অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার ডিবি পুলিশের ৬ সদস্য
Published: 25th, May 2025 GMT
মাদক কারবারি ও জুয়াড়িদের হামলার শিকার হয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের ছয় সদস্য। শনিবার রাতে নরসিংদীর বেলাব উপজেলার বিন্নাবাইদ ইউনিয়নের চর কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় এই হামলার ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মাদক বেচাকেনা ও জুয়াড়িদের আড্ডার খবর পেয়ে শনিবার রাতে চর কাশিমনগর উচ্চ বিদ্যালয় এলাকায় অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। বিষয়টি টের পেয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় মাদক কারবারি ও জুয়াড়িরা। এ সময় ডিবি পুলিশের একটি হাইয়েস গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।
হামলায় আহতরা হলেন– ডিবির এসআই মোহাম্মদ আবদুস সালাম, শেখ মো.
মামলার আসামিরা হলেন– মোহাম্মদ সালমান, ইকতিয়ার হোসেন, মো. মজিবুর, হাবিবুর, আব্দুল জলিল, মোবারক হোসেন, মো. শাহজাহান, সেন্টু মিয়া, পারভেজ ও ইব্রাহিম খলিল। অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করা হয়েছে ৪০-৫০ জনকে।
নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুজন চন্দ্র সরকার বলেন, ডিবি পুলিশের একটি দল নিয়মিত অভিযানে গেলে তাদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় ছয় পুলিশ সদস্যসহ গাড়িচালক আহত হয়েছেন। অভিযানে ব্যবহৃত হাইয়েস গাড়িটি ভাঙচুর করা হয়েছে। পরে খবর পেয়ে বেলাব থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা সবাই আশঙ্কামুক্ত। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
স্বপ্নসারথি ‘মনু’
দুই সন্তানের পাওয়া উপহারের ৩০ হাজার টাকায় কেনা গাভি থেকে পাওয়া এঁড়ে বাছুরটি এখন পরিণত ষাঁড়। মনু নামের এই ষাঁড়টিই এখন মৌলভীবাজারের নুরুল-তানিয়া দম্পতির স্বপ্নসারথি।
জেলার রাজনগর উপজেলাধীন খাসপ্রেমনগর গ্রামের বাসিন্দা নুরুল ও তানিয়া পেশায় শিক্ষক। নিজেদের সামান্য আয়ে দুই সন্তান নিয়ে সংসার চলে তাদের। সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে উদ্যোক্তা হওয়ার পরিকল্পনা নুরুল ও তানিয়ার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে মনুতেই ভরসা তাদের।
প্রায় ৬০০ কেজি ওজনের পরিণত ষাঁড় মনুকে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির কথা ভাবছেন এই দম্পতি। দাম হাঁকছেন সাড়ে ৩ লাখ টাকা। সেই টাকাই তাদের ভবিষ্যতের স্বপ্নযাত্রার পুঁজি হবে। এমনটাই আশা নুরুল-তানিয়ার।
খরস্রোতা মনু নদের পারে প্রান্তিক জনপদ খাসপ্রেমনগর গ্রাম। সেখানেই বাস করেন সহকারী অধ্যাপক নুরুল ইসলাম। বাড়িতে ঢুকতেই গোয়ালঘরের ভেতর চোখে পড়ে মনু নামের ২৬ মাস বয়সী ষাঁড়টি। তার পাশে রয়েছে ছয় মাস বয়সী আরেকটি বাছুর ও তাদের মা গাভিটি।
নুরুল ইসলাম জানান, স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই শিক্ষকতা করেন। স্কুল পড়ুয়া দুটি ছেলেমেয়ে রয়েছে। তাদের দুধ খাওয়ানো ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ২০২০ সালে ৩০ হাজার টাকায় একটি গাভি কেনেন। সেই গাভিটি জন্ম দেয় মনুর। বয়সের সঙ্গে দ্রুত শারীরিক প্রসার ও উচ্চতা বাড়তে থাকে মনুর। এতে মনে হয় কোনো বিদেশি প্রজাতির গরু। স্থানীয় পশুচিকিৎসকদের কেউ কেউ বলেছেন এটি ফিজিয়ান প্রজাতির সদস্য। মনুর শারীরিক বৃদ্ধির দিকে নজর রেখে শুরু করেন পরিচর্যা। ছয় মাসে লম্বায় প্রায় ৬ ফুট ৫ ইঞ্চি মাপের ৫৯০ কেজি ওজনের ষাঁড়ে পরিণত হয় মনু। ষাঁড়টির দাম সাড়ে ৩ লাখ টাকা হাঁকা হয়েছে।