দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম কৃত্রিম হ্রদ কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকারে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা চলছে। এ সময়ে সেখানে মাছ ধরায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএফডিসি) অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ৮০ কেজি মাছ উদ্ধার করেছে।

শনিবার (২৪ মে) দুপুরে শহরের বনরূপা বাজার থেকে এ মাছগুলো উদ্ধার করা হয়। 

বিএফডিসি সূত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন অবৈধ মৎস্য শিকার, পরিবহন ও বাজারজাতকরণের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আভিযানে ৪ কেজি পাবদা, ৩০ কেজি কালো টেংরা, ৫ কেজি বাডা, ৪ কেজি ছোট আইড়, ১ কেজি বড় আইড় ও ৩৫ কেজি কাতলা মাছসহ মোট ৮০ কেজি মাছ উদ্ধার করা হয়। 

আরো পড়ুন:

‘বিশ্বের সবচেয়ে কুৎসিত প্রাণী’র অনন্য অর্জন

সিকৃবিতে ক্যাফেটেরিয়ার খাবারে পোকার লার্ভা

বিএফডিসি রাঙামাটি অঞ্চলের উপ-ব্যবস্থাপক মো.

বদরুদ্দোজা বলেন, কাপ্তাই হ্রদে যে পোনা ছাড়া হয়েছে, সেগুলোর বৃদ্ধির জন্য ১ মে থেকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণ বন্ধ রয়েছে। এরই প্রেক্ষিতে সবগুলো বাজারে নিয়মিত টহল পরিচালনা করা হচ্ছে। দুপুরে এক অভিযানে বনরূপা বাজার থেকে বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৮০ কেজি মাছ উদ্ধার করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা। 

নিয়ম অনুযায়ী মাছগুলো খোলা বাজারে নিলাম করা হয়েছে বলে জানান তিনি। 

ঢাকা/শংকর/বকুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ৮০ ক জ মৎস য

এছাড়াও পড়ুন:

এয়ার টিকিট ফের সিন্ডিকেটের দখলে, অভিযোগ আটাবের

আকাশপথের টিকিটের বাজার পুনরায় সিন্ডিকেটের দখলে চলে গেছে বলে অভিযোগ করেছে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)। শনিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আটাব বলেছে, গত ডিসেম্বর, জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা থেকে রিয়াদ, জেদ্দা, মদিনা, দাম্মাম রুটে টিকিটের মূল্য ‘গ্রুপ নামেই’ প্রায় ১ লাখ টাকায় বিক্রি হয়। আর ‘কম্পিউটার সিস্টেমে’ এটা উঠে যায় ১ লাখ ৭০ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত। 

বাংলাদেশের এয়ার টিকিটের উচ্চমূল্য কমানো এবং এ খাতে শৃঙ্খলা আনার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় গত ১১ ফেব্রুয়ারি একটি পরিপত্র জারি করে। তাতে যাত্রীর নাম, পাসপোর্টের বিবরণ ও পাসপোর্টের ফটোকপি দিয়ে টিকিট বুকিং করার নির্দেশনা দেওয়া ছিল। এতে টিকিটের মূল্য কমে আসে। কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি ‘বাজেট’ এয়ারলাইন্স ও সিন্ডিকেট চক্র পুনরায় সক্রিয় হতে শুরু করেছে বলে অভিযোগ তুলেছে আটাব।

তারা বলছে, কোনো কোনো এয়ারলাইন্স ভুয়া নাম দিয়ে টিকিট বুক করে রাখে। ভুয়া নামে বুকিং টিকিটগুলো ফ্লাইটের এক-দুই দিন আগে নাম পরিবর্তন করে বিক্রি করা হয়। আটাব বলছে, সরকারের নির্দেশনা অমান্য করে এয়ারলাইন্স, গ্লোবাল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) ও টিকিট সিন্ডিকেট চক্র যাত্রীর নামবিহীন অগ্রিম ‘গ্রুপ বুকিং’ করছে এবং পুনরায় এয়ার টিকিট মার্কেট তাদের সিন্ডিকেশনের দখলে নিয়ে কৃত্রিম আসন সংকট তৈরি করে এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি করছে। ফলে সাধারণ জনগণ, ট্রাভেল এজেন্সি ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট খাতের সবাই ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সংগঠনটি বলছে, আইনি ব্যবস্থা না নেওয়ায় টিকিটের মূল্য ক্রমাগত বাড়ছে। শ্রমিক ও যাত্রীদের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। দাম আরও বাড়বে বলেও আশঙ্কা করছে আটাব। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোনো কোনো এয়ারলাইন্স বাংলাদেশের যাত্রীদের টিকিট বিদেশি এজেন্সির কাছে নাম ছাড়া ‘ব্লক করে’ দিয়ে আসন সংকট সৃষ্টি করছে। বিদেশি এজেন্সিরা দেশের কিছু সিন্ডিকেট এজেন্সি ও দালালদের মাধ্যমে এসব টিকিট বিক্রয় করে টাকা হুন্ডি করে বাইরে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ আছে।

সংগঠনটি বলছে, বিভিন্ন এয়ারলাইন্স ফ্লাইট কমানোর ফলে আসনও কমে গেছে, যা টিকিটের মূল্যবৃদ্ধির আরেকটি কারণ। সরকারের নির্দেশনা যথাযথ বাস্তবায়ন ও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় এয়ার টিকিটের বাজার পুনরায় সিন্ডিকেটদের দখলে চলে যাচ্ছে। এ জন্য সংগঠনটি দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ চেয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ