুমার পাল (মন্ডলপাড়া)
৫৭। মোহাম্মদ নুরুজ্জামান
৫৮। মোহাম্মদ খোরশেদ (জালকুড়ি)
৫৯। মোহাম্মদ শাকিল (জালকুড়ি)
৬০।মোহাম্মদ রফিক (জালকুড়ি আমতলা)
৬১। মনজুর রহমান (মাতুয়াইল দক্ষিণ পাড়া)
৬২। আবু নাছের ভূঁইয়া (সানারপাড়)
৬৩।মাহিন খান (হরিপুর ৮নং ওয়ার্ড)
৬৪। মনির খাঁন (সহ-সভাপতি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতীলীগ)
৬৫। আলাউদ্দিন (যুবলীগ আর্মস ক্যাডার ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা তাঁতীলীগের যুগ্ম সম্পাদক)
৬৬।আলী হোসেন সরকার (যুবলীগ আর্মস ক্যাডার ও অস্ত্র যোগানদাতা, ১৩২/৩ বি পূর্ব নিমাইকাশারী)
৬৭। গনি মিয়া (সিদ্ধিরগঞ্জ হাউজিং)
৬৮।আরিফুল হক হাসান (সাবেক ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ)
৬৯। মো: মাহাবুব মোল্লা (অর্জুনদী)
৭০। হাবিবুর রহমান (হারেজ) (সাংগঠনিক সম্পাদক রূপগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগ)
৭১। জামিনুল হক রিপন সরকার (ভোলাব দক্ষিণপাড়া)
৭২। লিয়ন (চারিতালুক হাজীবাড়ি)
৭৩। সাব্বির (চারিতালুক হাজীবাড়ি)
৭৪। খন্দকার লুৎফর রহমান (আলমগীর) (সৈয়দনগর)
৭৫। তোফাজ্জল হোসেন (সৈয়দ নগর)
৭৬। সফিকুল (সৈয়দ নগর)
৭৭। মো: বাবুল মিয়া (মোগড়াপাড়া বাজার)
৭৮। কাউসার মিয়া আকাশ (মাইজচর)
৭৯। আলতাফ (ভদ্রাসন তিনগাঁও)
৮০। বাবু (নবীগঞ্জ খন্দকার বাড়িপুল)
এছাড়াও অজ্ঞাত আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে এই মামলায়।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহিনূর আলম জানান, আদালতের নির্দেশে এই হত্যা চেষ্টার মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। বাদী জিসান গত বছরের জুলাই আন্দোলনে আহত হয়েছিলেন।