পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কবীর হোসেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম মোসা সাক্ষরিত রোববার এক অফিস আদেশে তাঁকে এ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়।   

এতে বলা হয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংস্থা বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক হিসেবে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.

মো. কবীর হোসেনকে নিয়োগ করা হলো। এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পরম ণ ব দ য ৎ প রকল প প রকল প

এছাড়াও পড়ুন:

ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস কী

সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে ‘ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস’ যে মান, গুরুত্ব ও ব্যাপকতা নিয়ে হাজির হয়, তা অন্য সব পুরস্কারকে ছাপিয়ে যায়। এই পুরস্কারে বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের শ্রেষ্ঠত্ব যাচাই হয়—কে শুধু সেরা নয়, বরং সর্বোচ্চ সেরা। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর জন্য এটি এমন এক সুযোগ, যেখানে তারা নিজেদের সৃজনশীল কার্যক্রম, উদ্ভাবনী কৌশল ও ভবিষ্যৎ দর্শনকে তুলে ধরতে পারে।

এই মর্যাদাপূর্ণ আয়োজনের পেছনে রয়েছে ‘ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন’ বা ইনমা। ইনমা হলো বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর বৃহত্তম সংগঠন। ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠনটি বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যম শিল্পে উদ্ভাবন, পাঠকসংযোগ এবং ব্যবসা উন্নয়নসহ নানামুখী বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস থেকে পরিচালিত ইনমার সদস্যসংখ্যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২২ হাজার। যেখানে ১০০টির বেশি দেশের সংবাদমাধ্যম যুক্ত রয়েছে।

ইনমা ১৯৩৭ সাল থেকে ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস প্রদান করে আসছে। ইনমা গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস হলো সংবাদমাধ্যম খাতে উদ্ভাবন, পাঠকসংযোগ, ব্র্যান্ড উন্নয়ন, ডিজিটাল রূপান্তর ও ব্যবসায়িক কৌশলে সেরা কার্যক্রমের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি সংবাদমাধ্যমের গুণগত উন্নয়ন ও সৃজনশীল প্রচেষ্টার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মানদণ্ডে পরিণত হয়েছে।

প্রতিবছর এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠান। প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংস্থাগুলোর ব্র্যান্ডিং, উদ্ভাবন, পাঠকমুখী উদ্যোগ, গ্রাহক বৃদ্ধির কৌশল, বিজ্ঞাপন ও কনটেন্ট, ডিজিটাল পণ্য উন্নয়ন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার এবং বার্তাকক্ষ রূপান্তরের মতো বিষয়গুলো মূল্যায়ন করা হয়।

২০টি ভিন্ন ভিন্ন শ্রেণিতে পুরস্কার প্রদান করে ইনমা। প্রতিটি শ্রেণি সংবাদমাধ্যমের ভিন্ন ভিন্ন উদ্ভাবনী দিককে প্রতিনিধিত্ব করে। পাশাপাশি প্রতিটি অঞ্চলের জন্য আঞ্চলিক শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হয় ‘অঞ্চলে সেরা (বেস্ট ইন রিজিওন)’ পুরস্কার। যেমন দক্ষিণ এশিয়ায় সেরা, ইউরোপে সেরা ইত্যাদি।

২০২৫ সালের গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ৪৯টি দেশের ২৮৬টি শীর্ষস্থানীয় সংবাদমাধ্যম ব্র্যান্ডের মোট ৮৩৯টি প্রকল্প জমা পড়ে। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ছিল পত্রিকা, ম্যাগাজিন, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম, টেলিভিশন ও রেডিও মাধ্যম। চলতি বছরের শুরুতে ১৯৮টি প্রকল্পকে ফাইনালিস্ট হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। তার মধ্য থেকে চূড়ান্ত পুরস্কার প্রদান করা হয়। এই প্রতিযোগিতার জন্য আন্তর্জাতিক বিচারকমণ্ডলী হিসেবে কাজ করেন ২৬টি দেশের ৬০ জন শীর্ষ সংবাদমাধ্যম নির্বাহী।

এবারের আয়োজনে ২০টি শ্রেণিতে পুরস্কার ঘোষণা করা হয়, যাতে যুক্ত ছিল সংবাদ ব্র্যান্ডে উদ্ভাবন, ফিচারের কার্যকর ব্যবহার, সাবস্ক্রিপশন মডেল, প্রোডাক্ট ও বিজ্ঞাপন কৌশল, বাণিজ্যিক উদ্যোগ, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ, বার্তাকক্ষ উদ্ভাবনের মতো বিষয়গুলো।

ইনমার নির্বাহী পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আর্ল জে উইলকিনসন বলেন, ‘গ্লোবাল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ডস এটাই প্রমাণ করেছে যে সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলো কতটা সাহসিকতার সঙ্গে দীর্ঘদিনের প্রচলিত ধারা ভেঙে পাঠকদের সঙ্গে আরও ভালোভাবে সংযোগ স্থাপন করছে। এ বছরের বিজয়ীরা আমাদের দেখা অন্যতম সৃজনশীল ও অনুপ্রেরণাদায়ক—আমাদের অসাধারণ সব প্রতিযোগীকে নিয়ে আমরা গর্বিত।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ