জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর চানখাঁরপুলে ৬ জনকে হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই সঙ্গে এই মামলার প্রধান আসামি ডিএমপির সাবেক কমিশনার পলাতক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।   

হাবিবসহ ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের দাখিল করা আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নিয়ে বিচারপতি মো.

গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল গতকাল রোববার এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এদিন সকালে প্রসিকিউশনের পক্ষে গাজী এমএইচ তামিম এ মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালের সংশ্লিষ্ট শাখায় দাখিল করেন। 

ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, এই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ইতোমধ্যে দাখিল করা হয়েছে। 
মামলার বিস্তারিত বিবরণ উপস্থাপনের পর ট্রাইব্যুনাল বলেন, আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তাই অভিযোগটি আমলে নেওয়া হলো। ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেওয়ার পর বিচারের আরেকটি ধাপ এগিয়ে গেল। ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এই মামলার ৯০ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন গত ২১ এপ্রিল প্রসিকিউশনে জমা দেয়। নথিপত্র পর্যালোচনা করে ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর গতকাল আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আকারে তা দাখিল করেন। পরে এ বিষয়ে শুনানি হয়।  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ খ ল কর প রস ক

এছাড়াও পড়ুন:

তিউনেসিয়ায় প্রেসিডেন্টকে নিয়ে খবর না দেখায় কারাদণ্ড

টেলিভিশনে তিউনিসিয়ার প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি খবর দেখতে অস্বীকৃতি জানানোয় একজন তিউনিসীয় বন্দীকে বাড়তি আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা এবং ওই বন্দীর আইনজীবী গত শুক্রবার এ কথা জানিয়েছেন।

আইনজীবী আদেল সাগাইর বলেন, তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে প্রথমে দণ্ডবিধির ৬৭ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। এই ধারা রাষ্ট্রপ্রধানের বিরুদ্ধে অপরাধের সঙ্গে সম্পর্কিত। পরে মামলাটির রাজনৈতিক দিকটি আড়াল করতে ওই ধারা পরিবর্তন করে জনসমক্ষে অশোভন আচরণের অভিযোগ আনা হয়।

তিউনিসিয়া লিগ ফর হিউম্যান রাইটসের গাফসা শহর শাখা জানায়, ওই বন্দী তাঁর কারাকক্ষের টেলিভিশনে প্রেসিডেন্টকে নিয়ে সম্প্রচারিত একটি সংবাদ দেখতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। 

সাইদ ২০১৯ সালের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসেন। ২০২১ সালে একচেটিয়াভাবে দেশটির সার্বিক ক্ষমতা দখল করেন। এর পর থেকে ডিক্রি দিয়ে শাসন করেছেন।

গত বছরের অক্টোবরে উত্তর আফ্রিকার দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পান কাইস সাইদ। তবে নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ইতিহাসে সবচেয়ে কম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ