চট্টগ্রামে এক ব্যবসায়ী দম্পতির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। তাঁরা হলেন হাসানুর রশিদ ও তাঁর স্ত্রী সৈয়দা ফাতেমা নারগিস। আজ বৃহস্পতিবার অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বিচারক মো. হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।

ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, ট্রেডিং ও পণ্য আমদানির নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেন হাসানুর রশিদ। নগরের চাক্তাই এলাকায় সুতার কারখানা ছিল। ২০১৪-১৫ সালে তুরস্ক থেকে কিছু ঘি ও সানফ্লাওয়ার অয়েল আমদানি করেন। পরে এগুলো বন্ধ হয়ে যায়।

অর্থঋণ আদালত চট্টগ্রামের বেঞ্চ সহকারী মো.

এরশাদ প্রথম আলোকে বলেন, সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচারাল অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক নগরের নাসিরাবাদ শাখার ৮ কোটি ৮২ লাখ টাকা, ঢাকা ব্যাংক নিউমার্কেট শাখার ১ কোটি ৫৮ লাখ টাকা এবং আইএফআইসি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ৪ কোটি ৩৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ঋণ খেলাপের মামলায় ব্যাংকের পক্ষ থেকে হাসানুর রশিদ ও তাঁর স্ত্রীর দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার আবেদন করা হয়। ঋণের বিপরীতে ব্যাংকে পর্যাপ্ত সম্পদ বন্ধক নেই। এ অবস্থায় বিবাদীরা দেশ ত্যাগ করলে ব্যাংক ডিক্রি পেলেও টাকা আদায় সম্ভব হবে না।

এরশাদ আরও বলেন, আদালত ব্যাংকের করা আবেদন মঞ্জুর করে হাসানুর ও তাঁর স্ত্রীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশ দেন। একই সঙ্গে পুলিশের অভিবাসন শাখার পুলিশ সুপারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।

উল্লেখ্য, হাসানুর রশিদ ও তাঁর স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে মোট ৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে পরিশোধ না করায় অন্তত ২০টি মামলা রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র দ শত য গ

এছাড়াও পড়ুন:

তিউনেসিয়ায় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খবর না দেখায় কারাদণ্ড

টেলিভিশনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন তিউনিসীয় বন্দীকে বাড়তি আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা এবং ওই বন্দীর আইনজীবী গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।

আইনজীবী আদেল সাগাইর বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রথমে দণ্ডবিধির ৬৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই ধারা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরে মামলাটির রাজনৈতিক দিকটি আড়াল করতে ওই ধারা পরিবর্তন করে জনসমক্ষে অশোভন আচরণের অভিযোগ আনা হয়।

তিউনিসিয়া লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের গাফসা শহর শাখা জানায়, ওই বন্দী তাঁর কারাকক্ষের টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। 

সাইদ ২০১৯ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০২১ সালে একচেটিয়াভাবে দেশটির সার্বিক ক্ষমতা দখল করেন। এর পর থেকে ডিক্রি দিয়ে শাসন করেছেন।

গত বছরের অক্টোবরে উত্তর আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পান কাইস সাইদ। তবে নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ