১৩ হাজারের কীর্তি: রুট যেখানে সবার আগে এবং সবার পরে
Published: 23rd, May 2025 GMT
জো রুট এক দিনে দুই রকম অভিজ্ঞতারই স্বাদ নিলেন। কাল তাঁর ১৩ হাজার রানের মাইলফলক ছোঁয়ার কীর্তি একদিকে যেমন দ্রুততম, তেমনি মন্থরতমও। বিভ্রান্ত হচ্ছেন?
আসলে ম্যাচের হিসাব ও ইনিংসের হিসাবে রুটের অবস্থান এই আলাদা দুই পরিসংখ্যানের পাতায়। ইংল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক ম্যাচের হিসাবে দ্রুততম ১৩ হাজার রানের কীর্তি গড়েছেন। তবে ইনিংসের হিসাবে আবার এই রুটই ১৩ হাজারে পৌঁছেছেন সবচেয়ে দেরিতে।
রুট ইংল্যান্ডের প্রথম ও টেস্ট ইতিহাসে পঞ্চম ক্রিকেটার হিসেবে ন্যূনতম ১৩ হাজার রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। আগে থেকেই ১৩ হাজার রানের ক্লাবে আছেন শচীন টেন্ডুলকার, রিকি পন্টিং, জ্যাক ক্যালিস ও রাহুল দ্রাবিড়। ম্যাচের হিসাবে তাঁদের সবাইকে টপকে যাওয়া রুট ইনিংসের হিসাবে সবার পেছনে।
রুটের ১৩ হাজারে পৌঁছাতে লেগেছে ২৭৯ ইনিংস। ভারতীয় কিংবদন্তি রাহুল দ্রাবিড়ের ১৩ হাজার রান করতে লেগেছে ২৭৭ ইনিংস। ২৭৫ ইনিংসে রিকি পন্টিং আর ২৬৯ ইনিংসে জ্যাক ক্যালিস ছুঁয়েছেন ১৩ হাজার রানের মাইলফলক। টেন্ডুলকারের লেগেছিল ২৬৬ ইনিংস, ইনিংসের হিসাবে তিনিই দ্রুততম।
আরও পড়ুনআইপিএলে খেলার লোভে পড়ে প্রতারক চক্রের কাছে ২৪ লাখ রুপি খোয়ালেন তরুণ ক্রিকেটার২ ঘণ্টা আগেতবে ম্যাচের হিসাবে ১৫৩ টেস্ট খেলা রুটের চেয়ে ১০ টেস্ট বেশি খেলেছেন টেন্ডুলকার। এই বিবেচনায় দ্বিতীয় স্থানে আছেন ক্যালিস, ১৫৯ ম্যাচ।
কাল ট্রেন্ট ব্রিজে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মাইলফলক ছুঁতে রুটের প্রয়োজন ছিল ২৮ রান। বৃহস্পতিবার ম্যাচের প্রথম দিনের শেষ সেশনে সেটি করেন রুট। যদিও ইনিংসটি বড় করতে পারেননি। আউট হয়ে যান ৩৪ রান করে।
রুটের টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ২০১২ সালের ১৩ ডিসেম্বর, ভারতের বিপক্ষে নাগপুরে। টেস্টে তাঁর সেঞ্চুরি ৩৬, এটিও ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ। তাঁর সমান ৩৬টি সেঞ্চুরি আছে দ্রাবিড়ের। এর চেয়ে বেশি সেঞ্চুরি আছে শুধু ক্যালিস (৪৫), পন্টিং (৪১) ও টেন্ডুলকারের(৫১)।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ১৩ হ জ র র ন র ট ন ড লক র ম ইলফলক
এছাড়াও পড়ুন:
‘যুগোপযোগী বিধি প্রণয়ন আগামী প্রজন্মের কাছে মাইলফলক হয়ে থাকবে’
বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা- ২০২৫ কে স্বাগত জানিয়েছে এফবিসিসিআই-এর বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদ। সংগঠনটি বলেছে, ৩১ পর ব্যবসায়ীদের চাহিদা অনুসারে যুগোপযোগী বিধি প্রণয়ন আগামী প্রজন্মের কাছে মাইলফলক হয়ে থাকবে। এই বিধি আগামীতে এফবিসিসিআইসহ দেশের সকল বাণিজ্য সংগঠন দখলদারমুক্ত হয়ে স্বকীয়তা ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সাড়ে তিন কোটি ব্যবসায়ীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলা হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উত্থাপন করেন এফবিসিসিআই-এর বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের সদস্যসচিব জাকির হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে আরও জানানো হয়, গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জনবান্ধব করার উদ্যোগ নিয়েছে। সাধারণ ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা প্রণয়ন ও এফবিসিসিআই এর সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সারাদেশে বিভিন্ন চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের কাছ থেকে লিখিত প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়। এসব প্রস্তাব এফবিসিসিআই-এর প্রশাসক বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠান। পাশাপাশি বিভিন্ন সভা ও সেমিনারে সংস্কারের পক্ষে ব্যবসায়ীদের দিক থেকে জোরালো অবস্থান ব্যক্ত করা হয়। গত ২০ মে সরকার বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা-২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।
নেতারা বলেন, এই বিধিমালার অধীনে এফবিসিসিআই প্রশাসক খুব শিগগিরই নতুন নির্বাচনের পদক্ষেপ নেবেন। আমরা আশা করি আগামী নির্বাচনে সাড়ে তিন কোটি ব্যবসায়ীর প্রিয় সংগঠন এফবিসিসিআই এর সাধারণ পরিষদ সদস্যরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সুযোগ্য নেতৃত্ব তৈরি করবেন। যারা ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণে নিঃস্বার্থভাবে কাজ করবেন।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর বৈষম্যবিরোধী সংস্কার পরিষদের আহ্বায়ক জাকির হোসেন নয়ন, উপদেষ্টা আবুল কাশেম হায়দার, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী খোকন, সদস্য বেলায়েত হোসেন ভূঁইয়া, আনিসুর রহমান বাদশা, ড. হাসিব মাহমুদ, ফিরোজ আলম, সাঈদা আখতার প্রমুখ।