ডাঃ শফিকুর রহমানের আগমন উপলক্ষে জামায়াতের স্বাগত মিছিল
Published: 6th, February 2025 GMT
জামায়াতের আমীর ডাঃ শফিকুর রহমানের আগমন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ মহানগরীতে স্বাগত মিছিল অনুষ্ঠিত।
জামায়াতের আমীর ডাঃ শফিকুর রহমানের আগমন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ শহরে স্বাগত মিছিল করে নারায়ণগঞ্জ মহানগরী ও জেলা জামায়াতে।
স্বাগত মিছিলটি নারায়ণগঞ্জ ডি আই টি মসজিদ থেকে শুরু হয়ে ২ নং রেল গেট হয়ে বি বি সড়ক দিয়ে চাষাড়া শহীদ মিনার এসে শেষ হয়।
জামায়াতে ইসলামী নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মনোয়ার হোসাইনের সঞ্চালনায় উক্ত মিছিলে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর আমীর মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল জাব্বার।
এসময় তিনি বলেন আগামীকালের জনসমাবেশ স্বৈরাচারীদের চপেটাঘাত হিসাবে কঠিন জবাব হবে। নারায়ণগঞ্জের শান্তিপ্রিয় মানুষের পাশে থেকে কল্যাণকর ন্যায় ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে জামায়াতে ইসলামী।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতের ইসলামির নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, সহকারী সেক্রেটারি জনাব জামাল হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আবু সাঈদ মুন্না, মহানগরী প্রচার বিভাগের হাফেজ আবদুল মোমিন, মানব সম্পদ বিভাগের মো জাকির হোসাইন সহ নারায়ণগঞ্জ মহানগরীর বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব ল দ শ জ ম য ত ইসল ম ন র য়ণগঞ জ স ব গত ম ছ ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মান্নানকে বাদ দিতে তারেকের কাছে চিঠি
নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনে বিএনপি’র প্রাথমিক মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ-মানববন্ধনের পর এবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কাছে যৌথ চিঠি দিয়েছেন সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্যসহ ৭ মনোনয়ন প্রত্যাশী।
চিঠিতে তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনে আজহারুল ইসলাম মান্নান মনোনয়ন পাওয়ায় মানুষ হতাশ। এই মনোনয়ন বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। তারা এই আসনে শিক্ষিত, অভিজ্ঞ এবং যোগ্য যেকোনো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়ার দাবি জানান, যিনি এলাকার উন্নয়নে বলিস্ট ভূমিকা পালন করতে পারবে।
যৌথ এই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক রেজাউল করিম, নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ওয়ালিউর রহমান আপেল, সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আবু জাফর, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি অধ্যাপক ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল, সোনারগাঁ উপজেলা বিএনপি’র সাবেক ১নং সহসভাপতি আল মুজাহিদ মল্লিক। দলীয় মহাসচিবের মাধ্যমে এই চিঠি তারেক রহমানের কাছে পাঠানো হয়। এর আগে তারা ১৮ নভেম্বর সকালে অধ্যাপক রেজাউল করিমের বাসায় যৌথ বৈঠক করেন।
চিঠিতে তারা আরও বলেন, এই আসনে জামায়াতের মনোনয়ন দেয়া হয়েছে ডঃ মুহাম্মদ ইকবাল হোসেন ভূঁইয়াকে যিনি একটি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রিন্সিপাল।
অন্যদিকে বিএনপির মনোনয়ন যাকে দেয়া হয়েছে ৫ আগস্টের পরে তিনি সোনারগাঁয়ে চাঁদাবাজি, জায়গা জমি দখল, নৌ পথে সন্ত্রাস, মামলা মোকদ্দমা বাণিজ্য, অবৈধ বালুর ব্যবসা, বিপুল পরিমাণ অর্থের বিনিময়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মেম্বারদেরকে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করেছেন।
তিনি দল ও দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে অশ্লীল বক্তব্য দেন এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে অশালীন আচরণ করেন।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, গত বছরেরর ৫ আগস্ট থেকে ৪ দিন তিনি মেঘনা সেতুর টোল প্লাজার টোল জোরপূর্বক নিয়ে যান। সিদ্ধিরগঞ্জ থানাবাসিকে সন্ত্রাসী আখ্যায়িত করে বক্তৃতা দেয়ায় এলাকাবাসী তার উপর ক্ষুব্ধ। সাম্প্রতিক সময়ে নিজের অপকর্ম ঢাকতে তিনি বিএনপি সারা দেশে চাঁদাবাজি করে, কেন্দ্রীয় নেতা মির্জা আব্বাসের লোকেরা ঢাকায় চাঁদাবাজি করে- এমন বক্তব্য দেয়।
তার এই বক্তব্যের রেকর্ড ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তার কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। তার এসব কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যের কারণে দলীয় ভাবমূর্তি দেশে-বিদেশে ব্যাপকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। তাকে মনোনয়ন দিলে তিনি বিজয় হতে পারবেন না বলে এই ৭ মনোনয়ন প্রত্যাশী মনে করেন।
আজহারুল ইসলাম মান্নানকে বাদ দিয়ে এই সাতজনের মধ্যে থেকে যেকোনো একজনকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার আবেদন জানিয়ে তারা বলেন, যাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে তার পক্ষে বাকিরা যৌথভাবে কাজ করবেন।
এই চিঠি সম্পর্কে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, যে কাজ করে তারই ভুল ত্রুটি হয়। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অনেক যাচাই-বাছাই করে আমাকে প্রাথমিক মনোনয়ন দিয়েছেন।
আমি শক্তিশালী প্রার্থী বলেই তারা সাত জন একত্রিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে নামতে হয়েছে। দুর্বল প্রার্থী হলে একজন নেমেই হয়তো কিছু করে ফেলতে পারতো। তারা সবাই মিলে এখন যদি প্রার্থী চেঞ্জ করতে পারে করবে, এখানে আমার কিছু বলার নেই।