Prothomalo:
2025-05-09@05:52:03 GMT

ভূমিকম্পে ধ্বংসযজ্ঞের চিত্র

Published: 28th, March 2025 GMT

ছবি: এএফপি

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিযোগীদের চেয়ে এগিয়ে বাংলাদেশ

তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি পরিস্থিতি এখনও বেশ ভালো। জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত এ বছরের প্রথম তিন মাসে পোশাক রপ্তানির প্রবৃদ্ধির হিসাবে এগিয়ে বাংলাদেশ। আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে এ সময় বাংলাদেশের রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ২৭ শতাংশ। চীনের এ হার ৪ শতাংশ। ভিয়েতনামের ১৪ শতাংশের কাছাকাছি। এ সময় যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক আমদানি বেড়েছে ১১ শতাংশের মতো। অর্থাৎ সারাবিশ্ব থেকে যে হারে আমদানি বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ থেকে বেড়েছে তার দ্বিগুণেরও বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন অফিস অব টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলের (অটেক্সা) সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, তিন মাসে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির পরিমাণ ২২২ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ১৭৬ কোটি ডলারের কিছু কম। আগের বছরের একই সময়ের সঙ্গে রপ্তানি তুলনায় হারে রপ্তানি বাড়লেও পরিমাণে এখনও চীন ও ভিয়েতনামের চেয়ে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ সময় চীনের রপ্তানি পরিমাণ ছিল ৩৬০ কোটি ডলার। ভিয়েতনামের এ পরিমাণ ৩৮৮ কোটি ডলারের মতো। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি এবং পরিমাণের বিবেচনায় চীনকে টপকে গেছে ভিয়েতনাম। আলোচ্য তিন মাসে সারাবিশ্ব থেকে যুক্তরাষ্ট্র দুই হাজার পাঁচ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে। 

অটেক্সার প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, বছরের প্রথম তিন মাসে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানিতে শীর্ষ ১০ দেশের বাকি দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের কাছাকাছি চলে এসেছে ভারত। প্রবৃদ্ধির দিক থেকে দেশটির অবস্থান তৃতীয়। রপ্তানি বেড়েছে ২৪ শতাংশ। রপ্তানির পরিমাণ ১৫০ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধির দিক থেকে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে ইন্দোনেশিয়া। যুক্তরাস্ট্রের বাজারে দেশটির রপ্তানির পরিমাণ বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় অর্ধেক– ১২৩ কোটি ডলার। চতুর্থ অবস্থানের উঠে এসেছে পাকিস্তান। রপ্তানি বেড়েছে ১৭ শতাংশ। পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৫৫ কোটি ডলার। 

অটেক্সার তথ্য-উপাত্ত বলছে, পোশাকের সংখ্যার হিসাবে রপ্তানি বেশি বেড়েছে ভারতের। এ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির পোশাক রপ্তানি বেড়েছে ২৭ শতাংশ। বাংলাদেশের এ হার ২৫ শতাংশ। চীনের ২ ও ভিয়েতনামের ৯ শতাংশ। তবে পোশাকের দরের দিক থেকে চীন ও ভিয়েতনামের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। পণ্যভেদে বাংলাদেশের পোশাকের দর বেড়েছে ১ দশমিক ১২ শতাংশ। চীনের ২ শতাংশের মতো ও ভিয়েতনামের ৪ শতাংশ। এ ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে ভারত ও পাকিস্তান। দেশ দুটির পোশাকের দর কমেছে সমান ২ শতাংশ হারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি প্রবণতা প্রসঙ্গে তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল সমকালকে বলেন, রপ্তানির এ চিত্র বেশ আশাবাদী করে তোলে আমাদের। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন শুল্কনীতির কারণে রপ্তানির এ প্রবাহ কতটা ধরে রাখা যাবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। অতিরিক্ত ১০ শতাংশ শুল্ক গত এপ্রিল থেকে কার্যকর হয়েছে। ৩৭ শতাংশ শুল্ক ৯০ দিনের জন্য স্থগিত রয়েছে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ