নাটোর সদর উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় রাস্তার পাশ থেকে পলিথিনে মোড়ানো মানুষের বাম হাতের কাটা অংশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

বুধবার (৭ মে) রাত ৮টার দিকে নাটোর-ঢাকা মহাসড়কের দত্তপাড়ার নারদ নদে ব্রিজ থেকে এ হাতের অংশ উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয়রা জানায়, এলাকাবাসী রাতে ব্রিজের ওপর পলিথিনে মোড়া মানুষের কাটা হাত দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ কাটা হাত উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে।

নাটোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুর রহমান জানান, অন্যকোনো স্থান থেকে হাতের কাটা অংশ আনা হতে পারে। চলন্ত যানবাহন থেকে এটি নারদ নদে ফেলার চেষ্টা করা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, “কনুই থেকে কাটা অংশটি বাম হাতের। এটি বয়স্ক মানুষের হতে পারে। এছাড়া বুড়ো আঙুলের সঙ্গে ছোট একটি অতিরিক্ত আঙুল রয়েছে। উদ্ধার হওয়া কাটা অংশের সূত্র ধরে তার পরিচয়ের সনাক্তের চেষ্টা চলছে।”

ঢাকা/আরিফুল/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পিএসসি সংস্কারে জবি শিক্ষার্থীদের ১০ প্রস্তাব

নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস, স্বজনপ্রীতি ও দলীয়করণসহ নানা অনিয়মের প্রতিবাদে পিএসসি এবং সংশ্লিষ্ট নিয়োগ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ব্যাপক সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন তারা।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে সংবাদ সম্মেলনে তারা ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন। 

দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক, বাংলাদেশ রেলওয়ে, খাদ্য অধিদপ্তরসহ ১৬তম গ্রেড পর্যন্ত সব নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দিতে হবে; সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের সঙ্গে মূল প্রশ্নের মিল যাচাই করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান; অতীতে বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় পরিকল্পিতভাবে প্রশ্নফাঁস গোপন রেখে পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা তদন্ত করে প্রকাশের আহ্বান; প্রশ্ন ফাঁস চক্রে জড়িত ব্যক্তি, রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষক ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি।

আরো পড়ুন:

৪৬তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত 

প্রশ্ন ফাঁসের শাস্তি ও পিএসসি সংস্কারের দাবিতে শাহবাগ ব্লকেড

বাকি দাবিগুলো হলো- শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কোচিং সেন্টারের মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর তদন্ত ও নজরদারির আহ্বান; নিয়োগ পরীক্ষায় দলীয়করণ, অনিয়ম, ও সংবিধানবিরোধী কার্যকলাপ বন্ধ করার আহ্বান; পিএসসি, ব্যাংক ও মন্ত্রণালয়সহ সরকারি নিয়োগ প্রতিষ্ঠানে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি; বিভিন্ন নিয়োগের (যেমন: BSCIC, CGDF, BIBM, খাদ্য অধিদপ্তর, রেলওয়ে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর) উচ্চপর্যায়ে তদন্ত দাবি; বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে কেন্দ্রীয় পুলিশ ভেরিফিকেশন কমিটির হয়রানি বন্ধের দাবি; শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা বাতিলের প্রস্তাব।

বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী আরমান হাসান বলেন, “নিয়োগে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। বারবার দেখা যাচ্ছে, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে পিএসসির বিশ্বাসযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমরা চাই, এই প্রতিষ্ঠানটি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর, দক্ষ ও জবাবদিহিমূলক হোক। পিএসসি সংস্কার মানে শুধু নিয়ম পরিবর্তন নয়, এটি একটি মানসিকতার পরিবর্তন। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হলে প্রথমেই দরকার স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়া।”

পিএসসি সংস্কার আন্দোলনের জবি শাখার মুখপাত্র সাজ্জাদ হুসাইন মুন্না বলেন, “পিএসসি সংস্কার ও নিয়োগ পরীক্ষার স্বচ্ছতা আনয়ন জুলাইয়ের অঙ্গীকার। জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে আমরা আমাদের শতভাগ মেধার বহিঃপ্রকাশ করতে চাই। তারুণ্যের মেধাভিত্তিক  বাংলাদেশ গড়তে হলে সংস্কারের বিকল্প নেই।”

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ