ভারতের দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী আনুশকা শেঠি। অভিষেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেই আলোচনার জন্ম দেন। তামিল ও তেলেগু ভাষার একজন প্রতিষ্ঠিত অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছেন আনুশকা। ‘বাহুবলি’ সিনেমায় দেবসেনা চরিত্রে তার অনবদ্য অভিনয় দর্শক মনে দাগ কেটে আছে।

কাজের বাইরে প্রেম জীবন নিয়ে বহুবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন আনুশকা। তবে ইদানীং না কাজে, না প্রেমের খবরে আছেন। হঠাৎ আনুশকাকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে তার একটি সাক্ষাৎকার। দ্য সান নিউজ তামিলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ অভিনেত্রী জানান— তার প্রথম প্রেম এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন। 

৪৩ বছর বয়সি আনুশকা শেঠি বলেন, “প্রথম প্রেম এতটা মূল্যবান যে, ৩০০ বছর পরও তা আপনার সঙ্গে থাকবে। আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ি, ছোট একটি ছেলে আমার কাছে এসে বলেছিল— ‘আমি তোমার জীবনের প্রেম।”

আরো পড়ুন:

১১৩৫ কোটি টাকা বাজেটের সিনেমায় আল্লুর বিপরীতে রাশমিকা!

অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ফাঁসের পর বিয়ে করলেন প্রিয়াঙ্কা

পরের ঘটনা বর্ণনা করে আনুশকা শেঠি বলেন, “আমার বয়স তখন এমন যে, আমি জানতাম না ‘আই লাভ ইউ’ এর অর্থ কী, আমি তার প্রস্তাব মেনে নিয়েছিলাম। সেই স্মৃতি আমার মনে চিরকালই সতেজ।”
 
বহুল আলোচিত ‘বাহুবলি’ সিনেমায় অমরেন্দ্র বাহুবলি ও দেবসেনা চরিত্র রূপায়ন করেন অভিনেতা প্রভাস ও আনুশকা শেঠি। পর্দায় এ জুটির রসায়ন ভক্তদের মনে এতটাই দাগ কাটে যে, বাস্তব জীবনেও তাদের জুটি হিসেবে ভেবে নেন তারা।

‘বাহুবলি-টু’ মুক্তির পর প্রভাস ও আনুশকার প্রেম ও বিয়ে নিয়ে নানা গুঞ্জন চাউর হতে থাকে। তাছাড়া দুজনই এখনো অবিবাহিত। দুয়ে দুয়ে চার মিলিয়ে চলতে থাকে নানা জল্পনা-কল্পনা। যদিও পরবর্তীতে দুজনই এই গুঞ্জন অস্বীকার করেন। আনুশকা শেঠি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন— “আমি প্রভাসকে ১৫ বছর ধরে চিনি। সে আমার এমন বন্ধু যাকে রাত ৩টা সময়ও ফোন কল করতে পারি।”   

দীর্ঘ দিন ধরে অভিনয়ে অনুপস্থিত আনুশকা শেঠি। ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত তার মাত্র দুটো সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। একটি মুক্তি পায় ২০২০ সালে, অন্যটি ২০২৩ সালে। বর্তমানে তার হাতে দুটো সিনেমার কাজ রয়েছে। এর মধ্যে তেলেগু ভাষার ‘ঘাটি’ সিনেমা খুব শিগগির মুক্তি পাবে। এ সিনেমার মুক্তি উপলক্ষে সাক্ষাৎকারটি দেন এই অভিনেত্রী। সেখানে জীবনের প্রথম প্রেম নিয়ে কথা বলেন এই তারকা

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রথম প র ম ব হ বল

এছাড়াও পড়ুন:

হাসিনার গুম-খুন ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংস আচরণ করবেন না: মঞ্জু

শেখ হাসিনার আম‌লে সংঘ‌টিত গুম-খুন ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংস আচরণ করা থে‌কে বিরত থাকার আহ্বান জা‌নি‌য়ে‌ছেন আমার বাংলা‌দেশ পা‌র্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু।

শ‌নিবার (১২ জুলাই) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের উদ্যেগে "ছাত্র-শ্রমিক জনতার গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি-বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।

গণঅভ্যুত্থানের অংশীদার রাজনৈতিক পক্ষগুলোর প্রতি আবেদন জানিয়ে মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, “আওয়ামী-হাসিনার আমলের নৃশংস গুম-খুনের কথা মানুষ তখনই ভুলতে পারে যখন একই রকম খুন-খারাবি এবং পাশবিক আচরণ আগেকার ‘মজলুমদের’ দ্বারা সংগঠিত হতে থাকবে। প্লিজ আর যাই করেন হাসিনার আমলের গুম-খুনের কথা ভুলিয়ে দেওয়ার মতো নৃশংস আচরণ করবেন না।”

বাবর চৌধুরীর সঞ্চালনায় ও শেখ আব্দুন নুরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় জাতীয় ঐকমত‍্য কমিশনের সহ-সভাপতি প্রফেসর ড. আলী রীয়াজসহ জাতীয় নেতারা বক্তব‍্য রাখেন।

মঞ্জু বলেন, “কয়দিন আগেও আমরা সব রাজনৈতিক দল এক দাবিতে ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, কে ছোট কে বড় তা নিয়ে প্রশ্ন তুলি নাই। সবাই একে অপরের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছি। তাহলে আজ কেন এত বিভেদ? আজ কেন আমরা একে অপরের দিকে আঙুল তুলছি? শত্রুর হাতে আমাদের রক্ত ঝরলে কিংবা নিগৃহীত হয়ে জেলে গেলেই আমরা শুধু ঐক্যবদ্ধ হই।”

তিনি বলেন, “আমরা বারবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছি পরক্ষণেই আবার ক্ষুদ্র স্বার্থে বিরোধে লিপ্ত হয়েছি।” 

বেপরোয়া চাঁদাবাজি ও দখলবাজির উল্লেখ করে তিনি বলেন, “কোনো সংস্কার দিয়ে আমাদের এই রোগ সারবে বলে মনে হয় না। ক্ষমতা পেলেই অন্যের অধিকার হরণের প্রবণতা পেয়ে বসলে কোন দলের পক্ষেই দেশ পরিবর্তন সম্ভব না।”

তিনি বলেন, “হাসিনার শাসনামলের পুনরাবৃত্তিই যদি আমরা করি তাহলে আমাদের সবাইকে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হতে হবে। জুলাইয়ের শহীদ আবু সাঈদ, মুগ্ধসহ কেউ আমাদের ক্ষমা করবে না।”

“আমরা জানতাম হাসিনাকে সরাতে একটি গণঅভ্যুত্থান লাগবে কিন্তু এই গণঅভ্যুত্থান কীভাবে হবে? এর নেতা কে হবে? এটি আমরা জানতাম না,” ব‌লেন তি‌নি।

দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মঞ্জু বলেন, “আমরা কোনভাবে আমাদের শত্রুকে সুযোগ দিতে চাই না। আমাদের একে অপরের প্রতি আঙুল তোলা এবং কাঁদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতেই হবে।”

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/এসবি 

সম্পর্কিত নিবন্ধ