বাংলাদেশ-পাকিস্তান সীমান্তে ১৬টি ব্যাটালিয়ন ও ২ হেডকোয়ার্টার করবে বিএসএফ
Published: 5th, May 2025 GMT
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) আরও ১৬টি ব্যাটালিয়ন গঠন সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এসব ব্যাটালিয়নে থাকবে প্রায় ১৭ হাজার জওয়ান। পাশাপাশি পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্তে পশ্চিম ও পূর্ব কমান্ডের জন্য দুটি ‘ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার’ স্থাপন করা হবে। খবর পিটিআইয়ের
পরিকল্পনাটি ইতিমধ্যে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে। অনুমোদন চূড়ান্ত হলে এটি বিএসএফের জন্য বড় সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করবে।
সীমান্তের এই দুই ফ্রন্টে বর্তমানে এই আধা সামরিক বাহিনীর ১৯৩টি ব্যাটালিয়ন রয়েছে। বিএসএফের প্রতিটি ব্যাটালিয়নে রয়েছে এক হাজারের বেশি সেনা। নতুন ১৬টি ব্যাটালিয়নে প্রায় ১৭ হাজার সদস্য যুক্ত হবেন।
সূত্রগুলো জানায়, বিএসএফের রূপরেখা অনুযায়ী নতুন ব্যাটালিয়নগুলো পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সীমান্ত পাহারার মতো প্রাথমিক দায়িত্ব পালনে এই বাহিনীকে সহায়তা করবে।
সূত্রগুলো আরও জানায়, বিএসএফের জন্য দুটি ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টারও (ফিল্ড কমান্ড ঘাঁটি) অনুমোদন দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে জম্মু ও পাঞ্জাবে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদারে জম্মুতে একটি ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টার হবে। বাংলাদেশ সীমান্তে নজরদারি আরও উন্নত করতে অপর ফরোয়ার্ড হেডকোয়ার্টারটি হবে মিজোরামে।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, নতুন এই ব্যাটালিয়নগুলোতে পুরুষ ও নারী সদস্য নিয়োগপ্রক্রিয়া শিগগিরই শুরু করবে বিএসএফ। এরপর শুরু হবে তাদের প্রশিক্ষণ। আগামী পাঁচ থেকে ছয় বছরের মধ্যে এই ইউনিটগুলো গঠিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ঝিনাইদহে বিএসএফের গুলিতে যুবক আহত, দাবি পরিবারের
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কুসুমপুর সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি যুবক আহত হওয়ার খবর জানিয়েছে তার পরিবার। বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার কুশুমপুর বিওপির আওতাধীন পিপুলবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে তারা।
গুলিবিদ্ধ রিয়াজ পিপুলবাড়িয়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে হালকা বৃষ্টিতে মাঠে পানি জমে যায়। পানি নিষ্কাশনের জন্য রিয়াজ তাদের ধানের জমিতে যান। জমিটি ভারত সীমান্তের কাছাকাছি। সেসময় ওপার থেকে বিএসএফ সদস্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। একপর্যায়ে একটি ছররা গুলি তার শরীরে বিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঝিনাইদহ বিজিবি ৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম বলেন, রিয়াজ নামের এক ব্যক্তি আহতের কথা শুনে তাদের বাড়িতে গিয়েছিলাম। কিন্তু সেখানে কাউকে পাইনি। তবে ঘটনার বিষয়ে আমরা নিশ্চিত না। কেউ আমাদের কাছে অভিযোগও করেনি।