ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন
Published: 16th, May 2025 GMT
ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশনের ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারে বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে। এ বছর বুদ্ধ পূর্ণিমা রোববার হলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার। অনুষ্ঠানে গৌতম বুদ্ধের জীবনের উপর সংগীতভিত্তিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনার পাশাপাশি ছিল ভরতনাট্যম ও ওড়িসি নৃত্যের পরিবেশনা।
অনুষ্ঠানে ওই মহামানব আসে, আজি কমল মুকুল দল উড়িল গানের সঙ্গে গৌতম বুদ্ধের জীবনের নানান দিক নৃত্যের বিভিন্ন আঙ্গিকের মাধ্যমে দর্শকদের সামনে তুলে ধরেন শিল্পীরা। এছাড়া নৃত্যের মাধ্যমে গৌতম বুদ্ধের জন্ম, বোধিলাভ ও মহাপরিনির্বাণের স্মৃতিবিজড়িত দিকগুলো তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। তিনি বলেন, আজ আমরা পবিত্র বুদ্ধপূর্ণিমা উদযাপন করছি—এই দিনে আমাদের উচিত আমাদের হাজার বছরের প্রাচীন বন্ধন, আত্মিক ঐতিহ্য এবং পারস্পরিক মূল্যবোধ স্মরণ করা, যা আজও আমাদের বর্তমানকে প্রভাবিত করে এবং ভবিষ্যতের পথ দেখায়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন। সংঘের পক্ষ থেকে সভাপতির বাণী পাঠ করেন সহ-সভাপতি মহারাজ স্বরূপানন্দ ভিক্ষু। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের প্রাক্তন শিক্ষা ও সাহিত্য সম্পাদক সুদত্ত বরুয়া।
বৌদ্ধদের বিশ্বাস, খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩ অব্দের এ দিনে গৌতম বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেন, ৫৮৮ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি বোধিলাভ করেন এবং ৫৪৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের এ দিনে তিনি নির্বাণ লাভ করেন।
সিদ্ধার্থের বুদ্ধত্বলাভের মধ্য দিয়েই বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়। তার আবির্ভাব, বোধি লাভ ও নির্বাণ- তিন ঘটনাই বৈশাখী পূর্ণিমার দিনে ঘটেছিল বলে একে বলা হয় ‘বুদ্ধপূর্ণিমা’।
বৌদ্ধ দর্শনের মূল লক্ষ্য সত্যকে উপলদ্ধি করে দুঃখমুক্তি। বুদ্ধের শিক্ষা- মানুষ কর্মের অধীন, জগতে কর্মই সব। যার যেমন কর্ম, তিনি ফলও পাবেন তেমন। এ দর্শনের মূলমন্ত্র- ‘সব্বে সত্তা সুখিতা ভবন্তু’, অর্থাৎ জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা আজ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের উচ্চ মাধ্যমিকে ব্যবসায় শিক্ষা শাখার শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা (শুধু এমসিকিউ) আজ শনিবার (১৭ মে) অনুষ্ঠিত হবে। বিকেল ৩টা থেকে ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে পরীক্ষা। এ জন্য প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিবিষয়ক ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যে সকল শিক্ষার্থী ১৭/০৫/২০২৫ তারিখের ‘ব্যবসায় শিক্ষা’ ইউনিটের ‘পুনঃ পরীক্ষার প্রবেশপত্র’ ডাউনলোড করেননি তাদের প্রবেশপত্র ডাউনলোড করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। নতুন ডাউনলোডকৃত প্রবেশপত্র ছাড়া কোনোভাবেই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা যাবে না।
আগামী ১৭ মে (শনিবার) বেলা ৩টা হতে ৩টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের বাণিজ্য শাখার পুনঃপরীক্ষা (শুধু এমসিকিউ অংশ) অনুষ্ঠিত হবে। শুধু গত ৮ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষায় উপস্থিত বাণিজ্য শাখার শিক্ষার্থীরা লগইন করে প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পরীক্ষা পূর্ব নির্ধারিত অঞ্চলে অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুনকানাডায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের আশ্রয় আবেদনে রেকর্ড, আরও বৃদ্ধির সম্ভাবনা২২ ঘণ্টা আগেগত ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে (ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, যা ‘গ’ ইউনিট নামে পরিচিত) চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০২৪-২৫) প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তিতে এমসিকিউ পরীক্ষা হয় ৬০ নম্বরের আর লিখিত পরীক্ষা হয় ৪০ নম্বরে। তবে এমসিকিউ প্রশ্নপত্রে একাধিক ভুলের অভিযোগ তুলে সুষ্ঠু ফলাফল প্রকাশে পুনরায় পরীক্ষার নেওয়ার জন্য গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবরে আবেদন দেন ভর্তি-ইচ্ছুক এক শিক্ষার্থী। এতে ফল না পেয়ে তিনি রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৯ মার্চ হাইকোর্ট কয়েকটি বিষয়ে রুল দেন। রুলে এমসিকিউ পরীক্ষা পুনরায় নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করেন।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ ভর্তি কমিটির এক বিশেষ সভা গত ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে শুধু এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আদালতে আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর পুনরায় পরীক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুমতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে আদালতে আবেদন করা হয়।
আরও পড়ুনঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা: মডেল টেস্ট১৫ মে ২০২৫