নদীতে ভাসছিল তরুণের হাত-পা বাঁধা মরদেহ
Published: 24th, May 2025 GMT
পাবনার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের মিলনচর এলাকার গুমানি নদী থেকে ইতুল হোসেন (১৮) নামে এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৪ মে) রাত ৯টার দিকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে, শুক্রবার (২৩ মে) রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন ইতুল। তিনি মিলনচর গ্রামের নবীর উদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে দুইজন অজ্ঞাত যুবক একটি মোটরসাইকেলে ইতুলকে ডেকে নিয়ে যান। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শনিবার সন্ধ্যায় গুমানি নদীর কাজিরচর ও মিলনচর সংযোগস্থলে হাত-পা বাঁধা একটি মরদেহ দেখতে পান এলাকাবাসী।
আরো পড়ুন:
বরগুনায় দুজনের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার
গড়াই নদী থেকে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার
খবর পেয়ে চাটমোহর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। উদ্ধারের পর ইতুলের পরিবার তার পরিচয় নিশ্চিত করে। এ সময় ইতুলের হাত-পা বাঁধা ছিল এবং তার সঙ্গে নাক ও মুখে রক্তাক্ত জখম ছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম বলেন, “এলাকাবাসীর মাধ্যমে খবর পেয়ে রাত ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে এটা হত্যা বলেই ধারণা করা হচ্ছে। তবে কারা কি কারণে ইতুলকে হত্যা করেছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”
ওসি আরো বলেন, “আগামীকাল রবিববার ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হবে। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
ঢাকা/শাহীন/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ ন হত নদ
এছাড়াও পড়ুন:
তিউনেসিয়ায় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খবর না দেখায় কারাদণ্ড
টেলিভিশনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন তিউনিসীয় বন্দীকে বাড়তি আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা এবং ওই বন্দীর আইনজীবী গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।
আইনজীবী আদেল সাগাইর বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রথমে দণ্ডবিধির ৬৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই ধারা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরে মামলাটির রাজনৈতিক দিকটি আড়াল করতে ওই ধারা পরিবর্তন করে জনসমক্ষে অশোভন আচরণের অভিযোগ আনা হয়।
তিউনিসিয়া লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের গাফসা শহর শাখা জানায়, ওই বন্দী তাঁর কারাকক্ষের টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।
সাইদ ২০১৯ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০২১ সালে একচেটিয়াভাবে দেশটির সার্বিক ক্ষমতা দখল করেন। এর পর থেকে ডিক্রি দিয়ে শাসন করেছেন।
গত বছরের অক্টোবরে উত্তর আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পান কাইস সাইদ। তবে নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।