জম্মু ও কাশ্মীরের সাম্বা সেক্টরে অনুপ্রবেশের চেষ্টার সময় সাত জনকে হত্যা করেছে ভারত। বৃহস্পতিবার রাতে এই ঘটনা ঘটে বলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) জানিয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, ধান্ধার পোস্ট থেকে সীমান্ত পেরিয়ে গুলি চালিয়ে পাকিস্তান রেঞ্জার্স তাদের অনুপ্রবেশে সহায়তা করছিল। ভারতের সামরিক অভিযানে পাকিস্তানি পোস্টেরও ক্ষতি হয়েছে।

বিএসএফ জানিয়েছে, ৮ ও ৯ মে মধ্যরাতে সাম্বা সেক্টরে অনুপ্রবেশের সময় নজরদারি গ্রিড সন্ত্রাসীদের একটি দলকে সনাক্ত করে।

আরো পড়ুন:

ভারতের ৭৭টি ড্রোন ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের জেরে স্থগিত আইপিএল

সামরিক পোস্ট ধ্বংসের একটি ভিডিও শেয়ার করে বিএসএফ বলেছে, “বিএসএফের সতর্ক বাহিনী অনুপ্রবেশের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছে, কমপক্ষে সাতজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করেছে এবং পাক পোস্ট ধান্ধারে ব্যাপক ক্ষতি করেছে।”

এ ব্যাপারে পাকিস্তানের কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

এনডিটিভি জানিয়েছে, রাতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে সীমান্তবতী বেশ কয়েক জেলায় হামলা চালানো হয়েছে। জম্মু, পাঠানকোট এবং উধমপুরের সামরিক ঘাঁটিগুলোকে বিশেষভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং রাজস্থান, গুজরাট ও পাঞ্জাবের বেশ কয়েকটি শহরও একইভাবে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের পাঠানো সব ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এরপর পাকিস্তানি সেনারা সীমান্ত এবং নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে ভারতীয় পোস্ট এবং গ্রামগুলোতে আবার গুলি চালাতে শুরু করে। ভারতীয় সেনারা উপযুক্ত জবাব দেয়। তারা বেশ কয়েকটি পাকিস্তানি সেনা পোস্ট ধ্বংস করে দেয়।

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক