বিকেল পৌনে পাঁচটা, রাজধানীর গুলশানের শুটিং ক্লাবের সামনে পুলিশের গাড়ি দেখে মানুষের জটলা। জনতার ভিড় ঠেলে আসামি নিয়ে গাড়ি থেকে নামে পুলিশ। লম্বা চুল, মুখভর্তি দাড়ি, গায়ে কয়েদির পোশাক, হাতে হাতকড়া—আর এই আসামিকে ধরে এগোতে থাকে দুই পুলিশ। স্লোগান দিচ্ছেন একদল তরুণ, ‘নিশানের ফাঁসি চাই।’

তবে আসামিকে দেখে পথচারীদের চোখ কপালে, আরে, এ তো অভিনেতা আফরান নিশো! তাঁর কেন এই হাল? একটু পর স্পষ্ট হলো, ঈদে মুক্তি প্রতীক্ষিত ‘দাগি’ সিনেমার অনুষ্ঠানে হাজির হতেই কয়েদির বেশ নিয়েছেন এই অভিনেতা।

আরও পড়ুনবড় চমক দিলেন নিশো, এলেন নতুন পরিচয়ে২৬ মার্চ ২০২৫প্রযোজক শাহরিয়ার শাকিলের সঙ্গে কথা বলছেন নিশো। ছবি: সংগৃহীত.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রাথমিকে সংগীত শিক্ষক নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তে গাজীপুরে উদীচীর প্রতিবাদ কর্মসূচি

প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষক পদ বাতিলের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও পদটি পুনর্বহালের দাবিতে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় কর্মসূচি পালন করেছেন সংস্কৃতিকর্মীরা।
আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার সত্যেন সেন সংগীত একাডেমির সামনে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী গাজীপুর ও কাপাসিয়া শাখার অর্ধশতাধিক শিল্পী-সংস্কৃতিকর্মী এ কর্মসূচি পালন করেন।

উদীচীর গাজীপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, প্রাথমিক শিক্ষায় সংগীত ও শারীরিক শিক্ষা শিক্ষক পদ বাতিলের সিদ্ধান্ত শিশুদের মানবিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের বিরুদ্ধে অবস্থান। সৌদি আরবে যেখানে হাজার হাজার নারী শিক্ষককে সংগীতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, সেখানে আমরা উল্টো পথে হাঁটছি। এটি জাতির জন্য লজ্জাজনক।

অদৃশ্য কোনো কারণে পদগুলো বাতিল করা হয়েছে দাবি করে উদীচী কাপাসিয়া শাখার সভাপতি নুরুল আমীন সিকদার বলেন, সংস্কৃতি ও শিক্ষা একে অপরের পরিপূরক। আমরা চাই, প্রতিটি বিদ্যালয়ে একজন করে প্রশিক্ষিত সংগীত শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হোক।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কাপাসিয়া উপজেলার সাধারণ সম্পাদক ছিদ্দিক ফকির বলেন, এটি শুধু শিক্ষক বাতিলের বিষয় নয়, সংস্কৃতিবিরোধী সিদ্ধান্ত। এখনই সবাইকে একত্রে প্রতিবাদে নামতে হবে।

সমাবেশ শেষে সত্যেন সেন সংগীত একাডেমির শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। এরপর রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অনুপ্রেরণামূলক গান ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে...’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ