ব্যাংক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ২৩ শতাংশ
Published: 27th, May 2025 GMT
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২২ দশমিক ৯৬ শতাংশ বেশি। এটি মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কাজে অর্থায়ন প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিএফআইইউর সক্রিয় ভূমিকা ও কর্মতৎপরতার প্রতিফলন।
মঙ্গলবার ( ২৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের জাহাঙ্গীর আলম কনফারেন্স হলে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) এর বার্ষিক প্রতিবেদন ২০২৩-২৪ প্রকাশ উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএফআইইউ এর প্রধান এ.
আরো পড়ুন:
ঈদের সরকারি ছুটিতে ৩ দিন শিল্প এলাকায় ব্যাংক খোলা
দি প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যাংকাসুরেন্স কার্যক্রমের উদ্বোধন
বিএফআইইউ এর প্রধান এ.এফ.এম শাহীনুল ইসলাম বলেন, বিএফআইইউ তার কাজের জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রতি বছর বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরের প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্যের পাশাপাশি একাধিক বিশ্লেষণমূলক প্রতিবেদন এবং জুলাই-ডিসেম্বর ২০২৪ সময়কালে বিএফআইইউ এর গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমের সারসংক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলো হতে বিএফআইইউতে দাখিল করা বিভিন্ন রিপোর্টের পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলো বিএফআইইউ-তে সর্বমোট ১৭ হাজার ৩৪৫টি সন্দেহজনক লেনদেনের প্রতিবেদন দাখিল করেছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় প্রায় ২২ দশমিক ৯৬ শতাশ বেশি। এটি মানিলন্ডারিং ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থায়ন প্রতিরোধে রিপোর্ট প্রদানকারী সংস্থাগুলোর কর্মকর্তাদের সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি এবং বিএফআইইউ এর সক্রিয় ভূমিকা ও কর্মতৎপরতার প্রতিফলন। গত বছরের তুলনায় ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো হতে নগদ লেনদেন বিবরণীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে বলে জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিএফআইইউ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১৪টি আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিবেদন বিভিন্ন তদন্তকারী সংস্থায় প্রেরণ করে। এছাড়া, বিএফআইইউ বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সাথে ১ হাজার ২২০টি তথ্য বিনিময় করেছে। যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ১৩ দশমিক ৯১ শতাশ বেশি। পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনার লক্ষ্যে বিএফআইইউ তদন্তকারী সংস্থাসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও অন্যান্য অংশীজনদের সাথে একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। অগ্রাধিকার বিবেচনায় বিএফআইইউ সরকারের সাথে পরামর্শ করে যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা হতে অর্থ ফেরত আনার বিষয়ে পরামর্শ, কারিগরি সহায়তা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া বিদেশি আইনি সংস্থা নিয়োগের মাধ্যমে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে, বিদেশ হতে পাচারকৃত অর্থ পুনরুদ্ধার একটি অত্যন্ত জটিল ও সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া। তারপরও আশা করা যায়, বিএফআইইউ এর বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে বিদেশ হতে পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা সম্ভব হবে।
ঢাকা/এনএফ/ফিরোজ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পণ্য রপ্তানিতে বিলিয়ন ডলারের কাছে ইয়াংওয়ান, অর্ধবিলিয়ন ছাড়িয়ে হা-মীম, মণ্ডল ও ডিবিএল
বাংলাদেশ থেকে পণ্য রপ্তানিতে শীর্ষ অবস্থানটি দক্ষিণ কোরীয় ব্যবসায়ী কিহাক সাংয়ের মালিকানাধীন ইয়াংওয়ান করপোরেশনের। এই তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দেশীয় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের মালিকানাধীন হা-মীম গ্রুপ।
ইয়াংওয়ান ও হা-মীম ছাড়াও রপ্তানিতে সেরা দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় থাকা বাকি আট শিল্প গ্রুপ হচ্ছে মণ্ডল গ্রুপ, ডিবিএল গ্রুপ, অনন্ত, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ, পলমল গ্রুপ, প্যাসিফিক জিনস গ্রুপ ও মাইক্রো ফাইবার গ্রুপ।
সেরা দশে থাকা নয়টি শিল্প গ্রুপের রপ্তানির ৯০ থেকে ১০০ শতাংশই তৈরি পোশাক। এই তালিকায় ব্যতিক্রম শুধু প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য থেকে শুরু করে জুতা, আসবাব, প্লাস্টিক ও হালকা প্রকৌশল পণ্য—প্রায় সবই আছে শিল্প গ্রুপটির রপ্তানির তালিকায়।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ২০২৪-২৫ অর্থবছরের রপ্তানি পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে প্রথম আলো বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের শীর্ষ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর এই তালিকা তৈরি করেছে। এনবিআরের পরিসংখ্যান থেকে স্থানীয় বা প্রচ্ছন্ন রপ্তানি ও নমুনা রপ্তানি বাদ দিয়ে প্রকৃত রপ্তানির হিসাব নেওয়া হয়েছে।
এনবিআরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশ থেকে মোট ৪৬ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬৫৭ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ দশ গ্রুপের সম্মিলিত রপ্তানির পরিমাণ ৫ দশমিক ২৫ বিলিয়ন বা ৫২৫ কোটি মার্কিন ডলার, যা মোট রপ্তানির ১১ শতাংশ।
গত ২০২৪–২৫ অর্থবছরে শীর্ষ ১০ রপ্তানিকারক শিল্পগোষ্ঠী