Samakal:
2025-05-12@11:19:31 GMT

শুটিং সেটে আহত তটিনী

Published: 11th, May 2025 GMT

শুটিং সেটে আহত তটিনী

গেল কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে আসন্ন ঈদের একটি নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন তানজিম সাইয়ারা তটিনী।  সেখানে শুটিং করতে গিয়ে রোববার গুরুতর আহত হয়েছেন ছোট পর্দার জনপ্রিয় এ অভিনেত্রী। বিষয়টি সমকালকে নিশ্চিত করেছেন তার সহশিল্পী তৌসিফ মাহবুব। 

তৌসিফ মাহবুব বলেন, আমরা ঈদের একটি নাটকের শুটিং করছিলাম চট্টগ্রামে। আজকে সন্ধ্যায় সেটের একটি লাইট স্ট্যান্ড তটিনীর মাথার ওপরে পড়ে। সঙ্গে সঙ্গেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছি। আপাতত ভালো আছে সে।

জানা গেছে, চট্টগ্রামের লেডিস ক্লাবের পাশে এক বাংলোতে 'মন মঞ্জিলে' নামের একটি নাটকের শুটিং করছিলেন তটিনী এবং তৌসিফ।  শুটিং চলাকালীন সময়ে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে অসাবধানতাবশত শুটিংয়ের একটি লাইট স্ট্যান্ড তটিনীর ওপরে পড়ে যায়। এতে মাথায় গুরতর আঘাত পান অভিনেত্রী। এরপর তাকে দ্রুত পাশে অবস্থিত ম্যাক্স হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

চিকিৎসক জানিয়েছে, যেহেতু মাথায় চোট লেগেছে, এখন সম্পূর্ণ বিশ্রাম প্রয়োজন। তারা পর্যবেক্ষণে রেখেছেন। কথা বলতে নিষেধ করেছেন তাকে। 

ঈদুল আজহার জন্য নিমিত এ নাটকটি নির্মাণ করছেন হাসিব হোসাইন রাখি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: র একট

এছাড়াও পড়ুন:

এনসিটিবির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহম্মদ এলতাসউদ্দিন মারা গেছেন

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মুহম্মদ এলতাসউদ্দিন মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৯৪ বছর বয়সে গতকাল রোববার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার একটি বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মুহম্মদ এলতাসউদ্দিনের প্রথম জানাজা গতকাল রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর বনানীর চেয়ারম্যান বাড়ি জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সোমবার জোহরের নামাজের পর চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চাঁদলাই বড় মসজিদ প্রাঙ্গণে সর্বশেষ জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে পিতার কবরের পাশে তাঁকে দাফন করা হয়।

মুহম্মদ এলতাসউদ্দিন ১৯৫৫ সালে খুলনার দৌলতপুর কলেজে পদার্থবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন। এরপর রাজশাহী ও ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজে প্রভাষক ও সহকারী অধ্যাপক হিসেবে ১৪ বছর শিক্ষকতা করেন। ১৯৮২-১৯৮৩ সালে দেড় বছর যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। সেখান থেকে বদলি হয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। পরে ১৯৮৮ সালে অবসর নেন তিনি। তিনি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিভিন্ন শ্রেণির সাধারণ বিজ্ঞান বই রচনার পাশাপাশি বেশ কিছু পাঠ্যবই সম্পাদনা করেছেন।

মুহম্মদ এলতাসউদ্দিন ১৯৩১ সালের নভেম্বর মাসে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার চাঁদলাই মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চার ছেলে, আত্মীয়স্বজন ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বড় ছেলে গোলাম মুক্তাদির রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেজ ছেলে আকবর হুসেন অতিরিক্ত সচিব ছিলেন। দুজনই অবসর নিয়েছেন। সেজ ছেলে আফজাল হুসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্য বিভাগের অধ্যাপক ও ছোট ছেলে গোলাম দাস্তগির ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবে কাজ করছেন।

গোলাম মুক্তাদির বলেন, ‘বাবা আমাদের চার ভাইকে সততার শিক্ষা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার শিক্ষা দিয়েছেন। তিনি একজন নিরহংকার, সহজ–সরল ও প্রচারবিমুখ লোক ছিলেন।’

দাফনের আগে জেলা প্রশাসন, হরিমোহন সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র সমিতি ও প্রথম আলো বন্ধুসভার পক্ষ থেকে মুহাম্মদ এলতাসউদ্দিনকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ