আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বগুড়ায় সড়ক অবরোধ
Published: 9th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বগুড়ায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৯ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শহরের সাতমাথার শেরপুর রোড, নবাববাড়ী রোড, স্টেশন রোড অবরোধ করেন করেন তারা।
সাতমাথার সড়ক অবরোধ থাকায় শহরের ভেতরে যানজটের সৃষ্টি হয়। রাত পৌনে ১০টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং আটকা পড়া যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত সোয়া ১০টা) বিক্ষোভ চলছিল।
আরো পড়ুন:
আ.
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি: যমুনার সামনে তৈরি হচ্ছে মঞ্চ
বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে ‘খুনি হাসিনার ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘ওয়ান-টু-থ্রি-ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’ বলে স্লোগান দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বগুড়া জেলার আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান বলেন, “আমরা এখানে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচি চলবে। আওয়ামী লীগকে যদি নিষিদ্ধ করা না হলে আমরা উত্তরবঙ্গ ব্লকেড দেবে।”
বগুড়া জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতোয়ার রহমান বলেন, “আন্দোলনের ফলে শহরে যানজট দেখা দিয়েছিল। সেনাবাহিনী গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে যান চলাচল স্বাভাবিক করে। বর্তমানে যানজট নেই।”
এদিকে, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আজ জুমার নামাজের পর ছাত্র-জনতা ডিসি বাংলোয় ব্যানার টানিয়ে দুই পাশের সড়ক ব্লক করে বিক্ষোভ করেন। তাদের বিক্ষোভ চলে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। এছাড়া বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী ছাত্রশিবির।
ঢাকা/এনাম/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ অবর ধ সড়ক অবর আওয় ম অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
অনুমোদনের প্রথম দিন সেন্ট মার্টিন যায়নি কোনো পর্যটকবাহী জাহাজ
দীর্ঘ ৯ মাস পর শনিবার থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। কিন্তু প্রথম দিন কোনো জাহাজ সেন্ট মার্টিনে না যাওয়ার কারণে পর্যটকেরা দ্বীপে যেতে পারেননি। হাজারো পর্যটক সেন্ট মার্টিনে যেতে না পেরে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন। অন্যদিকে জাহাজমালিকেরা বলছেন, সরকারের বিভিন্ন শর্তের কারণে পর্যটকদের আগ্রহ না থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ ছিল।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্বীপটি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। ১ নভেম্বর থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলে সরকারের কোনো বাধা নেই। লিখিতভাবে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে দিনে গিয়ে দিনেই চলে আসতে হবে; রাতে থাকা যাবে না।
এদিকে রাতে থাকার সুযোগ না থাকায় পর্যটকেরা যেতে আগ্রহী হচ্ছেন না। কারণ, দীর্ঘ সময় ভ্রমণ করে দ্বীপে গিয়ে আবার সেদিনই চলে আসতে হবে। এ কারণে জাহাজমালিকেরাও জাহাজ চালাতে অনীহা প্রকাশ করছেন। তাঁদের দাবি, দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত বাস্তবসম্মত নয়।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মো. শাহিদুল আলম বলেন, জাহাজমালিকেরা যদি জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখেন, সেটা তাঁদের ব্যাপার। সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সরকারের জারি করা ১২টি নির্দেশনা এবার কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করবে জেলা প্রশাসন।
শাহিদুল আলম বলেন, আগে টেকনাফ থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল করলেও নিরাপত্তার কারণে এখন কক্সবাজার শহর থেকে পর্যটকবাহী জাহাজ বঙ্গোপসাগর পাড়ি দিয়ে সেন্ট মার্টিনে যাতায়াত করবে।
সি ক্রুজ অপারেটরস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (স্কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া ঘাট থেকে জাহাজ ছেড়ে গেলে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে সাত থেকে আট ঘণ্টা সময় লাগে। ফলে পর্যটকেরা কিছুই ঘুরে দেখতে পারবেন না। দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যেমন কষ্টসাধ্য, তেমনি ব্যবসার জন্যও তা অলাভজনক। এ কারণেই অনেক পর্যটক সেন্ট মার্টিন যেতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
হোসাইন ইসলাম আরও বলেন, রাতযাপন করার সুযোগ না থাকলে সেন্ট মার্টিনের পর্যটন মৌসুম জমে না। পর্যটকেরা রাতের সৈকত দেখতে চান, ঢেউয়ের শব্দ শুনতে চান। সেটাই তো সেন্ট মার্টিনের আসল আকর্ষণ।
পরিবেশ অধিদপ্তরের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ের পরিচালক মো. জমির উদ্দিন বলেন, সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ভ্রমণের ক্ষেত্রে সরকারের নির্দেশনা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনসেন্ট মার্টিনে নিষেধাজ্ঞা উঠছে কাল, তবে জাহাজ চলবে কি৩১ অক্টোবর ২০২৫