স্বপ্নে পাওয়া নম্বরে টিকিট কিনে জিতলেন লটারি
Published: 14th, January 2025 GMT
ঘুমের মধ্যে মানুষ কত স্বপ্নই না দেখে। কখনো সে স্বপ্ন মধুময় মনে হয়, কখনো দুঃস্বপ্ন। কিছু স্বপ্ন তো একবারেই অর্থহীন হয়। বেশির ভাগ সময় মানুষ কী স্বপ্ন দেখেছে, তার বিস্তারিত ঠিকঠাকমতো মনে করতে পারে না। খুঁটিনাটি অনেক প্রশ্নের উত্তর তার কাছে থাকে না। সব ভাসা–ভাসা, আবছা। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের এক নারী ঘুমের ঘোরে দেখা স্বপ্ন নিখুঁতভাবে মনে রাখতে পেরেছেন বলে দাবি করেছেন।
প্রিন্স জর্জ কাউন্টির বাসিন্দা ওই নারী গত মাসে স্বপ্নে কতগুলো সংখ্যা দেখেছিলেন। ঘুম থেকে জেগে ওঠার পরও তাঁর মাথায় সংখ্যাগুলো ঘুরপাক খেতে থাকে। কেন তিনি স্বপ্নে ধারাবাহিক ওই সংখ্যাগুলো দেখতে পেলেন, সেটা তাঁকে ভাবিয়ে তোলে।
ওই নারী স্বপ্নে যেসব সংখ্যা দেখেছেন, সেগুলো ছিল ৯-৯-০-০-০, শেষে পর্যন্ত স্বপ্নে দেখা সংখ্যা মিলিয়ে তিনি একটি পিক-৫ লটারির টিকিট কেনেন। মেরিল্যান্ডের অক্সন হিলের জিপ ইন মার্ট থেকে তিনি ওই লটারির টিকিট কিনেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডায় পিক-৫ লটারি বেশ জনপ্রিয়।
লটারিজয়ী ওই নারী পরে মেরিল্যান্ড লটারি কর্তৃপক্ষকে বলেন, ‘আমরা দেরি করে ফেলেছিলাম এবং আমি খেলার কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। কিন্তু আমি জানতাম, আমাকে শুধু আমার স্বপ্নে পাওয়া নম্বরগুলোতে খেলতে হবে।’
স্বপ্নে পাওয়া সেই ধারাবাহিক নম্বরে খেলেই শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করেন ওই নারী। ২০ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় লটারিতে তিনি জিতে যান ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় ৬১ লাখ ৩৫ হাজারের বেশি।
লটারিজয়ী নারীর স্বামী বলেন, ‘আমার স্ত্রী আমাকে দেখিয়েছিল, আমার কাছে এটা প্রথমে বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়নি। কিন্তু যখন সত্যি সৌভাগ্যের স্পর্শ এল, আশা করেছিলাম আমাদেরই যেন সেখানে দেখায় এবং ধন্যবাদ যে আমরাই সেখানে ছিলাম।’
লটারির অর্থ তাঁর স্ত্রী নিজের ইচ্ছেমতো খরচ করবেন বলেও জানিয়েছেন ওই ব্যক্তি। তবে এ–ও বলেছেন, ‘যদিও আমরা এরই মধ্যে আমাদের নাতি-নাতনিদের বড়দিনে বিশেষ উপহার কিনে দিয়েছি।’
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজিটাল পরিচয়পত্র পাচ্ছেন সুন্দরবনের বনজীবীরা, নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকলেই আসবে খুদে বার্তা
সুন্দরবনের বনজীবীদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। এর মাধ্যমে বনজীবীদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখাসহ অপরাধ দমন সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বন কর্মকর্তারা বলেন, ডিজিটাল পরিচয়পত্রটির মাধ্যমে কোনো জেলে বা বনজীবী সুন্দরবনের নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করলে বনরক্ষীরা খুদে বার্তার মাধ্যমে সহজেই তা জানতে পারবেন।
আজ বৃহস্পতিবার সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্তমানে বনজীবীদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র তৈরির জন্য পরামর্শক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। আমরা আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সুন্দরবনের সম্পদ সংগ্রহকারীদের ডেটাবেজ তৈরি শেষে বনজীবীদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দিতে পারব।’
সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বন বিভাগকে। মন্ত্রণালয়টির উপসচিব কামরুল ইসলামের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সুন্দরবন–সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ বনের মাছ ও কাঁকড়া আহরণ, মধু সংগ্রহ ও গোলপাতা সংগ্রহের ওপর নির্ভরশীল। বনের সুরক্ষার জন্য এই নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে তাঁদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। বনজীবী ছাড়াও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের পৃথক ডেটাবেজ তৈরির বিষয়েও বলা হয়েছে।
এই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে জেলেরা বন বিভাগের কার্যালয়ে না গিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে রাজস্ব জমা দিয়ে সুন্দরবনে ঢুকতে পারবেন। আর কার্ডধারী কোনো জেলে সুন্দরবনের নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে প্রবেশ করলে বনরক্ষীদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ চলে যাবে। সেখানে স্পষ্ট বোঝা যাবে, কোন জেলে নিষিদ্ধ এলাকায় যাচ্ছেন।
স্মার্টকাডটি কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, ওই স্মার্ট কার্ডে একটি কিউআর কোড থাকবে। ওই কিউআর কোড দিয়ে বনজীবীদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। তাদের ছবি, ঠিকানা, কবে বনে ঢুকেছেন, কবে বের হবেন, কোন জাল দিয়ে মাছ শিকার করবেন, কত টাকা রাজস্ব দিয়েছেন—সব তথ্য ডিভাইসের মাধ্যমে দেখা যাবে।