ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম তীরেই ছনকা উচ্চ বিদ্যালয় রাখার দাবিতে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ায় মানববন্ধন হয়েছে। গতকাল রোববার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণের কর্মসূচিতে অংশ নেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, পরিচালনা কমিটির সদস্য ও অভিভাবকরা। 
অভিভাবক খুরশিদ আলমের সভাপতিত্বে সেখানে দেওয়া বক্তব্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম বলেন, ২০১৫ সালে নদীর পূর্ব তীরে ৪৩ শতাংশ জমিতে স্থাপন করা হয় বিদ্যালয়টি। ভাঙনঝুঁকির কারণে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে সেখানে কোনো ভবনের বরাদ্দ আসছে না। পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে নদীর পশ্চিম তীরের ৮৩ শতাংশ জমিতে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়। স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রমও চলছে। কিন্তু নদীর পূর্ব তীরের কিছু অভিভাবক সেখানে বিদ্যালয়টি পুনরায় স্থাপনের জন্য নানা ষড়যন্ত্র করছে।
সাটুরিয়ার ইউএনও মোহাম্মদ ইকবাল হোসেনের ভাষ্য, নদীভাঙনের কারণ দেখিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন নিয়ে একই মৌজায় নদীর পশ্চিম তীরে বিদ্যালয়টি স্থাপন করা হয়েছে। কিন্তু সেটি আবারও পূর্ব তীরে স্থাপনের দাবি জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন ওই এলাকার আব্দুল মজিদ। এর পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী ৩ মে এক চিঠি দেন। এতে বলা হয়, বরাইদ ইউনিয়নের চরাঞ্চলের শিক্ষাবঞ্চিত মানুষের স্বার্থরক্ষায় ছনকা উচ্চ বিদ্যালয় ধলেশ্বরী নদীর পশ্চিম তীরে স্থানান্তরের আদেশ বাতিল করে পুনরায় তদন্তের পর প্রতিবেদন পাঠাতে হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব দ য লয়ট নদ র প

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জে ২ সাংবাদিককে মারধর, একজন গ্রেপ্তার

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্মারক নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর প্রতিরোধ স্তম্ভ ঘিরে ইট-বালু ব্যবসা করার ছবি তোলায় স্থানীয় পত্রিকার দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। রোববার বিকেল ৩টায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। পরে স্থানীয় লোকজন খবর পেয়ে আহত দুই সাংবাদিককে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করা হয়েছে।

স্থানীয় ‘উজ্জীবিত বাংলাদেশ’ পত্রিকার সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মো. কবিরুল ইসলাম জানান, মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তোলা হয় নগরীর মাসদাইর এলাকায়। সেই স্মৃতিকে ধরে রাখতে আগের বিএনপি সরকারের সময় মাসদাইরে গড়ে তোলা হয় প্রতিরোধ স্তম্ভ। স্তম্ভের চারিদিকের জায়গা দখল করে সালাউদ্দিন নামের এক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে সেখানে ইট-বালু রেখে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এ নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে রোববার বিকেলে পত্রিকার প্রতিবেদক মিলন বিশ্বাস হৃদয় ও ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকার সেখানে যান। ছবি তোলার সময় স্থানীয় সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

কবিরুল ইসলাম আরও জানান, সালাউদ্দিন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আসামি। সম্প্রতি তিনি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।

ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকার অভিযোগ করে বলেন, ‘ইট-বালু ঘেরা প্রতিরোধ স্তম্ভের ছবি তোলার সঙ্গে সঙ্গে ব্যবসায়ী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন লোক আমাদের দুইজনকে ধরে টেনেহিচড়ে দোকানের ভেতরে নিয়ে যায় এবং লোহার রড দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। একইসঙ্গে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। মারধরে আমার চোখে উপরের অংশ ফেটে যায় এবং শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। এতে আমরা দুইজনই মারাত্মক আহত হয়েছি।’

ফটো সাংবাদিক হাবিব খন্দকার আরও জানান, দুই সাংবাদিকে মারধরের ঘটনায় ফতুল্লা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানান, দুই সাংবাদিকে মারধরের ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সালাউদ্দিনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ