নাটোরে এক আইনজীবীকে কুপিয়ে তার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনার একদিন পরই এক ব্যাংক কর্মকর্তার বাড়িতে দুর্ধষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। মুখোশধারী ডাকাত দল অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদস্যদের জিম্মি করে স্বর্ণালংকার ও মোবাইলফোন লুট করে নিয়ে গেছে।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার হালসা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সোনালী ব্যাংকের কর্মকর্তা জাকির হোসেন সোনালী ব্যাংক মানিকগঞ্জ শাখায় কর্মকর্তা আছেন।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানায়, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ৮ থেকে ৯ জনের মুখোশধারী একদল ডাকাত জাকির হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে। ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ব্যাংক কর্মকর্তার বাবা আইয়ুব আলী ও তার মাকে বেঁধে ফেলে। পরে ডাকাতদল একে একে চারটি কক্ষ তছনছ করে। এ সময় ঘরে থাকা প্রায় আট ভরি স্বর্ণালংকার ও কয়েকটি মোবাইল ফোন লুট করে পালিয়ে যায়।

নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডাকাতির আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। জড়িত ডাকাতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য আমরা অনুসন্ধান পরিচালনা করছি। এ ঘটনায় ব্যাংক কর্মকর্তা জাকির হোসেন বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় একটি মামলা করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত বুধবার রাতে নাটোরের লালপুর উপজেলায় অ্যাডভোকেট সাধন চন্দ্র দাসকে কুপিয়ে তার বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক কর মকর ত

এছাড়াও পড়ুন:

মাওলানা রইস হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে ১০২ নাগরিকের বিবৃতি

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রসেনার কেন্দ্রীয় সদস্য ও ঢাকা নগরীর সাবেক সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিনকে নির্যাতন ও পরে হত্যার ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন দেশের ১০২ জন নাগরিক। আজ বুধবার এক বিবৃতিতে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বিবৃতিদাতাদের মধ্যে শিক্ষক, আইনজীবী, রাজনীতিবিদ, কথাসাহিত্যিক, লেখক, কবি, সাংবাদিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা রয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, স্বৈরাচার পতনের পর থেকে দেশবাসী ‘মব ভায়োলেন্সে’র একটি উল্লম্ফন দেখেছে। এর ধারাবাহিকতায় গত ২৭ এপ্রিল গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড হায়দারাবাদ এলাকার আখলাদুল জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা র‌ইস উদ্দিনকে দুই মাস আগের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে অকথ্য নির্যাতন করা হয়। নির্যাতনের পর সকাল ১০টায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হলে তাঁকে মৌলিক অধিকার হিসেবে খাদ্য ও চিকিৎসা কিছুই সরবরাহ করা হয়নি। ভোর চারটায় কারাগারেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

বিবৃতিতে সুপ্রিম কোর্টের অধীনে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে এই মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিতের দাবি জানানো হয়। পাশাপাশি এ মামলার তদন্ত ও বিচারের মাধ্যমে মব ভায়োলেন্স নামে রাহাজানি এবং নির্মম পুলিশি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশাবাদ জানানো হয়।

বিবৃতিতে স্বাক্ষরদাতাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা, আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া, কথাসাহিত্যিক রাখাল রাহা, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আর রাজী, রাজনৈতিক বিশ্লেষক জাহেদ উর রহমান, লেখক ও অ্যাকটিভিস্ট পারভেজ আলম, কবি ও অধিকারকর্মী ফেরদৌস আরা রুমী, শিল্পী ও লেখক দেবাশিস চক্রবর্তী, অনুবাদক ও শিক্ষক জি এইচ হাবীব, লেখক ও রাজনৈতিক কর্মী বাকী বিল্লাহ, চলচ্চিত্রকার রাফসান আহমেদ, কবি ও সাংবাদিক সৈকত আমীন, রাজনৈতিক সংগঠক হাসান মারুফ রুমি, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল্লাহ মহিউদ্দিন প্রমুখ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রাজপরিবারের সঙ্গে সমঝোতা চান প্রিন্স হ্যারি
  • চিন্ময় দাসের জামিন বাতিলের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের 
  • চিন্ময় দাসের জামিন বাতিলের দাবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের
  • দুই বছর পর মামলা, আসামি আওয়ামী লীগের নেতা, সাংবাদিকসহ ১৫৮ জন
  • এনসিপির বক্তব্যের জবাব দিলেন ইশরাকের আইনজীবী
  • এনসিপির বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালেন ইশরাকের আইনজীবী
  • ‘শফীউদ্দীন সরদার সাহিত্য ও ইতিহাসের সেতুবন্ধ তৈরি করেছিলেন’
  • মাগুরায় শিশু ধর্ষণ-হত্যা মামলায় সাক্ষ্য ৩ চিকিৎসকের
  • শ্রম আদালতে ঝুলছে ২২ হাজার মামলা
  • মাওলানা রইস হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে ১০২ নাগরিকের বিবৃতি