মাদ্রাসা থেকে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি পেসার রুবেলের ভাতিজা
Published: 7th, May 2025 GMT
জাতীয় ক্রিকেটার পেসার রুবেল হোসেনের ভাতিজা হাফেজ তামিম হোসেনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রুবেলের বড় ভাই সাগর হোসেনের ছেলে তামিম।
বুধবার (৭ মে) সন্ধ্যায় মাদ্রাসা থেকে বেরোনোর পর তামিম আর বাড়ি ফেরেননি। পেসার রুবেল মুঠোফোনে রাইজিংবিডিকে নিশ্চিত করেছেন বিষয়টি। তামিম বাগেরহাট
বর্তমানে রুবেল বাগেরহাটে অবস্থান করছেন। মুঠোফোনে তিনি বলেন, "মাদ্রাসা থেকে বেরোনোর পর আর বাড়ি আসেনি। আমরা বাগেরহাটে খুঁজেছি। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।"
এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে রুবেল লেখেন, "আমি পেসার রুবেল হোসেন। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছি। আজকের দিনটি আমার জন্য বেদনার। আমার বড় ভাইয়ের ছেলে হাফেজ তামিম হোসেন বয়স ১৪ বছর। বাগেরহাট ইসলামিয়া ক্যাডেট একাডেমি থেকে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬টা থেকে নিখোঁজ রয়েছে। কেউ যদি তাকে খুঁজে পান। নিচে দেয়া নম্বরে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইল।"
ঢাকা/রিয়াদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট সীমান্তে জরিপ নিয়ে উত্তেজনা
সিলেটের গোয়াইনঘাটে সীমান্ত পিলার সংলগ্ন খেলার মাঠ জরিপ করতে এসে বাংলাদেশিদের বাধার মুখে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছেন ভারতীয় জরিপকারী দল ও বিএসএফ সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে উপজেলার নলজুরি খাসি হাওর ১২৭৮-৭৯ পিলার এলাকায় ছিটমহল বিনিময় চুক্তির আওতাধীন খেলার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। পরে বিজিবির হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
বিজিবি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালে ছিটমহল বিনিময় চুক্তির অংশ হিসেবে সীমান্তের বিরোধপূর্ণ এলাকা ও ছিটমহল বিনিময় হয়। তবে, কিছু ভূখণ্ডে এখনো পিলার স্থাপন করে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি। জৈন্তাপুরের নলজুরি এলাকার ওই অংশ এ রকমই একটি ভূখণ্ড। যে খেলার মাঠে আজ জরিপকারী দল জায়গা পরিমাপ করতে গিয়েছিল, এটি বাংলাদেশের দখলে রয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, এ স্থানের কিছু অংশ ভারতের অভ্যন্তরে যাওয়ার কথা। মূলত জরিপের অংশ হিসেবেই বাংলাদেশ ও ভারতের জরিপকারী একটি দল জায়গা পরিমাপ করতে সেখানে যায়। বিজিবি ও বিএসএফের সদস্যরা নিরাপত্তা দিতে গিয়েছিলেন।
বিজিবি ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশের দখলে থাকা জায়গা ভারত নিয়ে নিচ্ছে—এমন আশঙ্কায় গ্রামবাসী লাঠিসোঁটা দিয়ে জরিপ দলের সদস্যদের বাধা দেন। গ্রামবাসী এ সময় বিএসএফ সদস্যদের নিজেদের সীমানায় চলে যাওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায়। তবে, বিজিবি জরিপের বিষয়টি বুঝিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। আপাতত জরিপকাজ বন্ধ রাখা হয়েছে।
৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. নাজমুল হক বলেন, ‘‘জরিপকাজের বিষয়টি গ্রামবাসী জানতেন না। তাই ভুল–বোঝাবুঝি থেকে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।’’
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রতন কুমার অধিকারী বলেন, ‘‘যতটা জেনেছি, সীমান্তে যৌথ সমীক্ষা চলছিল। তবে, কে বা কারা সমীক্ষা চালিয়েছেন তা জানি না। এই বিষয়ে আমাদের কেউ কিছু জানায়নি।’’
ঢাকা/নূর/রাজীব