সিলেট সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারি করেছে ভারত। দেশটির মেঘালয় রাজ্যের সাউথ গারো হিলসের জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেমা নায়েক শুক্রবার এক আদেশে সীমান্তে এই কারফিউ জারি করেন। টাইমস অব ইন্ডিয়াসহ ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে।

কারফিউ আদেশে বলা হয়, প্রতিদিন রাত ৮টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত তা বলবৎ থাকবে। সীমান্তে অনুপ্রবেশ, চোরাচালান ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঠেকাতে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে আদেশে উল্লেখ করা হয়।

শুক্রবার রাতে সিলেটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ সিলেট সীমান্তে রাত্রিকালীন কারফিউ জারির তথ্য সমকালকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, কারফিউ জারি ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার সিলেটের তামাবিল সীমান্তে উভয় দেশের সীমান্ত জরিপ চলাকালে বিএসএফকে বাধা দেয় স্থানীয় লোকজন। বাধার কারণে সীমান্ত জরিপ বন্ধ হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সেই ঘটনার জের ধরে সীমান্তে কারফিউ জারি করা হয়েছে।

কারফিউ জারির আদেশে আরও বলা হয়, কারফিউ সীমান্তের শূন্য রেখা থেকে ৫০০ মিটার পর্যন্ত এলাকায় প্রযোজ্য হবে। কারফিউ চলাকালে আন্তর্জাতিক সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ বা অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্যে চলাফেরা, অবৈধ জমায়েত, মিছিল বা অস্ত্র, লাঠি, রড ও পাথরসহ অন্যান্য অস্ত্রোপযোগী বস্তু বহন, গবাদিপশু, চোরাচালান পণ্য, সুপারি, পানের পাতা, শুকনো মাছ, বিড়ি, সিগারেট, চা পাতা ইত্যাদি সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকামুখী সড়ক অবরোধ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর ও ভাঙ্গার নেতাকর্মীরা। শুক্রবার ভাঙ্গা টোলপ্লাজা সংলগ্ন ফ্লাইওভার ব্রিজের ওপরে দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে এ কার্যক্রম শুরু করেন তারা। এতে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।

জানা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে শুক্রবার সকালে ঢাকায় কর্মসূচি চলছিল। এ কর্মসূচিকে ত্বরান্বিত ও বেগবান করার লক্ষ্যে রাত সাড়ে ১২টার পরে দক্ষিণ বঙ্গ থেকে ঢাকায় যাতায়াতের পথ অবরোধ করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফরিদপুর ও ভাঙ্গার নেতৃবৃন্দ। পরে মাওয়া-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের ভাঙ্গা টোলপ্লাজায় অবস্থান নেয় তারা।

এ সময় আওয়ামী লীগ ও দলটির অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবিতে বিভিন্ন শ্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

ফরিদপুর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা আশরাফ বলেন, আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধের দাবিতে আমরা এখানে অবস্থান করছি। যেই পর্যন্ত আমাদের দাবি না মেনে নেওয়া হবে, সেই পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছাড়বো না।

সম্পর্কিত নিবন্ধ