কিছুদিন আগে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ। অসুস্থতা কাটিয়ে উঠতে না উঠতেই নতুন প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছেন সৃজিত। শোনা যাচ্ছে, অভিনেত্রী আলেকজান্দ্রা টেলরের সঙ্গে প্রেমে মজেছেন এই নির্মাতা।

সম্প্রতি একটি ফিল্মি পার্টিতে ফ্রেমবন্দি হন সৃজিত-আলেকজান্দ্রা। সেখানে একটি ভিডিওতে দুজনকে দেখে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তবে কি নতুন প্রেমে মজেছেন সৃজিত-আলেকজান্দ্রা? তবে তাদের প্রেমচর্চার পেছনে কি সত্যি লুকিয়ে আছে তা পরিষ্কারও করেছেন সৃজিত।

প্রেমের প্রশ্নে ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার অনলাইনকে সৃজিত বলেন, ‘প্রেম নয়, আলেকজান্দ্রা আমার খুবই ভাল বন্ধু। ও অসম্ভব শিক্ষিত নারী। তবে আমাদের পছন্দের কিছুটা মিল আছে। আমরা দু’জনেই সাপ ভালবাসি। এটা নিয়ে এর আগে কাজও হয়েছে।’

আলেকজান্দ্রা ইতোমধ্যে একাধিক বাংলা ছবি এবং সিরিজে অভিনয় করেছেন। তাকে বড়পর্দায় প্রথম দেখা গেছে অংশুমান প্রত্যুষের ‘ওগো বিদেশিনী’ ছবিতে। এ ছবিতে অঙ্কুশের বিপরীতে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়াও তাকে দেখা গেছে ‘বাঘা যতীন’ ও ‘বাবুসোনা’ সিনেমায়। ‘কিলবিল সোসাইটি’র মুক্তির পর সৃজিত নাকি হাত দেবেন ‘লহ গৌরাঙ্গের নাম রে’ ছবিতে। এরপর ‘গোয়েন্দা কানাইচরণ’-এর কাজ শুরু করবেন তিনি। এই দুই সিনেমাতে দেখা যেতে পারে আলেকজান্দ্রাকে।

তবে সৃজিত জানালেন, অনেক বিষয় নিয়ে তাদের আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনও আলেকজান্দ্রার জন্য কোনও চরিত্র ভাবেননি তিনি।

প্রসঙ্গত, বেশ কিছুদিন আগে আচমকাই শোনা গিয়েছিল সৃজিত এবং মিথিলার বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে। তাঁরা আর একসঙ্গে থাকেন না। যদিও সে কথা প্রকাশ্যে দু’জনের কেউই স্বীকার করেননি। পুরোটাই গুজব বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ, আরেক আসামি গ্রেপ্তার

পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া এলাকায় ৯ বছরের শিশু শিক্ষার্থী হাফসা হত্যার ঘটনায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) দায়ের করা মামলায় আরো এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ নিয়ে মামলার নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার হলো।

গ্রেপ্তাররা হলেন, পাবনা পৌর সদরের উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া মহল্লার টিপু সরদারের ছেলে সাব্বির সরদার (২৬), ছবেদ আলীর ছেলে রমজান আলী (৩০) ও খালেক সরদারের ছেলে পান্না সরদার (২৮)। এদের মধ্যে সাব্বির ও রমজানকে রবিবার এবং পান্নাকে সোমবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

আরো পড়ুন:

‘আবর্জনার মতো লাগে’ বলে অর্ধশত বকুলগাছ কাটা সেই ব্যক্তি গ্রেপ্তার

বরগুনায় নাশকতার অভিযোগে ৩ আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার 

এদিকে, শিশু হাফসাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্য করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।

পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, নিহত হাফসার মা রিতু খাতুন বাদী হয়ে সোমবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় তিনজন নামীয়সহ অজ্ঞাতনামা আরো অনেককে আসামি করা হয়েছে।

তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার দুপুরে পাবনা টেক্সটাইল কলেজ এলাকা থেকে অভিযুক্ত পান্না সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ নিয়ে মামলার প্রধান অভিযুক্ত নামীয় তিন আসামিকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

এদিকে, শিশু হাফসা হত্যার প্রতিবাদে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্বজন ও এলাকাবাসী।

সোমবার (১৬ নভেম্বর) সকালে উত্তর শালগাড়িয়া সরদারপাড়া থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে জেলা প্রশাসক কর্যালয়ের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা। সেখানে নিহত শিশু শিক্ষার্থী হাফসার স্বজন ও এলাকাবাসী বক্তব্য দেন।

সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে তারা মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভ শেষে তারা আসামিদের গ্রেপ্তার করতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। অন্যত্থায় আরো কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন।

এ সময় প্রায় ১ ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে সদর থানার ওসি আব্দুস সালাম ঘটনাস্থলে গিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন বিক্ষোভকারীরা।

এর আগে, শনিবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে শিশু হাফসাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। তার সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিং করা হয়। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে প্রায় ২ ঘণ্টা পর রাত ৮টার দিকে বাড়ির পেছনের জঙ্গলের ভেতর পাটিতে মোড়ানো কাদা মাখা অবস্থায় হাফসার মরদেহ পাওয়া যায়।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রাতেই সন্দেহভাজন হিসেবে রমজান ও সাব্বির নামের দুইজনকে আটক করা হয়।

নিহত হাফসা সদর উপজেলার মালঞ্চি ইউনিয়নের কামারগাঁও গ্রামের প্রবাসী হাফিজুর রহমানের মেয়ে এবং স্থানীয় একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

হাফসার নানার বাড়ির পাশের বাগানটি দীর্ঘদিন ধরে বখাটে, মাদকসেবী ও জুয়ারুদের আড্ডাস্থল ছিল বলে জানায় স্থানীয়রা। তারা এ হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পাবনা সদর থানার ওসি (অপারেশন) সঞ্জয় কুমার সাহা বলেন, “মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদনে শিশু হাফসাকে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। ধর্ষণের পর তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। এছাড়া পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সংশ্লিষ্ট এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতিয়মান হয়েছে।”

ঢাকা/শাহীন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ