হঠাৎ কেনা লটারির টিকিটে জিতলেন ৩ লাখ ডলার
Published: 12th, May 2025 GMT
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে এক ব্যক্তি একটি দোকানে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন। ওই দোকানে লটারির টিকিটও বিক্রি হচ্ছিল। কেনাকাটার ফাঁকে লটারির টিকিট দেখে তাঁর আরও একবার নিজের ভাগ্য যাচাই করে নেওয়ার ইচ্ছা জাগে। যেমন ভাবনা, তেমন কাজ। ওই ব্যক্তি কিনে ফেলেন একটি লটারির টিকিট। সেটাই যে তাঁর ভাগ্য খুলে দেবে, তা কি আর তখন তিনি জানতেন!
ওই ব্যক্তির বয়স ৫৮ বছর। তিনি মিশিগান লটারি কর্মকর্তাদের বলেন, ওয়েস্ট শিকাগো বুলেভার্দের একটি দোকান থেকে তিনি সেফ ক্র্যাকার ক্যাশওয়ার্ড টিকিট কিনেছিলেন।
লটারিজয়ের মুহূর্তের বর্ণনায় ওই ব্যক্তি আরও বলেন, ‘আমি সব ধরনের লটারির টিকিট কিনি বা খেলি। সেদিন দোকানে গিয়ে আমার যেটা চোখে পড়েছে, আমি সেটাই তুলে নিয়েছি। এভাবেই আমি সেফ ক্র্যাকার ক্যাশওয়ার্ডের টিকিট কিনি, কোনো কিছু না ভেবেই।’
টিকিট কেনার পর ওই ব্যক্তি টিকিটের ঢেকে রাখা অংশটি ঘষে বারকোডটি বের করেন এবং সেটি স্ক্যান করেন। টিকিটটি স্ক্যান করার পর তিনি একটি বার্তা পান। ওই বার্তায় তাঁকে লটারি অফিসে গিয়ে পুরস্কার দাবি করতে বলা হয়। তিনি সে অনুযায়ী কাজ করেন এবং খেলাটি খেলেন।
এরপর পুরো খেলাটি খেলেন ওই ব্যক্তি। দেখা গেল, টিকিটে ১০টি শব্দ মিলেছে, যা সেফ ক্র্যাকার ক্যাশওয়ার্ড গেমে সর্বোচ্চ পুরস্কার পাওয়ার শর্ত। অর্থাৎ ওই টিকিটে তিনি পেয়ে গেছেন প্রথম পুরস্কার।
ওই ব্যক্তি বলেন, ‘যখন দেখলাম যে তিন লাখ ডলার জিতে গেছি, আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না।’ তিনি পুরস্কারের অর্থ বিনিয়োগ করার পরিকল্পনা করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প রস ক র
এছাড়াও পড়ুন:
আভাস
জাহিদের প্রশ্ন:
‘ভালো ছিলে গত মাস?’
বললুম, নটবাবুর বিজয়মন্ত্রে
মন্দ চাষবাস
থেমে গেছে জলের উৎস,
মন্বন্তরের আভাস
ভূমিকা: জাহিদ হায়দারদাউদ হায়দার—আমার খোকন ভাই চিন্তায় ছিলেন গোছানো, আড্ডায় অনেক রকম কথা বলাতে সুখী, আনন্দ-সংগ্রাহক এবং কারও কথা ভালো না লাগলে সরাসরি মুখের ওপর জবাব দিতে উৎসাহী। ফলে তাঁর বন্ধুসংখ্যা হয়ে যাচ্ছিল আঙুলে গোনা। বান্ধবীর সংখ্যা ও সঙ্গ ছিল ঈর্ষা করার মতো। শ্রমজীবী ও সচ্ছল মানুষেরা ছিলেন বন্ধু। মধ্যবিত্ত থেকে দূরে থাকতেন। ‘কবিতা ছাড়া জীবন নয়’, ‘কবিতার জন্য সবকিছু ত্যাগ করতে হবে’, তাঁর বলা দ্বিতীয় বাক্যটি জীবনের যাপন দিয়ে রক্ষা করে গেছেন। ‘আভাস’ নামে লেখা এই কবিতা তিনি লিখেছিলেন ১১ ডিসেম্বর ২০২৪–এ। লিখেই বার্লিন থেকে আমাকে পাঠালেন। তখনো জানতাম না, এটি হবে তাঁর শেষ কবিতা। ১২ ডিসেম্বর সকালে খোকন ভাইয়ের জার্মানির বন্ধু মাইন চৌধুরী আর সুমনা রহমান ফোন করে তাঁকে যখন পাচ্ছিলেন না, তাঁরা পুলিশকে ফোন দিলেন। পুলিশ এসে তাঁর অ্যাপার্টমেন্টের দরজা ভেঙেও পেল না। তখন তারা খানিকটা রসিকতার সুরেই বলেছিল, ‘বুড়ো মানুষ, বান্ধবী নিয়ে হয়তো কোথাও গেছে। আপনাদের না জানিয়ে। দুই দিন অপেক্ষা করুন। ফিরে আসবে।’ কিন্তু না। তিনি আর ফিরে আসেননি। কবিতা লিখলেই আমাকে পাঠাতেন খোকন ভাই। এ কবিতাটিও পাঠিয়েছিলেন। তবে ছয় পঙ্ক্তির এই কবিতায় যে তাঁর মৃত্যুর আভাস লেখা থাকবে, তা ছিল কল্পনারও বাইরে।