আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যের প্রতিভা ও কর্মে উদ্ভাসিত : ডিসি
Published: 22nd, May 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যের প্রতিভা ও কর্মে উদ্ভাসিত। বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ।
আগামীর বাংলাদেশ হবে তারুণ্যের দক্ষতানির্ভর বাংলাদেশ, যেখানে তরুণরা তাদের মেধা ও দক্ষতা দিয়ে রাষ্ট্রকে নিয়ে যাবে এক অনন্য উচ্চতায়। তরুণদের নেতৃত্বেই গড়ে উঠবে স্বপ্নের বাংলাদেশ।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ কলেজ অডিটরিয়ামে নারায়ণগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে 'তারুণ্য নির্ভর বাংলাদেশ বিনির্মাণ' বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা তথ্য অফিসার মোহাম্মদ কামরুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও শিক্ষক আরিফ মিহিরের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো.
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা আরও বলেন, ৫২’র ভাষা আন্দোলনের কারণে আজ আমরা বাংলায় কথা বলছি। ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ এবং জুলাই ২০২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে আমাদের স্বাধীনতা তরুণদের হাত ধরেই এসেছে।
তরুণরাই আগামীর দিক নির্দেশক। জুলাই ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের পরে যখন পুলিশ ছিলোনা তখন তরুণরাই ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করেছে এবং বাজার মনিটরিং করেছে। সাথে তারা নিজেরাও আইন সম্পর্কে সচেতন হচ্ছে।
তিনি বলেন, তরুণদের শিক্ষার সাথে সাথে কারিগরি শিক্ষা এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতে আগ্রহী করে গড়ে তুলতে হবে।
এছাড়া অন্যান্য বক্তাগণ বলেন, দূর্নীতির বিরুদ্ধে সকলকে রুখে দাঁড়াতে হবে। সকল ক্ষেত্রে তরুণদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। তরুণদের হাত ধরেই জুলাই ২০২৪ গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত রাষ্ট্রে যেন বৈষম্য ও স্বৈরশাসন তৈরি না হয়। তরুণদের সকল ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিয়ে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ আগ ম র
এছাড়াও পড়ুন:
ইরান–ইসরায়েলের অর্থনীতি এই সংঘাত কত দিন চালিয়ে নিতে পারবে
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত দ্বিতীয় সপ্তাহে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যে বড় ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এ অঞ্চলে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। তবে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার আর্থিক সামর্থ্য দেশ দুটির রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
১৩ জুন ভোররাতে হামলা চালিয়ে ইরানের কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পরমাণুবিজ্ঞানীকে হত্যা করে ইসরায়েল। এ ছাড়া হামলায় দেশটির কিছু পারমাণবিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জবাবে ইরানও ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে। এতে দুই পক্ষে হতাহতের ঘটনাও ঘটছে।
তবে এই সংঘাত দুই দেশের অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে। এর মধ্যে দুটি দেশই শতকোটি ডলার ক্ষতির মুখে পড়েছে, যা তাদের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি করতে পারে।
যুদ্ধের পেছনে ইসরায়েলের কত খরচ
২০২৩ সালের অক্টোবর ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধ শুরু করে ইসরায়েল। এখানো সেখানে যুদ্ধ চলছে। এরই মধ্যে ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক উত্তেজনা দেশটিকে ইতিহাসের সবচেয়ে ব্যয়বহুল সংঘাতের মধ্যে ফেলে দিয়েছে।
ইসরায়েলের বাণিজ্যিক পত্রিকা ক্যালক্যালিস্ট ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এতে দেখা গেছে, শুধু গাজা যুদ্ধেই ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ ইসরায়েলের মোট খরচ দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৭০৫ কোটি মার্কিন ডলার।
গত ১৫ জুন ইসরায়েলের গণমাধ্যম ওয়াই নেট নিউজে প্রকাশিত প্রতিবেদনে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের সাবেক আর্থিক উপদেষ্টার উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়, ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরুর মাত্র দুই দিনেই ইসরায়েলের ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৪৫ কোটি মার্কিন ডলার। যুদ্ধ অব্যাহত থাকলে সাত সপ্তাহের মধ্যে ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ গাজা যুদ্ধের ব্যয়কে ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ইরানের আরক পারমাণবিক স্থাপনায় গতকাল বৃহস্পতিবার হামলা চালায় ইসরায়েল। ২০০৬ সালে তোলা