ভারত-পাকিস্তানের সংঘাতের কারণে পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) স্থগিত হয়ে গেছে। স্থগিত হয়েছে আইপিএলও। এর মধ্যে পিএসএল সংযুক্ত আরব আমিরাতে হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল পিসিবি। কিন্তু সেটা আর হচ্ছে না। অর্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে টুর্নামেন্টটি।
আমিরাতে পিএসএল না হওয়ার পেছনে দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের আপত্তি জানানোর কথা উল্লেখ করেছে ভারতের কিছু সংবাদ মাধ্যম। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে ইমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) টুর্নামেন্টটি আয়োজন করবে না।
সেখানে আরও বলা হয়েছে, পিএসএল আয়োজন করতে দিলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হবে ইসিবির। সেটা তারা চায় না। এছাড়া নিরাপত্তা শঙ্কার বিষয়ে বলা হয়েছে, আমিরাতে দক্ষিণ এশিয়ার মানুষের বসবাস বেশি। যে কারণে পিএসএল মাঠে গড়ালে সেখানে নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি হতে পারে।
তবে সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, পিএসএল আয়োজনের প্রস্তাব আমিরাত নাকচ করে দেয়নি। বিবিসি’কে আমিরাত বোর্ডের নির্ভরযাগ্য সূত্র জানিয়েছে, তারা পিএসএল আয়োজনের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেননি। একই কথা জানিয়েছে পিসিবির সিনিয়র এক কর্মকর্তা।
বিবিসির দেওয়া তথ্য মতে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শে স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে পিএসএল। দেশের এই ক্রান্তিকালে পাকিস্তানের জনগণ ক্রিকেটের চেয়ে অনেক বড় কিছু নিয়ে উদ্বিগ্ন আছে এমন বার্তা দেওয়া হয়েছে।
পিসিবির বিবৃতি বলেছে, ‘প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের পরামর্শে পিএসএল স্থগিত করা হয়েছে। ভারতের এই আগ্রাসন বেপরোয়া পর্যায়ে পৌঁছেছে, পুরো জাতির দৃষ্টি ও আবেগ এখন দেশের সাহসী সশস্ত্র বাহিনীর দিকে, যারা নির্ভীকভাবে পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় লড়ছেন। পিসিবি এবং খেলোয়াড়রা শহীদ পরিবারের সদস্যদের এবং জাতির সুরক্ষায় নিয়োজিত নিরাপত্তাকর্মীদের প্রতি দৃঢ় সংহতি প্রকাশ করছে।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প এসএল প এসএল আম র ত
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানকে ভেন্যু দিয়ে ভারতকে ‘না’ বলল আরব আমিরাত
পাকিস্তানকে ভেন্যু দিয়ে ভারতকে ‘না’ করে দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ফলে আপাতত বন্ধ হয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) আইপিএল আয়োজনের বিকল্প পরিকল্পনা।
ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সামরিক উত্তেজনার মধ্যেই পিএসএল-এর বাকি অংশ পাকিস্তান থেকে সরিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় পিসিবি। শুরুতে করাচিতে টুর্নামেন্ট শেষ করতে চাইলেও বিদেশি ক্রিকেটারদের আপত্তিতে সেই পরিকল্পনা বাতিল হয়। নিরাপত্তার শঙ্কা দূর করতে দ্রুত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়া হয় পিএসএল।
বিপরীতে, নিরাপত্তা হুমকির কারণে ধর্মশালায় মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয় পাঞ্জাব কিংস ও দিল্লি ক্যাপিটালসের ম্যাচ। এরপর বিসিসিআইও চেয়েছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতে আইপিএলের বাকি ম্যাচগুলো আয়োজন করতে। কিন্তু এরই মধ্যে পিএসএলের জন্য আমিরাতের মাঠ বরাদ্দ হয়ে যাওয়ায় ভারতকে ‘না’ বলে দেয় ইসিবি (ইমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড)।
জিও সুপারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আইপিএল আয়োজনে আগ্রহী ভারত আরব আমিরাতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দিয়েছিল। তবে পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্বে হওয়া চুক্তি দেখিয়ে আমিরাত জানিয়ে দেয়, তারা আর আইপিএল আয়োজন করতে পারবে না।
ফলে আরব আমিরাতে মাঠ না পাওয়ায় বাধ্য হয়ে এক সপ্তাহের জন্য আইপিএল স্থগিত করেছে বিসিসিআই। বিসিসিআই এখন সেপ্টেম্বরের ফাঁকা উইন্ডোতে আইপিএল আয়োজন করতে চাইলেও তখন এশিয়া কাপ থাকায় সেটাও অনিশ্চিত। বিকল্প হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে আলোচনা করছে ভারত। সবকিছু ঠিক থাকলে সেখানেই গড়াতে পারে বাকি ম্যাচগুলো।