জো রুট এক দিনে দুই রকম অভিজ্ঞতারই স্বাদ নিলেন। কাল তাঁর ১৩ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার কীর্তি একদিকে যেমন দ্রুততম, তেমনি মন্থরতমও। বিভ্রান্ত হচ্ছেন?

আসলে ম্যাচের হিসাব ও ইনিংসের হিসাবে রুটের অবস্থান এই আলাদা দুই পরিসংখ্যানের পাতায়। ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক ম্যাচের হিসাবে দ্রুততম ১৩ হাজার রানের কীর্তি গড়েছেন। তবে ইনিংসের হিসাবে আবার এই রুটই ১৩ হাজারে পৌঁছেছেন সবচেয়ে দেরিতে।

রুট ইংল্যান্ডের প্রথম ও টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ন্যূনতম ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। আগে থেকেই ১৩ হাজার রানের ক্লাবে আছেন শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, জ্যাক ক্যালিস ও রাহুল দ্রাবিড়। ম্যাচের হিসাবে তাঁদের সবাইকে টপকে যাওয়া রুট ইনিংসের হিসাবে সবার পেছনে।

রুটের ১৩ হাজারে পৌঁছাতে লেগেছে ২৭৯ ইনিংস। ভারতীয় কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়ের ১৩ হাজার রান করতে লেগেছে ২৭৭ ইনিংস। ২৭৫ ইনিংসে রিকি পন্টিং আর ২৬৯ ইনিংসে জ্যাক ক্যালিস ছুঁয়েছেন ১৩ হাজার রানের মাইলফলক। টেন্ডুলকারের লেগেছিল ২৬৬ ইনিংস, ইনিংসের হিসাবে তিনিই দ্রুততম।

আরও পড়ুনআইপিএলে খেলার লোভে পড়ে প্রতারক চক্রের কাছে ২৪ লাখ রুপি খোয়ালেন তরুণ ক্রিকেটার২ ঘণ্টা আগে

তবে ম্যাচের হিসাবে ১৫৩ টেস্ট খেলা রুটের চেয়ে ১০ টেস্ট বেশি খেলেছেন টেন্ডুলকার। এই বিবেচনায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ক্যালিস, ১৫৯ ম্যাচ।
কাল ট্রেন্ট ব্রিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মাইলফলক ছুঁতে রুটের প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রথম দিনের শেষ সেশনে সেটি করেন রুট। যদিও ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। আউট হয়ে যান ৩৪ রান করে।

রুটের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর, ভারতের বিপক্ষে নাগপুরে। টেস্টে তাঁর সেঞ্চুরি ৩৬, এটিও ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ। তাঁর সমান ৩৬টি সেঞ্চুরি আছে দ্রাবিড়ের। এর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু ক্যালিস (৪৫), পন্টিং (৪১) ও টেন্ডুলকারের(৫১)।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ১৩ হ জ র র ন র ট ন ড লক র ম ইলফলক

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।

মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।

পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ