শত বছর আগের আলোকচিত্র দেখে যেমন অনুভূতি হলো পাহাড়ের দর্শকদের
Published: 15th, May 2025 GMT
সারি সারি আলোকচিত্র। তাতে ধরা আছে শত বছরের ইতিহাস। ১৯০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্যাপ্তি। বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমাজ-সংস্কৃতির বহু টুকরো ছবিই ধরা আছে তাতে। তা দেখতে দেখতেই যেন স্মৃতিকাতর হয়েছেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। ছবিতে কেউ পরিচিতজনকে খুঁজছেন, কেউ ৬০ ও ৭০ বছর আগের পরিবেশের সঙ্গে বর্তমানকে মেলাতে চেয়েছেন। চেয়েছেন সামাজিক রূপান্তরের চিত্রটাও বুঝতে।
বান্দরবানের রাজারমাঠে ‘নিজের চোখে, নিজের ভূমিতে’ শিরোনামে শত বছরের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে এসে এমন অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়েছেন দর্শকেরা। দৃক গ্যালারির উদ্যোগে গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চার দিনের প্রদর্শনী চলবে ১৬ মে পর্যন্ত। পেশাদার নয় এমন শৌখিন আলোকচিত্রীদের ১৯০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তোলা ১২৫টি আলোকচিত্র মাঠে স্থাপন করা গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং পারিবারিকভাবে সংরক্ষণ করা অনেক ছবিও রয়েছে এতে।
প্রদর্শনীতে বান্দরবান পার্বত্য জেলার মানুষের ১০০ বছরের জীবনচিত্র খুঁজে পাওয়া যায়। দেখা মেলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সমাজ রূপান্তরের চিত্র। তবে পাহাড়ির সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের সবটুকু এতে নেই। আলীকদমের শিক্ষিত তরুণ রুমতন ম্রো তেমনটাই বললেন। ছবি দেখতে দেখতে তিনি বলেন, আলোকচিত্রে গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকের আলোকচিত্রে বোমাং রাজপরিবারের জীবনচিত্র এসেছে, আশি ও নব্বইয়ের দশকে শহরের নৃত্য-গান, শিক্ষার পরিবেশ, ম্রোদের শিকারি জীবন, জুমচাষ সম্পর্কেও জানা যাচ্ছে, কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অধিকারের লড়াইয়ের চিত্র নেই।
প্রদর্শনীর সবচেয়ে পুরোনো আলোকচিত্রটি ১৯০৯ সালের। ছবিতে দেখা যায়, ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল গভর্নমেন্টের গভর্নর ল্যান্সলট হেয়ারকে অভ্যর্থনা দেওয়া হচ্ছে। নানা আলোকচিত্রে ষাট ও সত্তরের দশক থেকে পাহাড়ি সমাজের পরিবর্তনের আঁচ পাওয়া যায়। ১৯৬১ সালের একটি ছবিতে বোমাং রাজপরিবারের সদস্যদের নিজেদের গাড়িতে চলাচল করতে দেখা যায়। সেকালের ছবিতে সোনালি অতীত দেখেছেন কেউ কেউ। মং নু মারমা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন, সেদিন আর এদিনের মিলিয়ে দেখলে খাপছাড়া মনে হয়।
দৃক গ্যালারি আয়োজিত ‘নিজের চোখে, নিজের ভূমিতে’ শিরোনামে শত বছরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন দর্শকেরা। গত মঙ্গলবার বিকেলে বান্দরবানের রাজারমাঠ এলাকায়.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন শত বছর বছর র
এছাড়াও পড়ুন:
৫৩-তে পৌঁছালেন জয়া আহসান
জয়া আহসানের নামের পাশে লেখা আছে—গেরিলা, দেবী, জিরো ডিগ্রী থেকে তাণ্ডব, উৎসবের মতো সিনেমার নাম। শুধুতে ঢাকাই চলচ্চিত্রেই তিনি সরব তা কিন্তু নয় ওপার বাংলার বিসর্জন, বিজয়া, রাজকাহিনী, অর্ধাঙ্গিনী, ক্রিসক্রস, দশম অবতার-এর নায়িকা তিনি। বলছি জয়া আহসানের কথা। আজ তার জন্মদিন। শুভজন্মদিন জয়া আহসান।
উইকিপিডিয়ার তথ্য, ১৯৭২ সালের ১ লা জুলাই জন্মগ্রহন করেছেন জয়া আহসান। হিসাব অনুযায়ী ৫৩তে পৌঁছালেন নায়িকা। যদিও জন্মসাল নিয়ে দ্বিমত আছে। জয়া আহসান একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তার জন্ম ১৯৮৩ সালে।
মডেলিং দিয়ে যাত্রা শুরু জয়ার। এরপর নাটক ও সিনেমায় কাজ করে প্রতিটি ধাপে নিজেকে বারবার প্রমাণ করেছেন তিনি। ঢালিউড থেকে টলিউড, সেখান থেকে বলিউডেও পৌঁছে গেছেন জয়া। বাংলাদেশেরই এই সময়ের সবচেয়ে প্রতিভাবান অভিনেত্রীও বলা হয় জয়া আহসানকে।
আরো পড়ুন:
‘নাটকটি দেখে চোখের পানি ধরে রাখা সম্ভব না’
বুবলীর যে গুণে মুগ্ধ হয়ে প্রেমে পড়েছিলেন তাপস
গল্পনির্ভর সিনেমায় তিনি অসাধারণ আর বাণিজ্যিক সিনেমায় অনন্য। বিশেষত করে নারীকেন্দ্রিক সিনেমাগুলোতে নিজের অভিনয়সত্তাকে অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছেন জয়। অভিনয়ের জন্য জয় অর্জন করেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড সহ অসংখ্য সম্মাননা এবং অগণিত দর্শকের ভালোবাসা।
জয়া আহসান বলিউড অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠির বিপরীতে কড়ক সিং-এ অভিনয় করেছেন।
জয়া অভিনীত একক নাটক ও টেলিফিল্ম
১.তারপর ও আঙ্গুরলতা নন্দকে ভালোবাসে(২০০৯)
২.গরম ভাত অথবা নিছক ভূতের গল্প(২০০৭)
৩.হাটকুঁড়া(২০০৬)
৪.তারপর পারুলের দিন(২০০৮)
৫.না কমলা না মেহেরজান(২০১২)
৬.ফেরার কোনো পথ নেই থাকে না কোন কালে(২০১০)
৭.অফবিট(২০০৫)
৮.পাঞ্জাবীওয়ালা(২০০৯)
৯.স্বপ্নসিঁড়ি(২০০৪)
১০.আমাদের গল্প(২০১২)
১১. সম্পর্কের দানা(২০০৯)
১২.লীলাবতী(২০০৬)
১৩.নো ম্যানস ল্যান্ড(২০০৬)
১৪.মায়েশা(২০০৯)
১৫.এ জার্নি বাই বোট(২০১০)
১৬.অবাক সন্দেশ(২০০৮)
১৭.বিকল পাখির গান(২০০৯)
১৮.জোৎস্না নদী ও রহিমের কিছু দৃশ্যকাব্য(২০১২)
জয়া অভিনীত ধারাবাহিক নাটক
১.এনেছি সূর্যের হাসি(২০০৫)
২.টু-লেট(২০০৮)
৩.শঙ্খবাস(২০০৭)
৪.চৈতা পাগল(২০১০)
৫.৬৯(২০০৫)
৬.সংশয়(২০০৩)
জয়া অভিনীত সিনেমা
১.গেরিলা(২০১১)
২.বিসর্জন(২০১৭)
৩.খাঁচা(২০১৭)
৪.ডুবসাঁতার(২০১০)
৫.ফিরে এসো বেহুলা(২০১২)
৬.বিজয়া(২০১৯)
৭.এক যে ছিল রাজা(২০১৮)
৮.জিরো ডিগ্রী(২০১৫)
৯.দেবী(২০১৮)
১০.ভালোবাসার শহর(২০১৭)
১১.আবর্ত(২০১৩)
১২.রাজকাহিনী(২০১৫)
১৩.বিনিসুতোয়(২০২১)
১৪.অর্ধাঙ্গিনী(২০২৩)
১৫.বিউটি সার্কাস(২০২২)
ঢাকা/লিপি