টাঙ্গাইলে ৩ দিনব্যাপী পিঠা উৎসব শুরু
Published: 15th, January 2025 GMT
টাঙ্গাইলে বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ খেলাধুলা ও বাহারি পিঠা নিয়ে তিন দিনব্যাপী লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল কালচারাল রিফরমেশন ফোরাম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ উৎসবের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুল হক মোহন, এ উৎসব উদযাপন পরিষদের গোলাম আম্বিয়া নুরী, আবুল কালাম মোস্তফা লাবু, অনিক রহমান বুলবুল প্রমুখ।
আয়োজকেরা জানান, বর্তমান প্রজন্মের মাঝে লোকসংস্কৃতি তুলে ধরা এ আয়োজনের লক্ষ্য। এখানে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলাধুলাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে, যা শিশুরা জানতে পারে।
তারা জানান, উৎসবে ৪০টি দোকানে পিঠা ছাড়াও বিভিন্ন খাবার পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় ২০০ রকমের পিঠার পসরা রয়েছে। এ সব পিঠার মধ্যে মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, কুলশি, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুর পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোকুল পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা,পাকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেলের পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ঝুরি পিঠা, ছাঁচ পিঠা, দুধি চিতই, বিবিখানা, ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, মালপোয়া, নকশি পিঠা উল্লেখযোগ্য।
উৎসবে দেশীয় খেলা দাঁড়িয়বান্দা, বউচি, লাঠিখেলা, ওপেন্টি বায়োস্কোপ, হা-ডু-ডু, চিবুরি, গোল্লাছুট, এক্কা-দোক্কা; লোকজ সংস্কৃতি জারিগান, পুথিপাঠ, পালাগান, লোকনৃত্য, কবিগান, লোকগীতি, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, শ্যামাসংগীত, কীর্তন, কিচ্ছা বয়ান প্রভূতি পরিবেশন করা হচ্ছে। মেলায় প্রতিদিন থাকছে বাউলগান, কবিগান, লোকনৃত্য, সঙযাত্রা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পৌরউদ্যানের উম্মুক্ত প্রাঙ্গণে স্টলে স্টলে পিঠার পসরা সাজিয়ে চলছে বিকিকিনি। দোকানে পিঠা বানাচ্ছে বিক্রেতা আর কিনে খাচ্ছে ক্রেতারা। পিঠাপুলির সঙ্গে সেলফি তুলে পিঠা কেনা ও খাওয়ার দৃশ্য স্মৃতিময় করে রাখার চেষ্টাও লক্ষ্যণীয়।
উৎসবে ছাত্রছাত্রী ও শহরের সাধারণ মানুষের ভিড় লেগে ছিল।
আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম মোস্তফা লাবু বলেন, এমন আয়োজন আগামী প্রজন্মের সন্তানকে মাদক, সন্ত্রাস থেকে দূরে রাখবে। ভবিষ্যতে আবারও আয়োজন করা হবে।
উৎসবের শেষ দিনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.
ঢাকা/কাওছার/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুরস্কার বিতরণীর মধ্য দিয়ে শেষ হলো জাবির জাতীয় বিতর্ক উৎসব
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে‘চির উন্নত মম শির’ স্লোগানকে সামনে রেখে জাহাঙ্গীরনগর ইউনিভার্সিটি ডিবেট অর্গানাইজেশন (জেইউডিও)-এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে জেইউডিও জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫। গত ২৭ নভেম্বর শুরু হওয়া এই উৎসবে সারা দেশের অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিতার্কিকরা অংশ নেন। উৎসবের সমাপনী দিনে শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) চূড়ান্ত পর্ব ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়।
আয়োজকরা জানান, যুক্তিবাদী ও মননশীল মানুষ গড়ে তোলার লক্ষ্যে এবারের উৎসবটি তিনটি পর্বে অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ২৭ নভেম্বর ১৪তম আন্তঃকলেজ, ২৮ নভেম্বর ২০তম আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় এবং ১১ ডিসেম্বর ১৪তম আন্তঃস্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
আরো পড়ুন:
জাবিতে একাডেমিক নিপীড়ন প্রতিরোধে নতুন প্ল্যাটফর্মের যাত্রা শুরু
জাবির ৪৫তম ব্যাচের রাজা আকাশ, রানি ফারিন
প্রতিযোগিতায় আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং রানার আপ হয়েছে বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)।
আন্তঃকলেজ পর্বে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং রানার আপ হয়েছে সেন্ট জোসেফ কলেজ। পাশাপাশি আন্তঃস্কুল পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি জিতেছে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এবং রানার আপ হয়েছে সেন্ট গ্রেগরী স্কুল।
জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫-এর স্কুল পর্যায়ের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন জান্নাতুন্নেছা বিনতে জামান এমিলি, কলেজ পর্যায়ে আল লুবান এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সাদমান কৌশিক। উৎসবের মূল আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জেইউডিও’র সভাপতি মির্জা সাকি।
ঢাকা/হাবীব/জান্নাত