বলিউড অভিনেতা অক্ষয় কুমার ভারতীয় প্রভাবশালী অভিনেতাদের অন্যতম। আসল নাম রাজীব হরি ওম ভাটিয়া। রুপালি জগতে তাকে সবাই ‘অক্ষয় কুমার’ নামেই চেনেন। তবে রাজীব হরি ওম ভাটিয়া থেকে অক্ষয় কুমার হয়ে ওঠার গল্প সিনেমাকেও হার মানায়।

অক্ষয় কুমার এক সময় ঢাকার পূর্বাণী হোটেলে বাবুর্চির কাজও করেছেন। আজ তিনি বলিউডের প্রতিষ্ঠিত অভিনেতা! নাম-খ্যাতি যেমন কুড়িয়েছেন, তেমনি অঢেল অর্থের মালিকও হয়েছেন। জীবন সংগ্রামে বিজয়ী অক্ষয়। কিন্তু এই অভিনেতা জানালেন— জীবন সংগ্রাম কখনো শেষ হয় না।

কয়েক দিন আগে পিঙ্কভিলাকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন অক্ষয় কুমার। তার সঙ্গে আলাপকালে সঞ্চালক বলেন, “একজন অভিনেতার সত্যিকারে সংগ্রাম সফল হওয়ার পরে শুরু হয়। কারণ সাফল্যের স্বাদ গ্রহণের পর ব্যর্থতার সঙ্গে মোকাবিলা করা কঠিন।” কিন্তু অক্ষয় কুমার এই বক্তব্যের সঙ্গে পুরোপুরি একমত নন। বরং বক্তব্য সংশোধন করে তিনি জানান, সংগ্রাম সবসময়ই থাকে।

অক্ষয় কুমার বলেন, “আপনার অর্জনের পরে, আপনার সাফল্যের পরে, আপনার সিনেমা ভালো করার পরে টিকে থাকার সংগ্রাম শুরু হয়। প্রথম সিনেমা পেতে সংগ্রাম করতে হয়। সংগ্রাম করতে হয় অর্থ ধরে রাখতে, সংগ্রাম করতে হয় বিনিয়োগে।”

এক জীবনে সংগ্রাম কখনো শেষ হয় না। এ তথ্য উল্লেখ করে অক্ষয় কুমার বলেন, “সংগ্রাম কখনো শেষ হয় না, আপনার সংগ্রাম চলতেই থাকবে। কারো সংগ্রামই কখনো থামে না। সংগ্রাম সবসময়ই চলমান। আপনাকে সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে। আপনি যদি সংগ্রাম না করেন, তবে আপনার মাঝে সমস্যা আছে।”

অক্ষয় কুমার অভিনীত নতুন সিনেমা ‘স্কাই ফোর্স’। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে এটি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান বিমান যুদ্ধের ঘটনা নিয়ে নির্মিত হয়েছে এই সিনেমা। এতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর পাইলটের চরিত্রে অভিনয় করেছেন অক্ষয় কুমার ও বীর পাহাড়িয়া। এটি পরিচালনা করেছেন সন্দীপ কেলওয়ানি।

অক্ষয় কুমারের হাতে বর্তমানে আটটি সিনেমার কাজ রয়েছে। এ তালিকায় রয়েছে— ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’, ‘জলি এলএলবি থ্রি’, ‘হাউজফুল ফাইভ’, ‘কানাপা’, ‘হেরা ফেরি থ্রি’ প্রভৃতি।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

ডিজিটাল পরিচয়পত্র পাচ্ছেন সুন্দরবনের বনজীবীরা, নিষিদ্ধ এলাকায় ঢুকলেই আসবে খুদে বার্তা

সুন্দরবনের বনজীবীদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বন বিভাগ। এর মাধ্যমে বনজীবীদের গতিবিধি লক্ষ্য রাখাসহ অপরাধ দমন সহজ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বন কর্মকর্তারা বলেন, ডিজিটাল পরিচয়পত্রটির মাধ্যমে কোনো জেলে বা বনজীবী সুন্দরবনের নিষিদ্ধ এলাকায় প্রবেশ করলে বনরক্ষীরা খুদে বার্তার মাধ্যমে সহজেই তা জানতে পারবেন।

আজ বৃহস্পতিবার সুন্দরবন পশ্চিম বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ জেড এম হাছানুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বর্তমানে বনজীবীদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র তৈরির জন্য পরামর্শক নিয়োগের কার্যক্রম চলছে। আমরা আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে সুন্দরবনের সম্পদ সংগ্রহকারীদের ডেটাবেজ তৈরি শেষে বনজীবীদের হাতে স্মার্ট কার্ড তুলে দিতে পারব।’

সম্প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো চিঠির মাধ্যমে এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বন বিভাগকে। মন্ত্রণালয়টির উপসচিব কামরুল ইসলামের সই করা ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, সুন্দরবন–সংলগ্ন এলাকার স্থানীয় জনসাধারণ বনের মাছ ও কাঁকড়া আহরণ, মধু সংগ্রহ ও গোলপাতা সংগ্রহের ওপর নির্ভরশীল। বনের সুরক্ষার জন্য এই নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার স্বার্থে তাঁদের ডিজিটাল পরিচয়পত্র প্রদান করে অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। বনজীবী ছাড়াও পর্যটনসংশ্লিষ্ট ট্যুর অপারেটর ও ট্যুর গাইডদের পৃথক ডেটাবেজ তৈরির বিষয়েও বলা হয়েছে।

এই স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে জেলেরা বন বিভাগের কার্যালয়ে না গিয়ে মোবাইলের মাধ্যমে অনলাইনে রাজস্ব জমা দিয়ে সুন্দরবনে ঢুকতে পারবেন। আর কার্ডধারী কোনো জেলে সুন্দরবনের নিষিদ্ধ অভয়ারণ্যে প্রবেশ করলে বনরক্ষীদের কাছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মেসেজ চলে যাবে। সেখানে স্পষ্ট বোঝা যাবে, কোন জেলে নিষিদ্ধ এলাকায় যাচ্ছেন।

স্মার্টকাডটি কীভাবে কাজ করবে, সে বিষয়ে এ জেড এম হাছানুর রহমান বলেন, ওই স্মার্ট কার্ডে একটি কিউআর কোড থাকবে। ওই কিউআর কোড দিয়ে বনজীবীদের পরিচয় নিশ্চিত করা হবে। তাদের ছবি, ঠিকানা, কবে বনে ঢুকেছেন, কবে বের হবেন, কোন জাল দিয়ে মাছ শিকার করবেন, কত টাকা রাজস্ব দিয়েছেন—সব তথ্য ডিভাইসের মাধ্যমে দেখা যাবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ