সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে হাঁটু পানি, দুর্ভোগে সেবা গ্রহীতারা
Published: 26th, May 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সামনে অল্প বৃষ্টিতেই জমে যায় হাঁটু পানি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। হাঁটু পানি ভেঙেই আসা যাওয়া করতে হয় তাদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কার্যালয়ের সামনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকাই সামান্য বৃষ্টিতে পানি জমে যাওয়ার কারণ। ফলে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি, প্রতিবন্ধী ভাতা কিংবা বিভিন্ন অনুদান নিতে আসা নারী, বৃদ্ধ ও শারীরিকভাবে অক্ষম মানুষদের পানির ভেতর দিয়েই অফিসে প্রবেশ করতে হচ্ছে।
সেবা নিতে আসা মজিবর রহমান নামের এক প্রবীণ বলেন, ‘‘বয়স হয়েছে, ঠিকমতো হাঁটতেই পারি না। এর মধ্যে হাঁটু পানি পেরিয়ে ভেতরে যাওয়া খুব কষ্টকর। সরকার আমাদের সেবা দিতে গিয়ে যেখানে আরও সহজ করে দেওয়ার কথা, সেখানে উল্টো ভোগান্তি বাড়ছে।’’
একই অভিযোগ করলেন জলি খাতুন নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘‘ভাতার কাগজ জমা দিতে এসেছিলাম। বৃষ্টির পর চারপাশে কাদামাটি আর পানি। গা কাপড় ভিজে গেছে।’’
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে আমরা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরসনে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পৌরসভাকে অনুরোধ করা হয়েছে।’’
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সমস্যা চললেও পৌর কর্তৃপক্ষ কিংবা সংশ্লিষ্ট দপ্তর কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে না।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) এক প্রকৌশলী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ড্রেনেজ সমস্যা চিহ্নিত করা হয়েছে। বাজেট বরাদ্দ পেলে কাজ শুরু করা যাবে।
ঢাকা/শাহরিয়ার/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী
বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।
প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’