কুষ্টিয়া সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সংঘাতকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়ার সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সেই সাথে সীমান্ত পথে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ৪৭ ব্যাটলিয়ন এ সীমান্তে নজরদারি ও টহল তৎপরতা বৃদ্ধি করেছে।
বিজিবি ৪৭ ব্যাটলিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মাহবুব মুর্শেদ রহমান বলেন, “৫ আগস্টের পর থেকেই কুষ্টিয়া সীমান্তে অধিকতর সতর্কতা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। মাদক পাচাররোধ ও অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সতর্ক অবস্থানে আছি। পাশাপাশি আমাদের মূল দায়িত্ব সীমান্তের অখণ্ডতা রক্ষা করা। দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার ক্ষেত্রে আমরা কোন ছাড় দিচ্ছি না।”
তিনি আরো বলেন, “বিএসএফ এর সাথে আমাদের পেশাগত ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বিরাজমান। ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া সীমান্তে প্রতিপক্ষের কোন তৎপরতা নেই।”
তিনি বলেন, “উল্লেখিত সামরিক উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে আমাদের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় এখনো পর্যন্ত কোন ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়নি। তবে বিধি মোতাবেক বিদ্যমান প্রেক্ষাপটে চলমান প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সীমান্তে নজরদারী, টহল ও জনবল প্রয়োজন অনুসারে বৃদ্ধি করা হয়েছে।”
এদিকে সীমান্ত এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিজিবির বাড়তি টহল ও নিরাপত্তা জোরদার করায় সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা স্বস্তিতে রয়েছেন।
ঢাকা/কাঞ্চন/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক য় দ র কর
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে যুদ্ধ উত্তেজনার মধ্যে বাজার নিয়ন্ত্রণে টাস্কফোর্স
ভারত দীর্ঘ প্রায় ৫৫ বছর পর পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে প্রবেশ করতে চলেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। দেশজুড়ে যুদ্ধের আতঙ্কের কারণে খাদ্য সংগ্রহের দিকে নজর দিতে পারে আমজনতা। এমন পরিস্থিতিতে তাই আগেভাগেই জনগণকে আতঙ্কিত না হওয়ার পাশাপাশি খাদ্য সংকট, মজুদ, দাম নিয়ন্ত্রণে ময়দানে নামলো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
খাদ্য পণ্যের কালোবাজারি রুখতে ও শাকসবজি থেকে মাছ মাংস রাজ্য সরকার নির্ধারিত ও নিয়ন্ত্রিত ন্যায্য মূল্যে বিক্রি হচ্ছে কিনা তা নজরদারি চালাতে পাইকারি বাজারগুলোতে অভিযান শুরু করতে যাচ্ছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারই কিছুটা আগেভাগেই খাদ্য পণ্যের মজুদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দেন। টাস্কফোর্সকে নির্দেশ দেন নজরদারি বাড়ানোর।
আরো পড়ুন:
নিয়ন্ত্রণরেখার দিকে এগোচ্ছে পাক সেনা, জবাব দিতে তৈরি ভারত
সামরিক স্থাপনায় ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রত্যাখ্যান করল ভারত
সেই নির্দেশকে মাথায় রেখে শিয়ালদা কোলে মার্কেটে শনিবার সকাল সকাল হানা দেয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্পেশাল টাস্কফোর্স। তবে বাজারে অস্বাভাবিক কিছু নজরে আসেনি। যদিও বাজার ঘুরে শাকসবজি, মাছ-মাংস যাতে কেউ কালোবাজারি না, সেই বিষয় সব বিক্রেতাদের সতর্ক করা হয়।
বিক্রেতাদের জানানো হয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কড়া নির্দেশ খাদ্যদ্রব্য দিয়ে কোনোরকম কালোবাজারি করা যাবে না। প্রমাণ পেলে রাজ্য সরকার আইনত কড়া ব্যবস্থা নেবে।
বেশ অনেকটা সময় ধরে বাজার পরিদর্শন করার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন স্পেশাল টাস্কফোর্স কর্মকর্তারা। তারা জানান, পুরো বাজারে এখন খাদ্যদ্রব্যে ন্যায্য মূল্যতেই বিক্রি করা হচ্ছে।
ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ