সাতক্ষীরায় হিমসাগর আমে বাজার সয়লাব, দাম পড়ে যাওয়ায় চাষিদের মুখে হাসি নেই
Published: 16th, May 2025 GMT
সাতক্ষীরার সুস্বাদু হিমসাগর আম পাড়ার সময়সূচি পাঁচ দিন এগিয়ে আনার পর বাজারে একসঙ্গে বিপুল পরিমাণ আম উঠেছে। তবে প্রত্যাশিত দাম না পেয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন চাষিরা।
গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার জেলার বড়বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এক কিলোমিটারজুড়ে শুধু হিমসাগর আমবোঝাই ভ্যান ও পিকআপের সারি। প্রচণ্ড গরমে আম দ্রুত পেকে যাওয়ায় ও হঠাৎ আমার পাড়ার সময়সূচিতে বদল আনায় একসঙ্গে প্রচুর আম পেড়েছেন চাষিরা। ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়ে গেছে। বাজারে মণপ্রতি হিমসাগর আম বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২২০০ টাকায়।
চাষিরা জানিয়েছেন, উৎপাদন খরচের তুলনায় দাম না পাওয়ায় তাঁরা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। হিমসাগর আম পাড়ার পর দুই-চার দিন সংরক্ষণ করা সম্ভব হয় না, দ্রুত পচে যায়। সাতক্ষীরায় হিমাগার না থাকায় আম সংরক্ষণের সুযোগও নেই। ফলে লোকসানের শঙ্কা আরও বেড়েছে।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, চাষিদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক ও কৃষি বিভাগের উদ্যোগে একটি বৈঠক হয়। এতে হিমসাগর আম পাড়ার নির্ধারিত সময়সূচি পাঁচ দিন এগিয়ে ২০ মে থেকে ১৫ মে করা হয়। এরপর রাতেই অনেকে আম পেড়ে বৃহস্পতিবার সকালে বাজারে তোলেন।
সদর উপজেলার ব্রহ্মরাজপুর এলাকার আমচাষি হোসেন আলী বলেন, ‘মহাজনের কাছ থেকে দাদন নিয়ে অনেক পরিশ্রম করে আম চাষ করি। কিন্তু এবার দাম পাচ্ছি না। গরমে দ্রুত পেকে যাওয়ায় একসঙ্গে বাজারে আম চলে এসেছে। ফলে দাম পড়ে গেছে।’
গতকাল বৃহস্পতিবার ও আজ শুক্রবার সাতক্ষীরার বড়বাজার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, এক কিলোমিটারজুড়ে শুধু হিমসাগর আমবোঝাই ভ্যান ও পিকআপের সারি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র আম প ড়
এছাড়াও পড়ুন:
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদার ছয় সন্তানের পাঁচজনই মারা গেল
একসঙ্গে জন্ম দেওয়া মোকসেদা আক্তারের ছয় সন্তানের মধ্যে পাঁচজনই মারা গেল। গতকাল রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে জন্ম নেওয়ার পরপরই একটি শিশু মারা যায়। আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত চিকিৎসাধীন অবস্থায় একে একে আরও চার নবজাতকের মৃত্যু হয়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ কর্মকর্তা মো. ফারুক প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার খাজুরিয়া গ্রামের মোকসেদা আক্তার রোববার সকালে একসঙ্গে এই ছয় সন্তানের জন্ম দেন। তাঁর স্বামী মো. হানিফ কাতারপ্রবাসী। মোকসেদা আক্তারের ননদ লিপি বেগম আজ প্রথম আলোকে বলেন, বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকের অবস্থাও বেশি ভালো নয়।
ঢামেক হাসপাতালের গাইনি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, মোকসেদা তিন ছেলে ও তিন মেয়েসন্তান প্রসব করেন। সন্তানেরা ২৭ সপ্তাহ পূর্ণ হওয়ার আগেই জন্ম নেয়। জন্মের সময় প্রত্যেকের ওজন ছিল ৬০০ থেকে ৯০০ গ্রামে মধ্যে। এ কারণে তাদের সবার অবস্থাই ছিল সংকটজনক।
আরও পড়ুনঢাকা মেডিকেলে একসঙ্গে ছয় সন্তানের জন্ম, নবজাতকদের অবস্থা সংকটাপন্ন২২ ঘণ্টা আগেঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নবজাতক বিভাগে আইসিইউতে পর্যাপ্ত শয্যা খালি না থাকায় তিনজনকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে বেঁচে থাকা একমাত্র নবজাতকটি বেসরকারি হাসপাতালে আছে।