নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অধিগ্রহণকৃত জায়গার মূল্য পরিশোধ চেক প্রদান করেন জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা।

সোমবার ১২ মে বেলা ১২টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে বিভিন্ন এল. এ কেসের এমআইসিআর চেক প্রদান কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় ১টি চেকে মোট ১ কোটি ১৬ লক্ষ ৫ শত ৯৬ টাকা, বন্দর উপজেলায় ৬ টি চেকে মোট ১ কোটি ৫৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৭ টাকা, সোনারগাঁ উপজেলায় ১টি চেকে মোট ৮ লক্ষ ৪২ হাজার ১ শত ৮৩ টাকা, রূপগঞ্জ উপজেলায় ১টি চেকে মোট ৪ কোটি ৯৮ লক্ষ ১৬ হাজার ১ শত ৮৭ টাকা প্রকৃত জমির মালিকদের কাছে থেকে জায়গা ও স্থাপনার অধিগ্রহণ বাবদ এম.

আই.সি.আর চেক প্রদান করা হয়।

এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আজ আমরা জেলার বিভিন্ন উপজেলার জমির মালিকদের কাছে সরকার কর্তৃক প্রদত্ত এল.এ কেসের এম.আই.সি.আর চেক বিতরণ করা হয়েছে।

আর এই বিষয়ে কোন চেক গ্রহিতার কাছ থেকে কোন পরিমাণ ঘুষ বা অবৈধ উপায়ে অর্থ আদায় করা হয়নি। বর্তমান সরকার দেশের জনগণের জন্য নিঃসন্দেহে অভূতপূর্ব কাজ করে যাচ্ছে।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ন র য়ণগঞ জ উপজ ল য় আর চ ক

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরের ফুলহর গরুর হাটের অনুমতি নিয়ে আতংকে এলাকাবাসী  

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন  ২৭ নং ওর্য়াডের বন্দরের ফুলহরস্থ গরুর হাটের অনুমতি নিয়েই এলাকাবাসীর মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে।  জায়গার মালিক শিল্পপতি আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন কোন স্বার্থে বা কি উদ্যোশে গরুর হাটের জায়গার অনুমতি দিয়েছে সে বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে এলাকাবাসীকে।  

নিজেদের জায়গায় হাটের অনুমতি দিয়ে এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ আনোয়ার হোসেনের গভীর মিশনও থাকতে পারে। হাটের জায়গার অনুমতি দেয় ফ্যাসিস্ট সরকারের যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদের ঘনিষ্ঠ এজেন্ট বহুরূপী মোমেন মিয়াকে।

ফুলহর এলাকার শহিদুল্লা ওরফে পাইছার ছেলে মোমেন মিয়া আওয়ামীলীগে যোগদানকারী নেতা ও অহিদের ক্যাডার মোমেন মিয়া। অহিদের ছক ও আনোয়ার হোসেনের মাস্টার মাইন্ডের ঝালে মোমেন মিয়াকে অনুমতি দেয়। যা ১ ঢিলে ৩ পাখি কপোকাতের সামিল।

মাস্টার মাইন্ডার আনোয়ার হোসেন মোমেন মিয়াকে অনুমতি দেয়নি ওনি ফুলহর এলাকায় অপ্রীতিকর ঘটনার পথ তৈরি করে দিয়েছে।  স্বৈরাচারী সরকারের যুবলীগ নেতা অহিদুজ্জামান অহিদ পলাতক থেকে কলকাঠি নাড়ছে মোমেন মিয়াকে দিয়ে আর আনোয়ার হোসেন মাস্টার গেইম পূর্বক অনুমতি দিয়েছে বলে সচেতন মহলের দাবী। 

সূত্র মতে, নাসিক ২৭ নং ওর্য়াড বন্দরের ফুলহরে গরুর হাট করার জন্য জায়গার অনুমতি দেয় আনোয়ার হোসেন।  জায়গার মালিক আনোয়ার হোসেন অনুমতি দিলেও তার বড় ভাই শিল্পপতি আলহাজ্ব এম জামাল উদ্দিন নিষেধ করার পরও আনোয়ার হোসেনের বিষয়টিকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছেন সচেতন মহল।  

নিজেদের জায়গা মোমেন মিয়াকে অনুমতি দিয়ে এলাকায় চর্থুরমুখী অরজগতা সৃষ্টির মাস্টার প্লান।  পলাতক যুবলীগের নেতা অহিদুজ্জামান অহিদের হয়ে মোমেন মিয়া অনুমতি চাইলেই দিয়ে দেয়। এ খবর চাউর হওয়ার পরই বিএনপির ৩ গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে যাচ্ছে। স্বৈরাচারী সরকারের প্রেতাত্মারা যদি ফুলহরে হাট করে তাহলে বিএনপির নেতারা মুখে আঙুল দিয়ে বসে থাকবে।

অহিদের বিষধ পরিকল্পনা,  আনোয়ার হোসেনের মাস্টার প্লানের কবলে ইতিমধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।  তাদের ভিষণে হাট নিয়ে এলাকায় যেকোন সময় রক্তখয়ী সংর্ঘষের আশংকায় এলাকাবাসী। তিন মুখী পরিকল্পনায় কোন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটলে এর দায় নিবে কে এমনই প্রশ্ন সর্বত্র।

আলহাজ্ব আনোয়ার হোসেন জানান, গরুর হাট করার কথা মোমেনসহ কয়েকজন বলার পর অনুমতি দিয়েছি। এলাকার ছেলেরা যদি হাট করে কিছু টাকা পায় সেদিক বিবেচনা করে। জায়গায় হাট করার অনুমতি দিয়ে যে যন্ত্রণা পোহাতে হবে তা চিন্তাও করিনি।

স্বৈরাচারী সরকারের সময়ে অহিদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠজন ও ফুল দিয়ে আওয়ামীলীগে যোগদানকারী মোমেন মিয়া। অহিদুজ্জামান অহিদের হয়ে মোমেন কাজ করতেছে এমন প্রশ্নে আনোয়ার হোসেন মৃদু হেসে বলেন, হাটের জায়গার বিষয়টি নতুনভাবে চিন্তা করে বন্ধ করে দিতে পারি। 

মোমেন বিএনপি করে শুনেছি, তাদের মধ্যেই গ্রুপের শেষ নেই। আবার যদি অহিদের হয়ে মোমেন কাজ করতেছে সেখানেও যন্ত্রণা।  শনিবার বিএনপির নেতা বাদলে ফোন দিয়েছিল।  আলহাজ্ব এম জামাল উদ্দিন সাহেবতো হাটের জন্য জায়গার অনুমতি দিতে নিষেধ করেছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন হ্যা, জায়গার বিষয়টি অনুমতি দিতে নিষেধ করেছে।

দেখি নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে, জায়গা দিয়ে উপকার করতে গিয়ে কোন অজাতব যন্ত্রণা পোহাতে চাই না।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ফুলহরে হাটের অনুমতি বাতিলের জন্য প্রশাসনের কঠোর ও জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। বন্দর থানা পুলিশের পরিদর্শক মোঃ তরিকুল ইসলামের বিশেষ দৃষ্টি ও কঠোর হস্তক্ষেপ জরুরি। 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন জহিরুল ইসলামের সাথে কথা বলতে তার বাংলালিংক নাম্বারে একাধিকবার ফোন দিয়েও পাওয়া যায়নি।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কদম রসুল সেতু আশীর্বাদ না অভিশাপ হবে 
  •  সোনারগাঁয়ের আওয়ামী লীগ নেতা ইঞ্জি. মাসুম বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার
  • নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র আইভীর জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে ডিভিশন প্রদানের আদেশ
  • রূপগঞ্জে বায়ুদূষণ বন্ধে পরিবেশ অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা
  • নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালকদের হামলা, আহত ১০
  • নাসিক ভবনে অটোরিকশাচালকদের হামলার অভিযোগ
  • আইভী ছিল আওয়ামী লীগের শেষ প্রদীপের আলো
  • দাবি আদায়ের লক্ষ্যে নারায়ণগঞ্জ থেকেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিবো : কামরুল 
  • বন্দরের ফুলহর গরুর হাটের অনুমতি নিয়ে আতংকে এলাকাবাসী