বলিউডের বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দ। ব্যক্তিগত জীবনে সুনীতা আহুজার সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন। ৩৭ বছরের দাম্পত্য জীবন পার করছেন এই যুগল। দীর্ঘ এই পথচলায় তাদের দুই সন্তান— মেয়ে টিনা ও ছেলে যশবর্ধন।

গোবিন্দর স্ত্রী সুনীতা স্বামী-সন্তান-সংসার ছাড়া আর কিছু করেননি। অভিনয়ে পা বাড়ানোও সুযোগ থাকার পরও সে পথে পা রাখেননি সন্তানদের জন্য। অর্থাৎ স্বামী-সন্তানদের প্রতি ভালোবাসা ও দায়িত্ববোধের কমতি নেই তার। কিছুদিন আগে হিন্দি রুশকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সুনীতা এসব তথ্য জানান।

এবার ‘নিজের জন্য বাঁচার’ নতুন তথ্য দিলেন সুনীতা আহুজা। কার্লি টলসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ নিয়ে কথা বলেন। শুধু তাই নয়, গত ১২ বছর ধরে একা নিজের জন্মদিন উদযাপন করেন তিনি। এসময় স্বামী-সন্তানদেরও সঙ্গে রাখেন না।

আরো পড়ুন:

রাধিকার এক হাতে ব্রেস্ট পাম্প, অন্য হাতে মদের গ্লাস

৪ দিনে রাশমিকা-ভিকির সিনেমার আয় ২৭৩ কোটি টাকা

সুনীতা আহুজা বলেন, “স্বামী-সন্তানদের নিয়ে ভাবতে থাকলে কখন নিজের জন্য বাঁচবেন? প্রত্যেক বছর আমার জন্মদিনের সকালে মন্দিরে যাই। মাঝে মাঝে গুরুদ্বার, মাতার মন্দির বা অন্য কোনো মন্দিরেও যাই। রাত ৮টা বাজার পরই আমি একা কেক কাটি এবং মদের বোতল খুলে ড্রিংক করতে থাকি।”

জীবনবোধ খানিকটা ব্যাখ্যা করে সুনীতা আহুজা বলেন, “দুটোরই ভারসাম্য বজায় থাকে। মানে পূজাও হয় এবং পার্টিও হয়। আপনি পৃথিবীতে একা এসেছে, যাবেনও একা। নিজের জন্য কীভাবে বাঁচতে হয় তা শিখতে হবে।”

নারীদের পরামর্শ দিয়ে সুনীতা আহুজা বলেন, “আমি প্রতিটি নারীকে বলতে চাই, তোমাদের নিজের জন্য সময় বের করা উচিত। জীবন তো কেবলই স্বামী-সন্তান নিয়েই কেটে যাচ্ছে। কখন নিজের জন্য বাঁচবে? এ কারণে আমি একা সময় কাটাতে পছন্দ করি। আমি আমার স্বামী-বাচ্চাদের যত্ন নিয়েছি। এখন আমাদেরও নিজেদের জন্য বাঁচতে হবে। প্রতিটি নারীর নিজের কথা ভাবা উচিত।”

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র ন জ র জন য র জন য ব

এছাড়াও পড়ুন:

লেবুপানি নাকি শসা ভেজানো পানি ? গরমে কোনটি উপকারী

অনেকেই গরমের দিনে রেভুর শরবত খেতে পছন্দ করেন। কেউ আবার শসা ভিজিয়ে রাখা পানি। দুই পানীয়র আলাদা আলাদা ভাবে অনেক গুণ রয়েছে। বিশেষ করে গরমকালে দুই ধরনের পানীয় খেলেই উপকার পাবে। লেবুর রস দিয়ে তৈরি শরবত এবং শসা ভিজিয়ে রাখা পানি খেলে শরীরের যেসব উপকারিতা হয়-

লেবুর রস মেশানো পানি

শুধু গরমকাল নয়, সারাবছরই লেবুর রস মেশানো পানি বা শরবত খেলে উপকার পাবেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে যদি হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খান, তাহলে দূর হবে অ্যাসিডিটির সমস্যা। এছাড়াও ফ্যাট ঝরাতে এই পানীয় ওষুধের মতো কাজ করে। এর পাশাপাশি শরীরে জমে থাকা সব ধরনের দূষিত পদার্থ বা টক্সিন বের করে বডি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে লেবুর রস মেশানো হালকা গরম পানি। 

অল্প চিনি, সামান্য লবণ আর লেবুর রস দিয়ে বাড়িতে সহজেই বানিয়ে নিতে পারেন শরবত। এই পানীয় আপনার শরীর হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।  এছাড়াও শরীর ঠান্ডা রাখে। লেবুর শরবত খেলে শরীরের ইমিউনিটি বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও মজবুত হবে। কারণ লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। নিয়মিত এই শরবত খেলে নানা ধরনের রোগ, সংক্রমণ দূরে থাকবে। 

শসা ভিজিয়ে রাখা পানি

গরমের দিনে শসা খাওয়া ভালো। কারণ এই ফল শরীরে পানির মাত্রা সঠিক পরিমাণে বজায় রাখে। এছাড়াও শসা খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। এর পাশাপাশি শসা খেলে দ্রুত ওজনও কমে। আর পানির মধ্যে শসা টুকরো করে কেটে ভিজিয়ে রেখে সেই পানি পান করলে তা দারুণ ভাবে বডি ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। শরীরে জমে থাকা যাবতীয় টক্সিন দূর করে। একটা কাচের বোতলে ঠান্ডা (রুম টেম্পারেচার) পানি নিয়ে তার মধ্যে কয়েক টুকরো শসা এবং অল্প কয়েকটা পুদিনা পাতা দিয়ে রেখে দিন। এই পানীয় দারুণ ডিটক্স ড্রিঙ্ক হিসেবে কাজ করে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ