সাগর–রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১৮ বার পেছাল
Published: 21st, May 2025 GMT
সাংবাদিক দম্পতি সাগর–রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আজ বুধবার আদালতে জমা পড়েনি। এ নিয়ে এই মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ ১১৮ বার পেছানো হলো।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আজ এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। তবে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পক্ষ থেকে আজ আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়নি।
আগামী ৮ জুলাই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নতুন তারিখ ঠিক করেছেন ঢাকার সিএমএম আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট শাহীন রেজা।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ভোরে রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া ফ্ল্যাট থেকে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনির ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুনঅবশেষে র্যাব থেকে তদন্তের দায়িত্ব গেল পিবিআইয়ের কাছে১৩ নভেম্বর ২০২৪সাগর–রুনি হত্যায় প্রথমে এই মামলা তদন্ত করছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি। এরপর আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। এরপর র্যাবের হাত থেকে মামলাটি এখন পিবিআইয়ে। গত বছরের ৪ নভেম্বর র্যাবের কাছ থেকে মামলার নথিপত্র বুঝে নেয় পিবিআই।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দাপট দেখিয়ে প্রথমার্ধেই তুর্কমেনিস্তানের জালে বাংলাদেশের ৭ গোল
যেন ঝড় তুলেছিল লাল-সবুজের মেয়েরা। প্রতিপক্ষ তুর্কমেনিস্তান, যাদের র্যাঙ্কিং ১৪১। নারী এশিয়ান কাপের ‘সি’ গ্রুপে সবচেয়ে দুর্বল প্রতিপক্ষ ধরা হয় যাদের। মিয়ানমারের কাছে আগেই ৮-০ গোলে উড়ে যাওয়া দলটির সামনে আজ শনিবার যেন ধ্বংসের আরেক নাম হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ।
ইয়াঙ্গুনে অনুষ্ঠিত গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশ যেন একেকটা গোল নয়, গাঁথছিল সম্মোহনী ফুটবল দিয়ে রচিত একেকটি মুহূর্ত। প্রথমার্ধ শেষ হতেই স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৭-০। এমন গোলবন্যা দেখে মনে হয়েছে যেন বাংলাদেশ ফুটবলের এক নতুন ফেনোমেনন হয়ে উঠেছে।
গোল উৎসবে জোড়া গোল করেছেন ঋতুপর্ণা ও শামসুন্নাহার জুনিয়র। মনিকা চাকমা, তহুরা খাতুন ও স্বপ্না রানী ছিলেন বাকি গোলদাতাদের তালিকায়।
আরো পড়ুন:
লা লিগার সূচি প্রকাশ, বার্সা-রিয়াল এল ক্লাসিকো কবে?
সতীর্থ জোটার মৃত্যুতে রোনালদোর আবেগঘন বার্তা
এশিয়ান কাপের মূলপর্বে আগেই জায়গা করে নিয়েছিল বাংলাদেশ। তাই তুর্কমেনিস্তানের বিপক্ষে এই ম্যাচ ছিল কেবল নিয়মরক্ষার। কিন্তু কোচ পিটার বাটলার যেন এক সেকেন্ডের জন্যও খেলোয়াড়দের শিথিল হতে দেননি। আগের দুই ম্যাচের একাদশই নামিয়েছিলেন মাঠে। তার কৌশল যে কতটা কার্যকর ছিল, তা বুঝিয়ে দিলেন মেয়েরা মাঠে।
তিন মিনিটেই প্রথম আঘাত করেন স্বপ্না রানী। বক্সের বাইরে থেকে তার দূরপাল্লার দুর্দান্ত শট ঠেকাতে ব্যর্থ হন প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক। এরপর যেন একের পর এক ঢেউ আছড়ে পড়ে তুর্কমেনিস্তানের ডিফেন্সে।
৬ ও ১৩ মিনিটে দুইবার গোল করে শামসুন্নাহার জুনিয়র দেখালেন কেন তিনি দলের নির্ভরতার নাম। দ্বিতীয় গোলটি আসে গোলরক্ষকের এক ব্যর্থ ক্লিয়ারেন্স থেকে, আর তৃতীয়টি বাম দিক থেকে আসা শামসুন্নাহার সিনিয়রের নিখুঁত ক্রস থেকে।
১৬ মিনিটে বাম পায়ের গর্জনে গোল করেন মনিকা চাকমা, যা টুর্নামেন্টে তার প্রথম গোল। এরপর ১৮ মিনিটে স্কোরশিটে নাম তোলেন ঋতুপর্ণা। টুর্নামেন্টে এটি ছিল তার চতুর্থ গোল।
২০ মিনিটে বাম দিক থেকে ঋতুপর্ণার আসা পাস ধরে আলতো টোকায় তহুরা করেন ষষ্ঠ গোল। যা তার ব্যক্তিগত ষষ্ঠ গোল এই প্রতিযোগিতায়। ৪০ মিনিটে আবারও ঋতুপর্ণার জাদু। কর্নার থেকে আসা মনিকার বলটি ধরে দারুণ নিখুঁত ফিনিশিংয়ে তিনি তার দ্বিতীয় এবং দলের সপ্তম গোলটি করেন।
প্রথমার্ধেই ৭ গোল করে বাংলাদেশ যেন স্পষ্ট বার্তাই দিলো তারা এখন আর কেবল অংশগ্রহণকারী দল নয়, তারা চায় প্রতিদ্বন্দ্বী হতে। প্রতিপক্ষ দুর্বল হলেও যে ছন্দে এবং আত্মবিশ্বাসে খেলেছে বাংলাদেশ, তাতে আগামী দিনের জন্য আশার আলো দেখছেন অনেকেই।
ঢাকা/আমিনুল