মুন্সীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর ট্রিপল হত্যাকাণ্ডের মামলায় তিন আসামির মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর আসামিদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার ৩ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মাসুদ করিম এ মামলার রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, সৌরভ প্রধান, রনি বেপারী ও শিহাব প্রধান। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শাকিব প্রধান, শামীম প্রধান, অনিক বেপারী, রায়হান ও ছোট জাহাঙ্গীর। 

আসামিদের মধ্যে শিহাব, শাকিব ও শামীম তিনজন আপন ভাই বলে জানান এ ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মো.

বিল্লাল হোসেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৪ মার্চ বিকেলে মুন্সীগঞ্জ শহরের উত্তর ইসলামপুর এলাকায় দুইদল কিশোর-তরুণের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সমস্যা মেটাতে সেদিন রাতে দুই পক্ষকে সালিশে ডাকা হয়। সেখানে সৌরভ, শিহাব ও শামীম পক্ষের ছুরিকাঘাতে প্রাণ যায় অপর পক্ষের মো. ইমন হোসেন (২২), মো. সাকিব হোসেন (১৯) ও মিন্টু প্রধানের (৪০)। 

এ ঘটনায় নিহত মিন্টুর স্ত্রী খালেদা আক্তার পরদিন মামলা করেন। ১২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেট সীমান্তে জরিপ নিয়ে উত্তেজনা

সিলেটের গোয়াইনঘাটে সীমান্ত পিলার সংলগ্ন খেলার মাঠ জরিপ করতে এসে বাংলাদেশিদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন ভারতীয় জরিপকারী দল ও বিএসএফ সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার নলজুরি খাসি হাওর ১২৭৮-৭৯ পিলার এলাকায় ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আওতাধীন খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

বিজিবি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে সীমান্তের বিরোধপূর্ণ এলাকা ও ছিটমহল বিনিময় হয়। তবে, কিছু ভূখণ্ডে এখনো পিলার স্থাপন করে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। জৈন্তাপুরের নলজুরি এলাকার ওই অংশ এ রকমই একটি ভূখণ্ড। যে খেলার মাঠে আজ জরিপকারী দল জায়গা পরিমাপ করতে গিয়েছিল, এটি বাংলাদেশের দখলে রয়েছে।

চুক্তি অনুযায়ী, এ স্থানের কিছু অংশ ভারতের অভ্যন্তরে যাওয়ার কথা। মূলত জরিপের অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ ও ভারতের জরিপকারী একটি দল জায়গা পরিমাপ করতে সেখানে যায়। বিজিবি ও বিএসএফের সদস্যরা নিরাপত্তা দিতে গিয়েছিলেন।

বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের দখলে থাকা জায়গা ভারত নিয়ে নিচ্ছে—এমন আশঙ্কায় গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা দিয়ে জরিপ দলের সদস্যদের বাধা দেন। গ্রামবাসী এ সময় বিএসএফ সদস্যদের নিজেদের সীমানায় চলে যাওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে, বিজিবি জরিপের বিষয়টি বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। আপাতত জরিপকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।

৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘‘জরিপকাজের বিষয়টি গ্রামবাসী জানতেন না। তাই ভুল–বোঝাবুঝি থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।’’

এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘‘যতটা জেনেছি, সীমান্তে যৌথ সমীক্ষা চলছিল। তবে, কে বা কারা সমীক্ষা চালিয়েছেন তা জানি না। এই বিষয়ে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি।’’

ঢাকা/নূর/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ