ইসরায়েলি সেনাবাহিনী উত্তর গাজা উপত্যকার ১৪টি এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এসব এলাকার মধ্যে বেইত লাহিয়া ও জাবালিয়ার কিছু অংশ রয়েছে। বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরবি ভাষায় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আপনার এলাকায় বড় অভিযান চলবে, কারণ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো উল্লেখিত অঞ্চলগুলোতে তাদের কার্যকলাপ এবং তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।”

বুধবার সন্ধ্যায় উত্তর গাজার জন্য একই ধরণের সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।

এদিকে, গাজায় জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ এক বিবৃতিতে বলেছে, গাজার কোনো এলাকাই আর নিরাপদ নয়। 

সংস্থাটি এক্স-এ প্রকাশিত বিবৃতিতে বলেছে, “গাজার ইউএনআরডব্লিউএ স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি হাজার হাজার মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করত। বোমা হামলায় কেন্দ্রটির উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়েছে, ফলে এটি এখন আর কার্যক্ষম নয়। ১৯ মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে গাজার ঘরবাড়ি এবং অবকাঠামো ধ্বংস হয়ে গেছে। জাতিসংঘ ভবনগুলোও রেহাই পায়নি, ইউএনআরডব্লিউএ  ভবনগুলোর বেশিরভাগই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাজার কোনো স্থানই নিরাপদ নয়।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

তিউনেসিয়ায় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খবর না দেখায় কারাদণ্ড

টেলিভিশনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন তিউনিসীয় বন্দীকে বাড়তি আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা এবং ওই বন্দীর আইনজীবী গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।

আইনজীবী আদেল সাগাইর বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রথমে দণ্ডবিধির ৬৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই ধারা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরে মামলাটির রাজনৈতিক দিকটি আড়াল করতে ওই ধারা পরিবর্তন করে জনসমক্ষে অশোভন আচরণের অভিযোগ আনা হয়।

তিউনিসিয়া লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের গাফসা শহর শাখা জানায়, ওই বন্দী তাঁর কারাকক্ষের টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। 

সাইদ ২০১৯ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০২১ সালে একচেটিয়াভাবে দেশটির সার্বিক ক্ষমতা দখল করেন। এর পর থেকে ডিক্রি দিয়ে শাসন করেছেন।

গত বছরের অক্টোবরে উত্তর আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পান কাইস সাইদ। তবে নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ