ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব, শিক্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ
Published: 18th, May 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর চৌরঙ্গী বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ রেজাউল করিম মিলনের শাস্তি ও অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ তুলে তারা এ কর্মসূচি পালন করেন।
রবিবার (১৮ মে) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিদ্যালয় চত্বরে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১টার দিকে আন্দোনকারীরা কুমারখালী-পান্টি সড়ক অবরোধ করে চৌরঙ্গী বাজার এলাকায় বিক্ষোভ করেন। এসময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে বিচারের আশ্বাস দিলে আন্দোলনকারীরা সড়ক থেকে সরে যান।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিদ্যালয়ে আসেননি প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয়রা। মানববন্ধনে ক্লাস বাদ দিয়ে যোগ দেন বিদ্যালয়ে আসা শিক্ষার্থীরা। এরপর বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের তালা ভেঙে চৌরঙ্গী বাজারের চৌরাস্তা মোড়ে প্রায় দুই ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। সপ্তাহিক হাটের দিন হওয়ায় সড়কের দুই পাশে যানজট সৃষ্টি হয়।
আরো পড়ুন:
ইউআইইউ অধ্যাপকের টেলিকম ও আইসিটি অ্যাওয়ার্ড অর্জন
জবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার বিচার দাবি
বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা জানান, বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেন প্রধান শিক্ষক মিলন। এর আগেও অনেকের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন তিনি। কেউ সাহস করে মুখ খোলেনি। আমরা প্রধান শিক্ষকের শাস্তি চাই।
চৌরঙ্গী এলাকার বাসিন্দা আইয়ুব আলী বলেন, “প্রধান শিক্ষক মিলনের বিরুদ্ধে আগেও অনেক ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগ আছে। কেউ প্রকাশ করার সাহস পায়নি। এবার যেহেতু প্রকাশ হয়েছে, সেক্ষেত্রে প্রধান শিক্ষককে বহিষ্কার করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।"
এলাকাবাসী জানান, গত ১২ মে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক উম্মত আলী উপবৃত্তি দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে লাইব্রেরিতে নিয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে রেখে আসেন। সেখানে ওই ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ ওঠে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গত ১৫ মে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগীর মা।
ছাত্রীর চাচা বলেন, প্রধান শিক্ষক মিলন আমার ভাতিজির সঙ্গে খারাপ কাজ করেছে। বিচারের জন্য লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। অভিযোগের পর থেকেই ওই শিক্ষক হুমকি দিচ্ছেন। আমরা সঠিক বিচার চাই।
ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, “উপবৃত্তির কথা বলে উম্মত স্যার ডেকে নিয়ে যায়। মিলন স্যার খারাপ কিছু করেন। ভয়ে স্কুলে যাচ্ছি না। আমি বিচার চাই।”
এ বিষয়ে জানতে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম মিলনের মোবাইলে একাধিকবার কলা করা হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ওয়াছেল আলী বলেন, “শুনেছি প্রধান শিক্ষক এক ছাত্রীর সঙ্গে খারাপ কিছু করেছেন। যদি এমনটি হয়ে থাকে, তাহলে তদন্ত করে বিচার হওয়া উচিৎ।”
মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নাজমুল হক বলেন, “লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার (১৯ মে) কমিটি তদন্তে যাবে।”
কুমারখালী থানার (ওসি) মো.
ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ রঙ গ তদন ত
এছাড়াও পড়ুন:
চলনবিলে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার কলেজছাত্রী
সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার যুবক আরিফ হোসেনের সঙ্গে রায়গঞ্জের এক কলেজছাত্রীর পরিচয় হয় ফেসবুকে। এরপর তারা প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। বেড়ানোর কথা বলে ওই কলেজছাত্রীকে গত ২১ জুন তাড়াশের হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়কের পাশে চলনবিল এলাকায় ডাকেন আরিফ। সেখানে কৌশলে একজনের বাড়িতে নিয়ে তাকে ধর্ষণ করা হয়। ঘটনার ছয় দিন পর ২৭ জুন আরিফের নামে তাড়াশ থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী।
আরিফের বাড়ি তাড়াশের মাগুড়াবিনোদ ইউনিয়নে। তাড়াশ থানার ওসি জিয়াউর রহমান সমকালকে জানান, প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সাতকানিয়ায় কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় বিয়ের কথা বলে কিশোরীকে (১৭) ধর্ষণের অভিযোগে শহিদুল ইসলাম শিহাব নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রোববার রাতে তাকে নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধর্ষণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা সোমবার তার বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় মামলা করেছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, দেড় বছর আগে শহিদুলের সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। এ সম্পর্ক পরে প্রেমে রূপ নেয়। এক পর্যায়ে তারা একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কে জড়ায়। কিন্তু বিয়ের কথা বললে শহিদুল অস্বীকৃতি জানান। এ জন্য থানায় মামলা করা হয়েছে।
সুনামগঞ্জে ধর্ষণ মামলায় কারাগারে পুলিশ সদস্য
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় আইনুল হক নামের এক পুলিশ সদস্যকে মঙ্গলবার কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। এর আগে সোমবার রাতে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে আইনুলের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় মামলা করেন। আইনুলের বাড়ি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায়। তিনি ধর্মপাশা থানায় কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।
এদিকে কুমিল্লার মুরাদনগরে গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের ঘটনাসহ দেশব্যাপী অব্যাহত নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজবাড়ীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়েছে। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ রাজবাড়ী জেলা শাখার উদ্যোগে বিকেলে শহরের মিলেনিয়াম মার্কেটের সামনে প্রধান সড়কে এ মানববন্ধন হয়।
(সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধির পাঠানো তথ্য)