ইরিস নোব্লখ এবারও কান চলচ্চিত্র উৎসবের সভাপতি নির্বাচিত
Published: 4th, February 2025 GMT
ফ্রান্সের দক্ষিণ উপকূলীয় শহর কানে প্রতি বছর বসে বিশ্ব সিনেমার মিলনমেলা। ‘কান চলচ্চিত্র উৎসব’ এখন চলচ্চিত্র দুনিয়ার অন্যতম মর্যাদাপূর্ণ আসর । জা চকচকে এই আসরে ফিল্মি দুনিয়ার তাবৎ বড় বড় তারকাদের উপস্থিতি চোখ জুড়িয়ে দেয় যেনো। লাল গালিচায় মুখরতা আর তারকাদের বাহাড়ি পোশাক চুম্বকের মত আকর্ষণ করে সিনেমাপ্রেমী মানুষদের।
প্রতিবারের মত এবারই কানে বসছে এই আসর। এই কান চলচ্চিত্র উৎসবের সভাপতি হিসেবে পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন ফরাসি সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম নাম ইরিস নোব্লখ। উৎসবের পরিচালনা পর্ষদ সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সমকালকে এক মেইলবার্তায় জানিয়েছে কান কর্তৃপক্ষ।
ইরিস নোব্লখ ২০২২ সালের জুলাই থেকে কান চলচ্চিত্র উৎসবের প্রথম নারী সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
সে বার্তায় জানানো হয়েছে নতুন এ দায়িত্ব চলতি বছরের জুলাই থেকে শুরু হবে এবং ২০২৬, ২০২৭ ও ২০২৮ সালের উৎসবগুলোতে ইরিস নোব্লখ তার দায়িত্ব পালন করবেন। সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এই সিদ্ধান্ত তার নেতৃত্বের প্রতি পুনর্বার আস্থা প্রকাশ করা হলো, যা তার অতীত অর্জনগুলোকে স্বীকৃতি দেয় এবং উৎসবের কৌশলগত উদ্যোগগুলো অব্যাহত রাখা নিশ্চিত করে।
এদিকে পরিচালনা পর্ষদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে ইরিস নোব্লখ বলেন, ‘পরিচালনা পর্ষদের আস্থা পুনরায় অর্জন করতে পেরে আমি গভীরভাবে সম্মানিত। গত দুই আসরের সাফল্যে আমি গর্বিত এবং ভবিষ্যতে আমাদের মহাপরিচালক থিয়েরি ফ্রেমো এবং উৎসবের নিবেদিতপ্রাণ দলের সঙ্গে এই যাত্রা অব্যাহত রাখতে পারবো ভেবে উচ্ছ্বসিত। আমরা একসঙ্গে কাজ করে এই অনন্য উৎসবকে আরও সমৃদ্ধ করবো, যেখানে সব ধরনের চলচ্চিত্র, কণ্ঠস্বর এবং প্রতিভা তাদের স্থান খুঁজে পায়।’
‘উৎসবের শিল্পমূল্য ধরে রাখা, সৃজনশীল স্বাধীনতার পক্ষে অবস্থান নেওয়া এবং মানবিক মূল্যবোধ রক্ষাই হবে আমার প্রধান অগ্রাধিকার। নির্বাচনের স্বতন্ত্রতা রক্ষা করা, নতুন প্রতিভাবানদের সমর্থন দেওয়া এবং নিশ্চিত করা যে কান চলচ্চিত্র উৎসব সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনের সংযোগস্থল হয়ে থাকবে—এসবের প্রতি আমি অঙ্গীকারবদ্ধ।’ যোগ করেন ইরিস।
আগামীর প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও, আমি পুনর্ব্যক্ত করতে চাই যে উৎসবটি যেন সমতার প্রতীক হয়ে থাকে এবং সকলের জন্য স্বীকৃতির স্থান হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে, নারীদের সৃজনশীল প্রতিভাকে তুলে ধরতে আমি আরও মনোযোগী থাকবো। প্রায় ৮০ বছর ধরে কান চলচ্চিত্র উৎসব ও চলচ্চিত্রের মধ্যে এক অনন্য ও অটুট ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমরা এই অসাধারণ প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বব্যাপী শিল্পী ও চলচ্চিত্রের জন্য এক আলোকবর্তিকা হিসেবে ধরে রাখার জন্য কাজ করে যাব।’
জার্মান বংশোদ্ভূত, প্যারিস-ভিত্তিক প্রাক্তন ওয়ার্নার ব্রোস নির্বাহী ইরিস নোব্লখ ওয়ার্নার ব্রাদার্স ও টাইম ওয়ার্নারে এক অসাধারণ ক্যারিয়ার গড়েছেন, যেখানে তিনি নিউইয়র্ক, লস অ্যাঞ্জেলেস, লন্ডন এবং প্যারিসে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিশ্ব চলচ্চিত্রের অনেক প্রভাবশালী ব্যক্তির সঙ্গে কাজ করেছেন এবং বিশেষভাবে মিশেল হাজানাভিসিয়াসের ‘দ্য আর্টিস্ট’ ছবিকে সমর্থন দিয়েছেন, যা কান উৎসবে নির্বাচিত হওয়ার পর অস্কারের সেরা চলচ্চিত্র বিভাগে প্রথম ফরাসি ছবি হিসেবে পুরস্কার জিতেছিল।
ইরিস নোব্লখকে ইউরোপীয় মূল্যবোধের প্রতি নিবেদিত ও ফরাসি এবং আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রের শক্তিশালী সমর্থকের পাশাপাশি চলচ্চিত্রশিল্পের পরিবর্তনশীল প্রেক্ষাপটে একজন পথপ্রদর্শক হিসেবে গণ্য করা হয়। সৃজনশীল শিল্পে বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবনের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি তাকে সর্বত্র সম্মানিত করেছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ন চলচ চ ত র উৎসব ক ন চলচ চ ত র উৎসব চলচ চ ত র র স জনশ ল উৎসব র ক জ কর
এছাড়াও পড়ুন:
যে কারণে সালাহ-ফন ডাইকদের কাছে এই শিরোপা বিশেষ
একসময় ইংলিশ ফুটবলের রাজা তারাই ছিল। ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে আশির দশকের শেষ পর্যন্ত তো বলতে গেলে লিভারপুলেরই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল ইংল্যান্ডের শীর্ষ লিগে। তখন অবশ্য নামটা প্রিমিয়ার লিগ ছিল না, ছিল প্রথম বিভাগ লিগ। ১৯৯২ সালে প্রিমিয়ার লিগ নাম হওয়ার পর থেকে যেন লিভারপুলের দুর্ভাগ্যের শুরু। প্রথম বিভাগ যুগে ১৮টি লিগ জেতা লিভারপুল প্রিমিয়ার লিগ যুগে এসে জিততেই ভুলে গেল!
প্রিমিয়ার লিগে শুরু হলো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের একচ্ছত্র রাজত্ব। স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের অধীন ১৩বার লিগ জিতে ইউনাইটেডের মোট লিগ শিরোপা হয়ে গেল ২০টি। লিভারপুলকে পেরিয়ে তারা হয়ে গেল ইংল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল ক্লাব।
ইউনাইটেডের সেই আধিপত্যও শেষ হলো ২০১৩ সালে ফার্গুসনের অবসরের পর। কিন্তু রাজত্ব ফিরে পেল না লিভারপুল। ইংলিশ ফুটবলের নতুন রাজা হয়ে ওঠল ম্যানচেস্টার সিটি। পেপ গার্দিওলার অধীন সর্বশেষ সাত মৌসুমে ছয়বার শিরোপা জিতে সিটি একের পর এক নতুন রেকর্ড গড়তে থাকল।
আরও পড়ুনলাল সমুদ্রে গোল উৎসবে চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল১১ ঘণ্টা আগেমাঝে ২০১৯-২০ মৌসুমে ৩০ বছর পর লিভারপুল পেল ইংলিশ লিগের শিরোপার স্বাদ। তবে পৃথিবী তখন করোনা মহামারি চলছে। শিরোপা উৎসব হলো না লিভারপুলের মনের মতো।
এবার আর্নে স্লটের অধীন প্রথম মৌসুমেই আবার চ্যাম্পিয়ন লিভারপুল। সেটাও কী রাজকীয়ভাবে! চার ম্যাচ হাতে রেখে, নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে, ভরা গ্যালারির সামনে। লিভারপুলের এটি ২০তম লিগ শিরোপা, ইউনাইটেডের সঙ্গে যৌথভাবে তারাও এখন ইংল্যান্ডের সবচেয়ে সফল ক্লাব।
ইতিহাস গড়া এই ট্রফি জেতার পর কী বলছেন লিভারপুলের খেলোয়াড়েরাকোডি গাকপোর উদ্যাপন