আজ বুধবার রাত ৮টার মধ্যে দেশের ছয় জেলায় ঝোড়ো বাতাস ও বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ সময় বজ্রপাতেরও আশঙ্কা আছে।

আজ বেলা সাড়ে ৩টার দিকে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বিকেল পৌনে ৪টা থেকে রাত ৮ টার মধ্যে মুন্সিগঞ্জ, চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার কিছু স্থানে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি বা শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ সময় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বা তার বেশি গতিতে ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে বলে আবহাওয়ার  পূর্বাভাস।  

আজ এ বার্তা দিয়ে আবহাওয়া অফিস বলেছে, দেশের এই ছয় জেলার কিছু স্থানে ঝড়-বৃষ্টির সময় বজ্রপাতের আশঙ্কা আছে। এ সময় ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।  আবহাওয়া অধিদপ্তর বলেছে, বজ্রপাতের একাধিক শব্দের মধ্যে সর্বশেষ শব্দটি শোনার সময় থেকে কমপক্ষে আধা ঘণ্টা ঘরেই থাকতে হবে।

আজ বেলা ৩টার দিকে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের অন্তত নয় জেলায় বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এএ ইয়ার্ন মিলস বন্ধ ঘোষণা

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে শ্রমিকদের আন্দোলনের জের ধরে এএ ইয়ার্ন মিলস লিমিটেড নামের পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। আকস্মিক সিদ্ধান্তে প্রায় তিন হাজার শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল থেকে শ্রমিকরা কারখানার মূল ফটকের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেছে।

সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের নগরহাওলা এলাকায় অবস্থিত এএ ইয়ার্ন মিলসের শ্রমিকরা বিক্ষোভ শুরু করে। শ্রমিকরা জানান, তাদের গত সেপ্টেম্বর মাসের বেতন পরিশোধ করা হয়নি।

আরো পড়ুন:

‌‘শ্রমজীবী মানুষের রেশন ও পেনশনের নিশ্চয়তা রাষ্ট্রকে দিতে হবে’

গাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ

এই পোশাক কারখানার শ্রমিক মিনারা আক্তার বলেন, “গত ২৩ অক্টোবর বেতন পরিশোধের দাবিতে আমরা আন্দোলন করি। তখন পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আশ্বাস দিয়েছিলেন বেতন শিগগিরই দেওয়া হবে এবং সোমবার থেকে কারখানা খুলবে। কিন্তু আজ এসে দেখি গেটে বন্ধের নোটিশ ঝুলছে।”

একইভাবে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শ্রমিক শামীম। তিনি বলেন, “অনেক বছর ধরে এই কারখানায় কাজ করছি। কয়েক মাস ধরে বেতন দিতে গড়িমসি চলছে। এখন আন্দোলনের অজুহাতে কারখানা বন্ধ করে দিল, এটা শ্রমিকদের সঙ্গে চরম অন্যায়।”

আরেক শ্রমিক বিলকিস বেগম বলেন, “নয় বছর ধরে এখানে কাজ করছি। এই বয়সে অন্য কোনো কারখানায় কাজ পাওয়া কঠিন। এখন হঠাৎ করে চাকরি হারালাম, বেতনও পাইনি। আমাদের অপরাধটা কী?”

কারখানার মানবসম্পদ কর্মকর্তা মো. মনির হোসেন বলেন, “গত ২৩ অক্টোবর শ্রমিকরা বেতন দাবির সময় কারখানার ভেতরে গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি ভাঙচুর করেছে। এ কারণে কারখানা চালু রাখা সম্ভব নয়। মালিকপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বাংলাদেশ শ্রম আইন ২০০৬-এর ধারা ১৩(১) অনুযায়ী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।”

এ বিষয়ে শিল্প পুলিশের ইন্সপেক্টর আব্দুল লতিফ বলেন, “খবর পেয়ে সকাল থেকে কারখানায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শ্রমিকরা শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করছেন। কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছি, তারা সমস্যা সমাধানে কিছু সময় চেয়েছেন।”

ঢাকা/রফিক/বকুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ