রাজধানী ঢাকার খিলক্ষেত এলাকা থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১০২ কেজি গাঁজাসহ দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা গাঁজার দাম প্রায় ২০ লাখ ৪০ হাজার টাকা। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন মোছা. আছমা (৩৫) ও মো. করিম মিয়া (৬০)।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) দাবি, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা চিহ্নিত মাদক কারবারি। আজ শুক্রবার ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গতকাল রাতে রাজধানীতে মাদক উদ্ধারে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ডিবি-গুলশান বিভাগের একটি দল। তারা গোপন খবরে জানতে পারে, কতিপয় মাদক কারবারি ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজা নিয়ে এসেছেন। তাঁরা গাঁজাসহ খিলক্ষেত রেলগেট কাঁচাবাজার ট্রাফিক পুলিশ বক্সের দক্ষিণ পাশে যাত্রীছাউনিতে অবস্থান করছেন।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে খিলক্ষেত রেলগেট এলাকায় অভিযান চালায় ডিবি। এতে আছমা ও করিমকে ১০২ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। অপর এক ব্যক্তি কৌশলে পালিয়ে যান।

ডিবি সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন পরস্পর যোগসাজশে সীমান্তবর্তী জেলা জামালপুর ও ময়মনসিংহ থেকে অবৈধ মাদকদ্রব্য গাঁজা কিনে এনে খিলক্ষেত ও আশপাশের এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে বিক্রি করতেন গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। পলাতক অপর আসামি মো.

ফারুকও তাঁদের সহায়তা করতেন।

গ্রেপ্তার আছমার বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের ভালুকা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি এবং পলাতক মো. ফারুকের বিরুদ্ধে ডিএমপি, ময়মনসিংহ, গাজীপুর, গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) ও টাঙ্গাইল জেলার বিভিন্ন থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নয়টি মামলা রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: খ লক ষ ত ক রব র

এছাড়াও পড়ুন:

ময়মনসিংহ সীমান্তে বিজিবির টহল বেড়েছে, এলাকাবাসীও সতর্ক

দেশের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) সম্প্রতি মানুষজনকে ঠেলে পাঠানো শুরুর পর ময়মনসিংহের সীমান্ত এলাকায় টহল ও নজরদারি বাড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। পাশাপাশি স্থানীয় লোকজনকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি কৃষকেরা ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় গরু চরাতেও যাচ্ছেন না।

গত বুধবার দিনভর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও ধোবাউড়া উপজেলার ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে সবার সতর্ক অবস্থান। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা শুরুর পর গুগল মানচিত্র থেকে বিএসএফের ক্যাম্পগুলো মুছে দেওয়া হয়েছে। তবে বিজিবির ক্যাম্পগুলো মানচিত্রে আছে। সম্প্রতি ভারতীয় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও আগের লাল বাতির বদলে সাদা বাতি স্থাপন করছে বলে বিজিবির একটি সূত্র জানিয়েছে।

বুধবার দুপুরে হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া বিজিবি ক্যাম্পের ছয়জন সদস্যকে নীল পতাকা হাতে সীমান্ত এলাকায় টহল দিতে দেখা যায়। বিপরীতে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের তোরা জেলার গাছুয়াপাড়া বিএসএফ ক্যাম্প। গোবরাকুড়া বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার নায়েক সুবেদার মো. আজিবুল হাসান বলেন, ‘আমাদের জনবল বৃদ্ধি ও টহল বাড়ানো হয়েছে। বিএসএফ কোনো অপতৎপরতা চালালে তা প্রতিহত করতে আমরা প্রস্তুত। আমাদের এলাকা দিয়ে এখন পর্যন্ত কোনো পুশ ইনের ঘটনা ঘটেনি।’

হালুয়াঘাটের গাজীরভিটা ইউনিয়নের বরাক গ্রামে বান্দরাকাটা বিজিবি ক্যাম্প। বিপরীতে ভারতের নামছাড়া বিএসএফ ক্যাম্প। সীমান্ত সড়ক দিয়ে যাওয়ার পথে বিএসএফ ও বিজিবির টহল দেখা যায়। এলাকায় দাঁড়িয়ে কথা হয় বরাক গ্রামের সাইফুল ইসলামের (৪০) সঙ্গে। বলেন, বিএসএফ সদস্যসংখ্যা ও টহল নজরদারি বাড়িয়েছে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে আতঙ্কে থাকলেও এখন যুদ্ধ বন্ধ হওয়ায় আতঙ্ক কমেছে।

বরাক গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন (৩৮) বলেন, ‘আগে গরুকে খাওয়ানোর জন্য বর্ডারে গেলেও বিজিবি মাইকিং করে দিয়েছে আমরা যেন না যাই। তারপর থেকে সীমান্তে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না।’ একই গ্রামের গিয়াস উদ্দিন (৬০) বলেন, ‘সীমান্তে বিজিবি টহল বাড়িয়েছে, সব সময় লোক আছেই। চাইলেই আমাদের দেশে কেউ ঢুকতে পারবে না। আমরাও সতর্ক আছি।’

ধোবাউড়ার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের গাছুয়াপাড়া গ্রামে মাধুপাড়া বিজিবি ক্যাম্প। সীমান্তের ওপারে ভারতের নেত্রী বিএসএফ ক্যাম্প। হালুয়াঘাট-ধোবাউড়া সীমান্ত সড়ক থেকে ৫ মিনিট সামনে হাঁটলেই পাহাড়ের ওপর বিএসএফের ক্যাম্প দেখা যায়। পাহাড়ের নিচ দিয়ে ভারতীয় যানবাহন চলাচল করছে। সরু একটি খাল পেরোলেই ভারতের সড়ক। হাতে দা নিয়ে খাল পার হয়ে এ পারে আসেন রফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। তিনি ধোবাউড়ার গাছুয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।

আরও পড়ুনবড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো ৪৪ জনকে পুলিশে হস্তান্তর করল বিজিবি০৯ মে ২০২৫

রফিকুল বলেন, ‘জঙ্গল পরিষ্কার করার জন্য হাতে দা রাখি। সীমান্ত এলাকায় আমাদের পরিস্থিতি শান্ত আছে। এলাকায় আমরা যারা আছি, তারাও সতর্ক রয়েছি। বিজিবি টহল বাড়িয়েছে এবং আমাদেরও সতর্ক থাকতে বলেছে। সীমান্তে গরু নিতে নিষেধ করেছে।’
সীমান্ত এলাকায় মিনিট পাঁচেক থাকতেই ৩১ বিজিবির অধীনে থাকা মাধুপাড়া ক্যাম্পের সদস্যরা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করতে বললেন। দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রমজান আলী বলেন, ‘সীমান্তের মানুষ খুব সতর্ক আছি। কোনো মানুষ এ দিক দিয়ে ভারতে প্রবেশ কিংবা ভারত থেকে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।’

ময়মনসিংহের সীমান্ত এলাকায় টহল বাড়িয়েছে বিজিবি। গত বুধবার দুপুরে হালুয়াঘাট উপজেলার গোবরাকুড়া সীমান্ত এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মহাসড়ক অবরোধ করে গতিরোধক স্থাপনের দাবি
  • নান্দাইলে প্রাইভেটকার চাপায় নিহত ১
  • রেলওয়ের জমির ‘লাভ খাচ্ছে’ মসিক, উচ্ছেদে বাধা
  • ময়মনসিংহ সীমান্তে বিজিবির টহল বেড়েছে, এলাকাবাসীও সতর্ক
  • ময়মনসিংহে ছাত্রদল নেতার মাথায় ছুরিকাঘাত
  • ময়মনসিংহে ৬ বছর পর ছাত্রদলের জেলা ও মহানগর কমিটি
  • ময়মনসিংহে ডোবার পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যু
  • আকস্মিক অভিযানে হতবাক ব্যবসায়ীরা
  • ময়মনসিংহে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, সব হারিয়েছে ব্যবসায়ীরা