সারি সারি আলোকচিত্র। তাতে ধরা আছে শত বছরের ইতিহাস। ১৯০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্যাপ্তি। বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমাজ-সংস্কৃতির বহু টুকরো ছবিই ধরা আছে তাতে। তা দেখতে দেখতেই যেন স্মৃতিকাতর হয়েছেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। ছবিতে কেউ পরিচিতজনকে খুঁজছেন, কেউ ৬০ ও ৭০ বছর আগের পরিবেশের সঙ্গে বর্তমানকে মেলাতে চেয়েছেন। চেয়েছেন সামাজিক রূপান্তরের চিত্রটাও বুঝতে।

বান্দরবানের রাজারমাঠে ‘নিজের চোখে, নিজের ভূমিতে’ শিরোনামে শত বছরের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে এসে এমন অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়েছেন দর্শকেরা। দৃক গ্যালারির উদ্যোগে গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চার দিনের প্রদর্শনী চলবে ১৬ মে পর্যন্ত। পেশাদার নয় এমন শৌখিন আলোকচিত্রীদের ১৯০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তোলা ১২৫টি আলোকচিত্র মাঠে স্থাপন করা গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং পারিবারিকভাবে সংরক্ষণ করা অনেক ছবিও রয়েছে এতে।

প্রদর্শনীতে বান্দরবান পার্বত্য জেলার মানুষের ১০০ বছরের জীবনচিত্র খুঁজে পাওয়া যায়। দেখা মেলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সমাজ রূপান্তরের চিত্র। তবে পাহাড়ির সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের সবটুকু এতে নেই। আলীকদমের শিক্ষিত তরুণ রুমতন ম্রো তেমনটাই বললেন। ছবি দেখতে দেখতে তিনি বলেন, আলোকচিত্রে গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকের আলোকচিত্রে বোমাং রাজপরিবারের জীবনচিত্র এসেছে, আশি ও নব্বইয়ের দশকে শহরের নৃত্য-গান, শিক্ষার পরিবেশ, ম্রোদের শিকারি জীবন, জুমচাষ সম্পর্কেও জানা যাচ্ছে, কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অধিকারের লড়াইয়ের চিত্র নেই।

প্রদর্শনীর সবচেয়ে পুরোনো আলোকচিত্রটি ১৯০৯ সালের। ছবিতে দেখা যায়, ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল গভর্নমেন্টের গভর্নর ল্যান্সলট হেয়ারকে অভ্যর্থনা দেওয়া হচ্ছে। নানা আলোকচিত্রে ষাট ও সত্তরের দশক থেকে পাহাড়ি সমাজের পরিবর্তনের আঁচ পাওয়া যায়। ১৯৬১ সালের একটি ছবিতে বোমাং রাজপরিবারের সদস্যদের নিজেদের গাড়িতে চলাচল করতে দেখা যায়। সেকালের ছবিতে সোনালি অতীত দেখেছেন কেউ কেউ। মং নু মারমা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন, সেদিন আর এদিনের মিলিয়ে দেখলে খাপছাড়া মনে হয়।

দৃক গ্যালারি আয়োজিত ‘নিজের চোখে, নিজের ভূমিতে’ শিরোনামে শত বছরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন দর্শকেরা। গত মঙ্গলবার বিকেলে বান্দরবানের রাজারমাঠ এলাকায়.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ন দরব ন শত বছর বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

শত বছর আগের আলোকচিত্র দেখে যেমন অনুভূতি হলো পাহাড়ের দর্শকদের

সারি সারি আলোকচিত্র। তাতে ধরা আছে শত বছরের ইতিহাস। ১৯০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ব্যাপ্তি। বান্দরবানসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের সমাজ-সংস্কৃতির বহু টুকরো ছবিই ধরা আছে তাতে। তা দেখতে দেখতেই যেন স্মৃতিকাতর হয়েছেন পাহাড়ের বাসিন্দারা। ছবিতে কেউ পরিচিতজনকে খুঁজছেন, কেউ ৬০ ও ৭০ বছর আগের পরিবেশের সঙ্গে বর্তমানকে মেলাতে চেয়েছেন। চেয়েছেন সামাজিক রূপান্তরের চিত্রটাও বুঝতে।

বান্দরবানের রাজারমাঠে ‘নিজের চোখে, নিজের ভূমিতে’ শিরোনামে শত বছরের আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে এসে এমন অনুভূতিতে আচ্ছন্ন হয়েছেন দর্শকেরা। দৃক গ্যালারির উদ্যোগে গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চার দিনের প্রদর্শনী চলবে ১৬ মে পর্যন্ত। পেশাদার নয় এমন শৌখিন আলোকচিত্রীদের ১৯০৯ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত তোলা ১২৫টি আলোকচিত্র মাঠে স্থাপন করা গ্যালারিতে প্রদর্শন করা হচ্ছে। ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং পারিবারিকভাবে সংরক্ষণ করা অনেক ছবিও রয়েছে এতে।

প্রদর্শনীতে বান্দরবান পার্বত্য জেলার মানুষের ১০০ বছরের জীবনচিত্র খুঁজে পাওয়া যায়। দেখা মেলে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর সমাজ রূপান্তরের চিত্র। তবে পাহাড়ির সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের সবটুকু এতে নেই। আলীকদমের শিক্ষিত তরুণ রুমতন ম্রো তেমনটাই বললেন। ছবি দেখতে দেখতে তিনি বলেন, আলোকচিত্রে গত শতকের ষাট ও সত্তরের দশকের আলোকচিত্রে বোমাং রাজপরিবারের জীবনচিত্র এসেছে, আশি ও নব্বইয়ের দশকে শহরের নৃত্য-গান, শিক্ষার পরিবেশ, ম্রোদের শিকারি জীবন, জুমচাষ সম্পর্কেও জানা যাচ্ছে, কিন্তু পার্বত্য চট্টগ্রামের মানুষের অধিকারের লড়াইয়ের চিত্র নেই।

প্রদর্শনীর সবচেয়ে পুরোনো আলোকচিত্রটি ১৯০৯ সালের। ছবিতে দেখা যায়, ব্রিটিশ ভারতের বেঙ্গল গভর্নমেন্টের গভর্নর ল্যান্সলট হেয়ারকে অভ্যর্থনা দেওয়া হচ্ছে। নানা আলোকচিত্রে ষাট ও সত্তরের দশক থেকে পাহাড়ি সমাজের পরিবর্তনের আঁচ পাওয়া যায়। ১৯৬১ সালের একটি ছবিতে বোমাং রাজপরিবারের সদস্যদের নিজেদের গাড়িতে চলাচল করতে দেখা যায়। সেকালের ছবিতে সোনালি অতীত দেখেছেন কেউ কেউ। মং নু মারমা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বললেন, সেদিন আর এদিনের মিলিয়ে দেখলে খাপছাড়া মনে হয়।

দৃক গ্যালারি আয়োজিত ‘নিজের চোখে, নিজের ভূমিতে’ শিরোনামে শত বছরের আলোকচিত্র প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন দর্শকেরা। গত মঙ্গলবার বিকেলে বান্দরবানের রাজারমাঠ এলাকায়

সম্পর্কিত নিবন্ধ