৭ পাকিস্তানি অনুপ্রবেশকারীকে হত্যার দাবি ভারতের
Published: 9th, May 2025 GMT
জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় সাত জনকে হত্যা করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) জানিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ধান্ধার পোস্ট থেকে সীমান্ত পেরিয়ে গুলি চালিয়ে পাকিস্তান রেঞ্জার্স তাদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করছিল। ভারতের সামরিক অভিযানে পাকিস্তানি পোস্টেরও ক্ষতি হয়েছে।
বিএসএফ জানিয়েছে, ৮ ও ৯ মে মধ্যরাতে সাম্বা সেক্টরে অনুপ্রবেশের সময় নজরদারি গ্রিড সন্ত্রাসীদের একটি দলকে সনাক্ত করে।
আরো পড়ুন:
ভারতের ৭৭টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের
ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের জেরে স্থগিত আইপিএল
সামরিক পোস্ট ধ্বংসের একটি ভিডিও শেয়ার করে বিএসএফ বলেছে, “বিএসএফের সতর্ক বাহিনী অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে, কমপক্ষে সাতজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে এবং পাক পোস্ট ধান্ধারে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।”
এ ব্যাপারে পাকিস্তানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এনডিটিভি জানিয়েছে, রাতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সীমান্তবতী বেশ কয়েক জেলায় হামলা চালানো হয়েছে। জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুরের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং রাজস্থান, গুজরাট ও পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি শহরও একইভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের পাঠানো সব ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এরপর পাকিস্তানি সেনারা সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় পোস্ট এবং গ্রামগুলোতে আবার গুলি চালাতে শুরু করে। ভারতীয় সেনারা উপযুক্ত জবাব দেয়। তারা বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সেনা পোস্ট ধ্বংস করে দেয়।
ঢাকা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
এবার কমলগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশইন
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের দলই সীমান্ত দিয়ে নারী, শিশুসহ ১৫ জনকে পুশইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। গত বুধবার ভোরে সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে প্রবেশ করায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) তাদের আটক করে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ৯ জন পুরুষ, ৩ জন নারী ও ৩ শিশু রয়েছে।
এর আগে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যে বুধবার খাগড়াছড়ির তিন সীমান্ত দিয়ে ৮১ জন এবং কুড়িগ্রামের রৌমারি সীমান্ত দিয়ে গত মঙ্গলবার রাতে ৩০ জনকে পুশ ইন করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, পাঁচ বছর ধরে তারা ভারতের আসামে বসবাস করছেন। হঠাৎ ভারতীয় পুলিশ তাদের ঘরবাড়ি ভেঙে দিয়ে হেলিকপ্টারে করে ত্রিপুরার মানিক ভান্ডার এলাকায় নিয়ে এসে বিএসএফের হাতে তুলে দেয়। তাদের বাড়ি নড়াইল, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জেলায় বলে দাবি করেছেন।
আটক ব্যক্তিরা আরও জানান, তাদের সঙ্গে আরও অনেকে ছিলেন। এই সংখ্যা তিন শতাধিক হবে। বিএসএফ তাদের কয়েকজনকে কমলগঞ্জের দলই সীমান্ত দিয়ে গেট খুলে বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দেয়। তবে অন্যদের কোন সীমান্তে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে বিষয়ে তোরা কিছু বলতে পারেননি।
মাধবপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সংরক্ষিত নারী সদস্য বিনা রানী দেব জানান, আটক লোকদের প্রথমে বিজিবি ক্যাম্প থেকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য গাড়িতে তোলার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। তবে পরবর্তীতে তাদের আর থানায় নেওয়া হয়নি।
মাধবপুর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শীব নারায়ন শীল বলেন, বিএসএফ ১৫ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করেছে। বিজিবি তাদের আটক করে নিয়ে গেছে। এদিকে সীমান্তে অনুপ্রবেশের জন্য অনেক লোক জড়ো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
শ্রীমঙ্গলের ৪৬ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. জাকারিয়া আজ বৃহস্পতিবার সকালে সাংবাদিকদের জানান, আটক ব্যক্তিরা সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলছেন। যাচাই-বাছাই করে তাদের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনার পর মৌলভীবাজার জেলার সব সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
কমলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, শুনেছি, বিজিবি ১৫ জনকে আটক করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত থানায় হস্তান্তর করেনি।
কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাখন চন্দ্র সূত্রধর জানান, এ বিষয়ে আমাকে কেউ জানায়নি। আমি বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।