রাজধানীতে কামরুল আহসান সাধন নামে বিএনপির এক নেতাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। রোববার রাত ৯টার দিকে মধ্য বাড্ডার গুদারাঘাট ৪ নম্বর গলিতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত কামরুল আহসান গুলশান থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক।
বাড্ডা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, রাতে মধ্য বাড্ডার কামরুল আহসান সাধনকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে লোকজন তাকে উদ্ধার করে হৃদরোগ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় গুদারাঘাট এলাকায় চেয়ারে বসে কয়েকজনের সঙ্গে গল্প করছিলেন কামরুল আহসান। ওই সময় দু’জন তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
নিহতের ভাগনি জামাই ইসমাইল হোসেন জানান, কে বা কারা, কেন তাকে হত্যা করেছে, তা বুঝতে পারছে না পরিবার।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
নিরাপদ ঈদুল আজহা উদ্যাপনে পুলিশ সদস্যদের কাজ করার নির্দেশ আইজিপির
উৎসবমুখর ও নিরাপদে ঈদুল আজহা উদ্যাপনে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য মাঠপর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা-সংক্রান্ত ভার্চ্যুয়াল সভায় আইজিপি এই নির্দেশনা দেন। পুলিশ সদর দপ্তরে বসে দেশের সব মহানগর পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল সভা করেন আইজিপি। পরে পুলিশ সদর দপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহানগর পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশসহ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে। সভায় কোরবানির পশু পরিবহন নির্বিঘ্ন করা, এক হাটের পশু জোর করে অন্য হাটে না নেওয়া, হাইওয়ের পাশে পশুর হাট না বসানো, জাল টাকা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, মার্কেট ও শপিংমলের নিরাপত্তা প্রদানে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
আইজিপি বলেন, ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশে পুলিশের অস্ত্র ব্যবহার পর্যালোচনার বিষয়টি শুধু জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অর্থাৎ মিছিল-সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের বেলায়ই উঠে এসেছে। মিছিল সমাবেশ নিয়ন্ত্রণে জীবনবিধ্বংসী মারণাস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা স্বভাবতই প্রশ্নবিদ্ধ। বিষয়টি বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে সশস্ত্র অপরাধী, চরমপন্থী ও বিদ্রোহপ্রবণ এলাকায় পুলিশি কার্যক্রমের সময় অবশ্যই প্রয়োজন অনুযায়ী অস্ত্র বহন করবে পুলিশ।
যেসব লাইসেন্সধারী সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র জমা দেননি, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।
সভায় পুলিশ সর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি মতিউর রহমান শেখ, বিশেষ শাখার অতিরিক্ত আইজিপি গোলাম রসুল, অতিরিক্ত আইজিপি (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) খোন্দকার রফিকুল ইসলাম, ডিআইজি (অপারেশনস) রেজাউল করিম, ডিআইজি (কনফিডেনশিয়াল) কামরুল আহসান ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।