এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অর্ধেক এজেন্ট পাবে নারী
Published: 10th, May 2025 GMT
বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে নতুন নির্দেশনা জারি করেছে। এখন থেকে ব্যাংকগুলোর এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রমে নিয়োগপ্রাপ্ত নতুন এজেন্টদের মধ্যে ৫০ শতাংশ নারী হতে হবে। ফলে নারীরা এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের অর্ধেক এজেন্ট পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সম্প্রতি জারি করা নির্দেশনায় জানিয়েছে, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও নারী উদ্যোক্তাদের ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে একটি নারীবান্ধব ব্যাংকিং পরিবেশ গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে। এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে নারী গ্রাহকের অংশগ্রহণ দিন দিন বাড়লেও, নারী এজেন্টের সংখ্যা এখনও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়েনি। তাই এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের ৫০ শতাংশ নারীদের দিতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনার ফলে নারী উদ্যোক্তাদের নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। অন্যদিকে অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়বে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাস শেষে সারাদেশে ২১ হাজার ৪৩টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট রয়েছে। এর মধ্যে ১৮ হাজার ১৯টি গ্রামে এবং ৩ হাজার ২৪টি শহরে। একই সময়ে মোট এজেন্টের সংখ্যা ছিল ১৫ হাজার ৮৬০ জন, যার মধ্যে ১৩ হাজার ৩৫৯ জন গ্রামীণ এলাকার এবং ২ হাজার ৫০১ জন শহরাঞ্চলে। এ পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিংয়ের গ্রাহক সংখ্যা ২ কোটি ৪৪ লাখ ছাড়িয়েছে। এছাড়া এজেন্ট ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ ৪১ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক এজেন্ট ব্যাংকিং নীতিমালা প্রণয়ন করে। এরপর থেকে দেশে এজেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম বিস্তৃত লাভ করে।
ঢাকা/এনএফ/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
হিলি বাজারে উঠেছে অপরিপক্ক লিচু, কিনছেন অনেকেই
লিচুর রাজ্য দিনাজপুর। এ জেলায় লিচু উঠতে এখনও সময় লাগবে প্রায় দেড় সপ্তাহ। কিন্তু এরই মধ্যে হিলি বাজারে উঠতে শুরু করেছে অপরিপক্ক লিচু। ১০০ লিচু বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। এসব লিচু খেতে টক এবং নেই তেমন শ্বাস। মৌসুমি নতুন ফল হিসেবে কিনছেন অনেকেই।
শনিবার (১০ মে) সকালে হিলি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বেশ কয়েকজন ফল ব্যবসায়ী দোকানে মাদ্রাজি জাতের লিচু সাজিয়ে রেখেছেন। এসব লিচু দেখতে কাঁচাপাকা এবং অপরিপক্ক। ব্যবসায়ীরা ১০০ লিচু বিক্রি করছেন ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। বছরের নতুন ফল হিসেবে এসব অপরিপক্ক লিচুই কিনছেন অনেকে ক্রেতা।
মজিবর রহমান নামের একজন ক্রেতা বলেন, “বাজারে এলাম, চোখে পড়লো লিচু। লিচু তো বাড়ির সবার পছন্দের ফল। ২২০ টাকা হিসেবে ১০০ টাকায় ৫০টি লিচু নিলাম।”
পলাশ নামের আরেকজন ক্রেতা বলেন, “নতুন ফল দেখে লোভ সামলাতে পারলাম না। ১০০ লিচু কিনলাম। কিন্তু এসব লিচু এখনও পরিপক্ব হয়নি। খেতে টক, এখনও সময় লাগবে। তবুও নিলাম।”
হিলি বাজারে ফল ব্যবসায়ী ভুট্রু মিয়া বলেন, “বাজারে দুই থেকে তিনদিন হলো লিচু উঠেছে। এ লিচু আমরা পাশের উপজেলা পাঁচবিবি থেকে নিয়ে এসেছি। এসব মাদ্রাজি জাতের লিচু। বর্তমান প্রচণ্ড গরম পড়ছে। কৃষকের গাছ থেকে লিচু পড়ে যাচ্ছে। বোম্বে, চায়না ফ্রি, বেদনা জাতের লিচু উঠতে এখনও সময় লাগবে। মাদ্রাজি জাতের লিচুর চাহিদা অনেকটা কম, বেচাবিক্রিও তেমন হচ্ছে না।”
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি অফিসার আরজেনা বেগম বলেন, “বাজারে লিচু উঠতে এখনও প্রায় দেড় সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে যেসব লিচু বাজারে উঠেছে এসব আগাম জাতের লিচু।”
ঢাকা/মোসলেম/টিপু