টাঙ্গাইলে বিলুপ্তপ্রায় গ্রামীণ খেলাধুলা ও বাহারি পিঠা নিয়ে তিন দিনব্যাপী লোকজ সাংস্কৃতিক ও পিঠা উৎসব শুরু হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল কালচারাল রিফরমেশন ফোরাম এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

এ উৎসবের উদ্বোধন করেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহেল রানা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হামিদুল হক মোহন, এ উৎসব উদযাপন পরিষদের গোলাম আম্বিয়া নুরী, আবুল কালাম মোস্তফা লাবু, অনিক রহমান বুলবুল প্রমুখ।

আয়োজকেরা জানান, বর্তমান প্রজন্মের মাঝে লোকসংস্কৃতি তুলে ধরা এ আয়োজনের লক্ষ্য। এখানে হারিয়ে যাওয়া গ্রামীণ খেলাধুলাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হয়েছে, যা শিশুরা জানতে পারে। 

তারা জানান, উৎসবে ৪০টি দোকানে পিঠা ছাড়াও বিভিন্ন খাবার পাওয়া যাচ্ছে। প্রায় ২০০ রকমের পিঠার পসরা রয়েছে। এ সব পিঠার মধ্যে মালাই পিঠা, মুঠি পিঠা, আন্দশা, কুলশি, কাটা পিঠা, কলা পিঠা, খেজুর পিঠা, ক্ষীর কুলি, গোকুল পিঠা, গোলাপ ফুল পিঠা, পুলি পিঠা, পাতা পিঠা, পাটিসাপটা,পাকান পিঠা, নারকেলের সেদ্ধ পুলি, নারকেল জিলাপি, তেলের পিঠা, চাঁদ পাকান পিঠা, ঝুরি পিঠা, ছাঁচ পিঠা, দুধি চিতই, বিবিখানা, ভাঁপা পিঠা, চিতই পিঠা, ঝাল পিঠা, মালপোয়া, নকশি পিঠা উল্লেখযোগ্য।

উৎসবে দেশীয় খেলা দাঁড়িয়বান্দা, বউচি, লাঠিখেলা, ওপেন্টি বায়োস্কোপ, হা-ডু-ডু, চিবুরি, গোল্লাছুট, এক্কা-দোক্কা; লোকজ সংস্কৃতি জারিগান, পুথিপাঠ, পালাগান, লোকনৃত্য, কবিগান, লোকগীতি, পল্লীগীতি, ভাওয়াইয়া, শ্যামাসংগীত, কীর্তন, কিচ্ছা বয়ান প্রভূতি পরিবেশন করা হচ্ছে। মেলায় প্রতিদিন থাকছে বাউলগান, কবিগান, লোকনৃত্য, সঙযাত্রা।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পৌরউদ্যানের উম্মুক্ত প্রাঙ্গণে স্টলে স্টলে পিঠার পসরা সাজিয়ে চলছে বিকিকিনি। দোকানে পিঠা বানাচ্ছে বিক্রেতা আর কিনে খাচ্ছে ক্রেতারা। পিঠাপুলির সঙ্গে সেলফি তুলে পিঠা কেনা ও খাওয়ার দৃশ্য স্মৃতিময় করে রাখার চেষ্টাও লক্ষ্যণীয়। 

উৎসবে ছাত্রছাত্রী ও শহরের সাধারণ মানুষের ভিড় লেগে ছিল। 

আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম মোস্তফা লাবু বলেন, এমন আয়োজন আগামী প্রজন্মের সন্তানকে মাদক, সন্ত্রাস থেকে দূরে রাখবে। ভবিষ্যতে আবারও আয়োজন করা হবে।

উৎসবের শেষ দিনে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.

মো. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ।

ঢাকা/কাওছার/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গণিত উৎসব ২০২৬-এর নিবন্ধন শুরু সময় বাড়ল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০২৬–এর অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম পূর্বের ঘোষণা অনুযায়ী ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত হওয়ার কথা ছিল। ৮ ডিসেম্বর রাতে এক ঘোষণার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে আয়োজকেরা। গণিত উৎসব ২০২৬-এ অংশগ্রহণের জন্য প্রত্যেককেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিবন্ধন করতে হবে। পূর্ববর্তী বছরগুলোয় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের জন্যও নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক।

আয়োজকেরা জানান, গণিত উৎসবে অংশগ্রহণে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীরা নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবে। নিবন্ধন লিংক: https://matholympiad.org.bd

গণিত উৎসব অনুষ্ঠিত হবে চারটি ক্যাটাগরিতে—প্রাইমারি (তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণি বা সমমান), জুনিয়র (ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি বা সমমান), সেকেন্ডারি (নবম–দশম শ্রেণি) এবং হায়ার সেকেন্ডারি (একাদশ–দ্বাদশ শ্রেণি) ও সমমানের জন্য প্রযোজ্য।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসব ২০২৬-এর অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মেসির দেখা পেতে কলকাতায় আসছেন শাহরুখ
  • ৪৪ নং সনমান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি উদযাপন
  • বিজয় দিবসে উপলক্ষে তিন দিনের নাট্যোৎসব আয়োজন করছে ডাকসু
  • গণিত উৎসব ২০২৬-এর নিবন্ধন শুরু সময় বাড়ল ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত
  • বিস্তৃত প্রশ্ন, উত্তরও বড় হবে
  • গল্প-আড্ডা ও উচ্ছ্বাসে সাফল্য উদ্‌যাপন