সাংবাদিকতার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে আইনের শাসন থাকবে না
Published: 9th, May 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেছেন, সাংবাদিকতার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা না গেলে আইনের শাসন, মানবাধিকার, গণতন্ত্র কিছুই থাকবে না। তাঁরা সবাই সে লক্ষ্যে (সাংবাদিকতার স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা) কাজ করবেন।
সংবাদপত্রের মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে নোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম বর্তমানে ২৬৬ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা অথবা সহিংসতা-সংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগে মামলা হওয়ার সমালোচনা করে বক্তব্য দেন। এ বিষয়ে বক্তব্যে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমরা অনেকবার বলেছি, আমি নিজে অনেকবার বলেছি, মিথ্যা মামলাকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিথ্যা মামলাকারীদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, যখন এটা মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হয়। মামলায় তদন্ত হবে, চার্জশিট হবে, বিচার শেষ হবে, তখন মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নিতে পারেন, তার আগে ব্যবস্থা নিতে পারেন না। আমরা সবাই যদি নিশ্চিতভাবে জানিও এটি মিথ্যা মামলা, এখানে অনেককে অভিযুক্ত করা হয়, হয়তো তারা জড়িত না, কিন্তু আমাদের কিছু করার থাকে না।’ তবে মিথ্যা মামলা প্রমাণিত হলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন নোয়াবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম। শুক্রবার রাতে রাজধানীর গুলশান ক্লাবে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব যবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেল ৩৭টি প্রতিষ্ঠান
শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাংলাদেশ থেকে ভারতে ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এসব প্রতিষ্ঠানকে অনুমতি দিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের একেকটি ২০ থেকে ৫০ টন পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানি করতে পারবে। আজ মঙ্গলবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে চলতি বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর মন্ত্রণালয় এ-সংক্রান্ত আদেশ জারি করে। গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে ৩ হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে সেটি কমিয়ে ২ হাজার ৪২০ টন করা হয়। সেই তুলনায় এবার অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
চলতি বছর অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করতে বলেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। অনুমোদনপত্রে বলা হয়েছে, শুল্ক কর্তৃপক্ষ রপ্তানি পণ্যের যথাযথ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। অনুমোদিত পরিমাণের বেশি রপ্তানি করা যাবে না। অনুমতিপত্র হস্তান্তরযোগ্য নয়। সরকার প্রয়োজনে যেকোনো সময় এই রপ্তানির অনুমতি বাতিল করতে পারবে।
ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো খুলনার আরিফ সি ফুডস, বিশ্বাস এন্টারপ্রাইজ, লোকজ ফ্যাশান ও মাশফি অ্যান্ড ব্রাদার্স, চট্টগ্রামের জেএস এন্টারপ্রাইস ও আনরাজ ফিশ প্রোডাক্টস, যশোরের লাকী এন্টারপ্রাইজ, এমইউ সি ফুডস, লাকী ট্রেডিং, রহমান ইমপেক্স ফিস এক্সপোর্ট, মোহাতাব অ্যান্ড সন্স, জনতা ফিস, বিশ্বাস ট্রেডার্স ও কেবি এন্টারপ্রাইজ, ঢাকার ভিজিল্যান্ড এক্সপ্রেস, স্বর্ণালী এন্টারপ্রাইজ, মাজেস্টিক এন্টারপ্রাইজ ও বিডিএস করপোরেশন, বরিশালের মাহিমা এন্টারপ্রাইজ, নাহিয়ান এন্টারপ্রাইজ, এ আর এন্টারপ্রাইজ ও তানিসা এন্টারপ্রাইজ, পাবনার নোমান এন্টারপ্রাইজ, রুপালী ট্রেডিং করপোরেশন, সেভেন স্টার ফিস প্রসেসিং কোং, ন্যাশনাল অ্যাগ্রো ফিশারিজ, আরফি ট্রেডিং করপোরেশন, জারিফ ট্রেডিং করপোরেশন, জারিন এন্টারপ্রাইজ, ফারিয়া ইন্টারন্যাশনাল ও সততা ফিস, ভোলার রাফিদ এন্টারপ্রাইজ, সাতক্ষীরার মা এন্টারপ্রাইজ ও সুমন ট্রেডার্স।