বাংলাদেশিদের ‘ভাই’ বলায় ভারতের ওড়িশা রাজ্যের ভুবনেশ্বরের মেয়র এবং বিজেডির সিনিয়র নেত্রী সুলোচনা দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। আঞ্চলিক সুরক্ষিত মঞ্চ নামের স্থানীয় একটি সংগঠন এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। রবিবার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ওড়িশা টিভি এ তথ্য জানিয়েছে।

সংগঠনটির দাবি, মেয়র এমন মন্তব্য করেছেন যেটি অবৈধ অভিবাসীদের সমর্থন করে। মেয়রের এই অবস্থান শহরের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করতে পারে।

সংগঠনের সভাপতি জগন্নাথ প্রধান মেয়রের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন। 

সম্প্রতি সুলোচনা দাস বলেছেন, সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী যেসব বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর কোনো কাগজপত্র নেই, তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। কিন্তু যারা বাংলাদেশ থেকে এসেছেন এবং রেশন কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড পেয়েছেন এবং এখানে নাগরিক হিসেবে বসবাস করছেন, তাদের কোনোভাবেই বহিষ্কার করা যাবে না। তাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়া হবে না। আমরা সবাই তাদের সাথে আছি। তারা আমাদের ভাইয়ের মতো এখানে বসবাস করছেন। তাদের সঠিকভাবে বসবাস নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তারা যেখানেই থাকুক, এখানে থাকুক বা অন্য কোথাও থাকুক, তাদের যথাযথ যত্ন নেওয়া উচিত। আমরা রাজ্য সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করি না, তবে যাদের রেশন কার্ড, ভোটার আইডি কার্ড আছে এবং যারা নাগরিক হিসেবে এখানে বসবাস করছেন, তাদের কোনও ধরণের অবিচারের সম্মুখীন হওয়া উচিত নয়। আমরা যেমন এখানে থাকি, তাদেরও একইভাবে বসবাস করার অনুমতি দেওয়া উচিত।”

অভিযোগকারী জগন্নাথ প্রধান সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, “তিনি (মেয়র) তাদের (বাংলাদেশি অভিবাসীদের) ‘ভাই’ ও ‘পরিবার’ বলে সম্বোধন করে তাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও উৎসাহিত করেছেন, যা একটি গুরুতর অপরাধ। এই কারণেই তারা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হতে দ্বিধা করবে না।”

ঢাকা/শাহেদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

আন্তর্জাতিক এসএমএস সেবার ব্যবসা চান আইজিডব্লিউ অপারেটররা

মোবাইল অপারেটররা আন্তর্জাতিক খুদে বার্তা সেবা (এটুপি এসএমএস) নিয়ন্ত্রণ করায় প্রতি মাসে সরকার ৩০ লাখ ডলার রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক গেটওয়ে অপারেটরদের সংগঠন আইজিডব্লিউ অপারেটরস ফোরাম (আইওএফ)। সংগঠনের নেতারা বলছেন, তাঁদের মাধ্যমে এটুপি সেবা পরিচালনা করা হলে সরকার বর্তমানের তুলনায় আট গুণ বেশি রাজস্ব পাবে। পাশাপাশি আইজিডব্লিউ অপারেটরদের টিকে থাকা এবং দেশে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নতুন উৎসও তৈরি হবে।

রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘ইন্টারন্যাশনাল গেটওয়ে (আইজিডব্লিউ) শিল্পের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক এক কর্মশালায় তাঁরা এই দাবি করেন। কর্মশালাটি আয়োজন করেন টেলিকম অ্যান্ড টেকনোলজি রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ (টিআরএনবি)।

কর্মশালায় আইওএফের সভাপতি আসিফ রাব্বানী বলেন, ‘আইএলডিটিএস (আন্তর্জাতিক দূরপাল্লার টেলিযোগাযোগ সেবা) নীতিমালায় আন্তর্জাতিক এসএমএস পরিষেবা আইজিডব্লিউর মাধ্যমে পরিচালিত হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়িত হয়নি। নীতিমালার ব্যত্যয় ঘটিয়ে মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে সেবা পরিচালনা করে সরকার বিপুল রাজস্ব হারাচ্ছে।’

আসিফ রাব্বানী আরও বলেন, আইএলডিটিএস নীতিমালা কার্যকর হলে বছরে তাঁরা প্রায় ২০০ কোটি টাকা রাজস্ব সরকারের সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারবেন। একই সঙ্গে আইজিডব্লিউ অপারেটরদের ভবিষ্যতে টিকে থাকা নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, তা–ও দূর হবে।

আন্তর্জাতিক কল আসা কমেছে প্রায় ১০ গুণ

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইওএফের চিফ অপরেটিং অফিসার মুশফিক মঞ্জুর। প্রবন্ধে আইজিডব্লিউ খাতের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়, বিটিআরসিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত নজরদারির অভাবে অবৈধভাবে আন্তর্জাতিক কল বেড়েছে। ফলে বর্তমানে বৈধ পথে কল আসার পরিমাণ ১০ কোটি থেকে ১ কোটি ২০ লাখে নেমেছে।

প্রবন্ধে নতুন টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক ও লাইসেন্সিং নীতিমালা বিষয়ে বলা হয়েছে, দেশের টেলিযোগাযোগ খাতের সব নিয়ন্ত্রণ বহুজাতিক/বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার জন্য নীতিমালাটি তৈরি করা হয়েছে। নীতিমালাটি বাস্তবায়িত হলে মোবাইল অপারেটর কোম্পানিগুলোর একক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা হবে এবং স্থানীয় উদ্যোক্তারা ছিটকে পড়বেন। প্রবন্ধে আরও বলা হয়েছে, খসড়া নীতিমালায় জাতীয় স্বার্থকে বলি দিয়ে বিদেশি স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে এবং দেশের জাতীয় নিরাপত্তাকে গুরুতর ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হচ্ছে।

কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন টিআরএনবির সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন। কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন টিআরএনবির সভাপতি সমীর কুমার দে। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইওএফের নেতারা এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকেরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ