ময়মনসিংহে কাওয়ালি অনুষ্ঠানে হামলা ও মাজারে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা
Published: 11th, January 2025 GMT
ময়মনসিংহ নগরে প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো একটি মাজারের কাওয়ালি অনুষ্ঠানে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে মাজারটির অর্থসম্পাদক মো. খলিলুর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেছেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলায় ১ হাজার ৫০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, নগরের কোতোয়ালি মডেল থানার বিপরীত দিকে অবস্থিত হজরত শাহ সুফি সৈয়দ কালু শাহ (রহ.
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম খান বলেন, ‘বৃহস্পতিবার রাতেই থানায় মামলা নথিভুক্ত হয়েছে। এখানে দুটি পক্ষই খুবই স্পর্শকাতর। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হামলায় জড়িত ব্যক্তিদের আমরা শনাক্তের চেষ্টা করছি।’
অভিযোগের বিষয়ে জামিয়া ফয়জুর রহমান বড় মসজিদের প্রধান মুয়াজ্জিন শহীদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাতে মাইক বাজিয়ে গানবাজনা করছিলেন মাজারের লোকজন। উচ্চ স্বরে গান বাজানোর কারণে ছাত্রদের পড়ায় সমস্যা হয়। এমন অবস্থায় ছাত্ররা গিয়ে গানের সাউন্ড কমাতে বলে। কিন্তু তা না করে গানের আসর থেকে উসকানিমূলক কথা বলায় ছাত্ররা ক্ষিপ্ত হয়ে সেখানে গিয়ে ভাঙচুর করে।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বিআইটি গঠনের দাবিতে সড়ক অবরোধ
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (বিআইটি) গঠনের এক দফা দাবিতে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীরা। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রহমতপুর বাইপাস মোড়ে অবস্থান নেন তারা।
অবরোধ কর্মসূচির কারণে ময়মনসিংহ-টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ-জামালপুর ও ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের রহমতপুর বাইপাস মোড়ে যানজট তৈরি হয়। মানুষের ভোগান্তি বিবেচনায় নিয়ে শিক্ষার্থীদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রবিন মোল্লার ভাষ্য, শিক্ষার্থীদের পক্ষে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর একটি চিঠি দিয়েছেন। উপদেষ্টার সঙ্গে আগামী সোমবারের আগে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করতে চান তারা। যদি উপদেষ্টা সোমবারের মধ্যে আলোচনায় না বসেন, তাহলে মঙ্গলবার থেকে কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে। তবে বরিশাল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের আন্দোলনে পুলিশ-সেনাবাহিনীর হামলার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করা হবে।
জানা গেছে, গত ১৮ মে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ধ্রুবজিৎ কর্মকারের আত্মহত্যার ঘটনায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ধ্রুবজিৎ চলমান শিক্ষা ব্যবস্থাকে তাঁর আত্মহত্যার কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০ মে থেকে একাডেমিক কম্বাইন্ড সিস্টেম বাতিলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা।
ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের সিভিল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সালমানুর রহমান সাব্বির জানান, কলেজটির সমস্যার মূলে তীব্র শিক্ষক সংকট। নীতিমালা অনুযায়ী, প্রতিটি প্রকৌশল প্রতিষ্ঠানে একজন স্থায়ী অধ্যক্ষ, প্রতিটি বিভাগে একজন সহযোগী অধ্যাপক, একজন সহকারী অধ্যাপক এবং দু’জন প্রভাষক থাকার কথা। কিন্তু আজ পর্যন্ত ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে কোনো স্থায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) আব্দুল্লাহ আল মামুন সমকালকে বলেন, বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। বিকেল পৌনে ৪টার দিকে প্রশাসনের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তারা।