সুইজারল্যান্ডের আল্পস পর্বতমালায় একটি হিমবাহ ধসের ঘটনা ঘটেছে। হিমবাহের বরফ, কাদা ও পাথরের স্রোতে চাপা পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের একটি পাহাড়ি গ্রাম। বুধবারের এ ঘটনায় একজন নিখোঁজ হয়েছেন। ব্লাটেন নামে এই গ্রামে ধসের আশঙ্কায় মানুষকে আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। 

সুইস জাতীয় সম্প্রচারমাধ্যম এসআরএফে প্রচারিত ড্রোন ফুটেজে দেখা গেছে, ব্লাটেন গ্রাম ও পাশের বনভূমি কাদা ও পাথরের প্রবল ঢলে ঢেকে গেছে। 

এক সংবাদ সম্মেলনে ব্লাটেন গ্রামের মেয়র মাত্তিয়াস বেলভাল্ড বলেন, আমরা আমাদের গ্রাম হারিয়েছি। গ্রামটি এখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। তবে আমরা আবার সব কিছু নতুন করে গড়ে তুলব। 

ভ্যালেইস ক্যান্টনের কর্মকর্তা স্টেফান গ্যানজার সুইস গণমাধ্যমকে জানান, ব্লাটেন গ্রামের প্রায় ৯০ শতাংশ শিলাধসে ঢেকে গেছে। এএফপি।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

চতুর্থ দিনেও বন্ধ চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা, ফিরে যাচ্ছেন রোগী

ঢাকার জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে চতুর্থ দিনের মতো অচলাবস্থা বিরাজ করছে। চিকিৎসক ও কর্মচারীদের সঙ্গে সম্প্রতি জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহতের মারামারি ও সংঘর্ষের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত বুধবার সকাল থেকেই বন্ধ রয়েছে চিকিৎসাসেবা। এতে করে প্রতিদিনই চিকিৎসা নিতে আসা শত শত রোগীকে ফিরে যেতে হচ্ছে।

আজ শনিবারও হাসপাতালটিতে কোনো চিকিৎসাসেবা চালু করা যায়নি। রোগী ও তাদের স্বজনরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। অনেকে আজ সকাল থেকেই লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও চিকিৎসা না পেয়ে হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন।

আজিমপুর থেকে চোখের সমস্যা নিয়ে আসেন আজিজ মিয়া। তিনি সমকালে বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে চারদিন সেবা বন্ধ, সরকার থেকে কেনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ জনগণ চিকিৎসাসেবা নিবে কোথা থেকে। অর্থসংকটে বেসরকারি হাসপাতালেও সেবা নিতে পারবো না। এখন আমরা কী করবো।’ 

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. জানে আলম বলেন, ‘পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য আমরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত চিকিৎসক ও কর্মীরা কাজে ফিরতে অনিচ্ছুক।’

চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের বিষয় উপদেষ্টার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তবে এখনও কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি।

 তিনি আরও বলেন, ‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চেষ্টা করছে দ্রুত চিকিৎসাসেবা চালু করার, তবে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি যেন আবার না ঘটে, সে বিষয়েও সজাগ থাকতে হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, হাসপাতালটিতে প্রতিদিন গড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ জন রোগী বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিয়ে থাকেন। চিকিৎসাসেবা বন্ধ থাকায় এসব রোগীকে এখন অন্যান্য হাসপাতালে ছুটতে হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ